পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা-দীক্ষার কথা an) (২) শঙ্খের জাত :-তিত্পুটী, রামেশ্বরী, বাজী, দোয়ানী, মতি-ছালামত, পাটী, গারবেশী, কাচ্চাম্বর, ধলা, ভেজাল, কেলাকর, জামাই পাটী, এলপাকার পাটী, নায়াখান্দ, খগ, সুকীচোন। (৩) শঙ্খের দ্বারা কি কি তৈরী হয় :-শাখা, আতরদানী, মালা, এসট্রে, সেফটিপিল, ঘড়ির চেন, আংটি, বোতাম, ব্রুশ, ব্যাংগেল, ব্রেসলেটু, পো, রুমালদানী, জলশঙ্খ, বান্থশঙ্খ । (8) भथिांब्र नांग :- প্ৰথম যুগ-গাড়া ( ২ গাছা হইতে ৪০ গাছ পৰ্য্যন্ত)। মধ্য যুগ-সাতকাণা, পাচদানা, তিনদান, বাচ্চাদার, সাদাবালা, আউলাকেশী । বৰ্ত্তমান যুগ-সোণা বাধানো, টালী, লাইনমোড, চিত্তরঞ্জন, পানবোট, মোড়ানো, সতীলক্ষ্মী, জালফাস, হাইসাদার, দানাদার, সাদার্শাখা, শঙ্খবালা, আইপেটেরন, ইংলিশপ্যাচ, তোড়াশঙ্খ, শিকলি বালা, নেকলেস বালা । লতাবালা, ধানছড়ি, চৌমুক্ষি, হাসিখুসীি, দাৰ্জিলিং, তারপেচ, জয়শঙ্খ, পাথুৱাহাটী, গোলাপ ফুল, মোটালতা, মাজ, মুড়িদার, আজুরপাত, বেণী, উপবেণী, বঁাশগীর, গোলাপবালা, নাগরী বয়লা । বঙ্গদেশ বস্ত্রবয়ন-শিল্পের জন্মভূমি। বসোরার যেমন গোলাপ, হিমালয়ের যেমন বািন্ত্রবয়ন-শিল্প । দেবদারু, বস্ত্রবয়নশিল্প তেমনই বঙ্গের নিজস্ব ? এক্ষেত্রে বাঙ্গালীর @ऊिचन्दी नाहे। এদেশে এককালে চরকা মেয়েদের হাতের "পরিহাৰ্য্য অস্ত্র ছিল, যেমন বিষ্ণুর হাতের সুদৰ্শন চক্র । এখন উহা মহাত্মা গান্ধীর হাতে উঠিয়াছে। চরকা কথাটা ‘চক্র” কথারই অপভ্ৰংশ বলিয়া মনে হয় । উহার আকারটা কতকটা সুদৰ্শন চক্রেরই মত । পূর্বকালে রাজার রাণী হইতে দীনতম কুটির স্বামিনী সকলেই চরকায় সুতা কাটতেন। বাঙ্গলার ব্ৰত-কথার অনেকগুলিতেই চরকা দিয়া সুতা কাটার কথা আছে। ষোড়শ শতাব্দীতে সুসঙ্গদুৰ্গাপুরের রাণী একদারাজাকে বলিয়াছিলেন, “তুমি আমাকে কেমন ভালবাস ?” রাজা জানকীনাথ তঁহার ভালবাসা সম্বন্ধে অনেক কথা বলিলেন। রাণী কমলা মাথা হেলাইয়া বলিলেন, “আমার মৃত্যুর পরে তুমি দানসাগর শ্ৰাদ্ধ করিলে, চিতায় মঠ দিলে, আমি তো আর তাহা দেখিতে আসিব না! আমি জীবিত থাকিতে থাকিতে তুমি কি করিতে পাের, আমি দেখিতে চাই।” রাজা বলিলেন, “তুমি যা বলিবে তাই করিব।” রাণী বলিলেন, “বেশ, আমি সাত দিন সাত রাত ধরিয়া চরকায় “এক টাকিয়া” সুতা কাটিব, সেই সুতা যতটা দীর্ঘ হইবে, সেই মাপে তুমি আমার জন্য একটা দীঘি কাটাইয়া দিবেতাহার নাম রাখিবে ‘কমলা-সায়র”।” কমলা সায়রের কতকাংশ এখন সোমেশ্বর নদের গর্ভে, বাকী অংশ এখনও বিদ্যমান। সেই দীঘিসংক্রান্ত দুর্ঘটনা এবং রাজী কমলা দেবীর চরকাকোটা ।