পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8o বৃহৎ বঙ্গ বাহাদুরের সন্তান ছিল না। তাহার। ভ্ৰাতা জালাল সাহ রাজা হইলেন। কিন্তু তিনি তিন বৎসর পরে গৌড়ে প্ৰাণত্যাগ করিলে তাহার তরুণ বয়স্ক পুত্ৰ সিংহাসন আরোহণ করেন। গিয়াসুদ্দিন নামক এক হত্যাকারীর হস্তে এই পুত্র নিহত হইলেন। *ালীন "******* অতি অল্প সময়ের জন্য হত্যকারী গিয়াসুদিন সিংহাসনে বসিয়া་ན་ ༢་་ ছিলেন । সম্ভবতঃ সুপ্ৰসিদ্ধ কালাপাহাড়, র্যাহার সম্বন্ধে দেশময় — Y Rës\0 3 : | নানারূপ কিংবদন্তী আছে, তিনি জালাল সাহের সময় বিদ্যমান ছিলেন । আমরা সংক্ষেপে সেই কিংবদন্তীব কতকগুলির উল্লেখ করিব । দুর্গাচরণ সান্ন্যাল মহাশয় তারিখ-ই খাজোহান, তারিখ-ই শের সাহী প্ৰভৃতি পারসী ইতিহাস এবং রাজসাহী জেলার কিংবদন্তী অবলম্বনে কালাপাহাড়ের জীবনচরিত লিখিয়াছেন বলিয়া আমাদিগকে জানাইয়াছেন । তাহার লেখা অনুসারে কালাপাহাড়ের নাম কালাচাদি রায় । তাহার বাল্যকালে সকলে তঁহাকে “রাজু বলিয়া ডাকিত। রাজসাহাব অন্তর্গত বীরজওন গ্রামে ( থানা মান্দা ) র্তাহার বাড়ী ছিল এবং তিনি প্ৰসিদ্ধ একটাকিয়া জমিদার-বংশে বরেন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মণকুলে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। ইহাদের উপাধি ভাদুড়ী এবং ইনি জগদানন্দ রায়ের বংশে জাত ( “জগদানন্দ রায় মহাপাত্রের কুঙর” —কৃত্তিবাস ) । কালাপাহাড়ের পিতা নয়ানচাদ রায় গৌড়েশ্বরের ফৌজদারী বিভাগে উচ্চ কাজ করিতেন, এবং তঁহার উপাধি ছিল “ভুইয়া ।” কালাপাহাড়ের মাতৃকুল বৈষ্ণব ছিলেন এবং তিনিও অল্প বয়সে হরিভক্ত ছিলেন । অকালে পিতৃবিয়োগ হওয়াতে মাতামহই পৃষ্ঠাহার অভিভাবক হইয়াছিলেন । শ্ৰীপুর গ্রামবাসী রাধামোহন লাহিড়ীর দুই কন্যাকে ইনি বিবাহ করিয়াছিলেন । কালাপাহাড বলিষ্ঠ, সুদৰ্শন এবং উজ্জ্বল গৌরবর্ণ ছিলেন। একটাকিয়ার ভাদুড়ী বংশের রীতি অনুসারে তিনি সংস্কৃত, বাঙ্গলা প্রভৃতি ভাষায় বুৎপত্তি লাভ করিয়া অশ্বচালনা ও অন্ত্রব্যবহার প্রভৃতি বীরোচিত গুণেও প্ৰতিষ্ঠা অর্জন কবিয়াছিলেন । * তখন নাসের সাহের পুত্র বরাবক সাহ গৌড়ের বাদসহ। কালাপাহাড় তাহার বিবিধ সদগুণ-দ্বারা শীঘ্রই বাদাসাহের দরবারে উচ্চ চাকুরী পাইলেন এবং শৌড়ে বাদাসাহের প্রাসাদের অতি নিকটে উচ্চ হিন্দু আমলাদের সহযোগে রাজকৰ্ম্মচারীদের জন্য নিয়োজিত গৃহে বাস করিতে লাগিলেন। কালাপাহাড় রোজ অতি প্ৰত্যুষে মহানন্দায় স্নান করিতে যাইতেন। নবাব-কুমারী দুলারী বিবি তখন সপ্তদশ বর্ষীয়া পরম সুন্দরী। তিনি প্রত্যহ প্ৰাতে এই রূপবান যুবককে স্নানান্তে বাড়ীতে ফিরিয়া যাইতে দেখিতেন। একদিন তিনি সহচরীদিগকে বলিলেন, “এই যুবক ছাড়া 'আমি অন্য কাহাকেও বিবাহ করিব না।” অজ্ঞাতকুলশীল ব্যক্তির প্রতি এতাদৃশ অনুরাগ অনুচিত, সহচরীরা এই কথা বলিলে রাজকুমারী উত্তরে বলিলেন “উহার গলায় পৈতা-উনি ব্ৰাহ্মণ, ইহার পশ্চাৎ ছাতা-বিবৃদার এবং হাতে সোণার কোষ। সুতরাং ইনি ধনী,-ইনি সুকণ্ঠে স্তোত্ৰ আবৃত্তি করিতে করিতে कॉलों?iश्iए । দুলাৰী বিবির প্ৰেম।