পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV8 বৃহৎ বঙ্গ রঙ্গপুর সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা, ১ম সংখ্যা, ঢাকার মসলিন শীর্ষক প্ৰবন্ধ-আবদুল আলি ) । ইজিপ্টের সুবিখ্যাত রাজা এ্যাণ্টোনিও তঁাহার সৈন্যদিগকে “কার্বাসাম” বস্ত্ৰ উপহার দিতেন। ট্রেভারনিয়ার লিখিয়াছেন, মহম্মদ আলিবেগ ভারতবর্ষ হইতে পারস্যদেশে ফিরিয়া রাজা চাসেফিকে একটি মূল্যবান প্ৰস্তর-খচিত বৃহৎ ডিম্বের মত ক্ষুদ্র নারিকেল উপহার দেন, ইহার মধ্যে ৬০ হাত দীর্ঘ একখানি মসলিন কাপড় ছিল ; উহা এত পাৎলা যে হাতে রাখিলে আদৌ কোন জিনিষ হাতে আছে বলিয়াই মনে হইত না । খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষভাগে এরিয়ান ঢাকার মসলিনের কথা উল্লেখ করিয়াছেন, (Periplus of the Erythrean Sea) | < N IVSCVS RISIN SIN FÍSIF VESTISCÍ frige IVC, arseiif fist fiftgift:(eir (Account of India and China by Two Mahammedan Travellers || ER পুস্তকের অনুবাদ করিয়াছেন আবিব তিও ইছারাৎ | টেলার সাহেব তাহার ‘টপোগ্রাফি অব ঢাকা’ গ্রন্থে (১৬৩ পৃঃ) লিখিয়াছেন—“উক্ত দুই মুসলমান লেখকের মতে ঢাকাব লোকে বা এমন চমৎকার কাপাস বস্ত্ৰ প্ৰস্তুত কবে যে জগতের অন্যত্র তাহার তুলনা হইতে পাবে না। গোল আধারে এই বস্ত্রগুলি রক্ষিত হয় এবং ইহার একখানি এত সুন্ম যে একটি অঙ্গুরীয়কের রন্ধপথে সমস্ত কাপড়খানি টানিয়া আনা যায ।” প্রফেসর উইলসন লিখিয়াছেন “৩০ ০০ বৎসব পূৰ্ব্বে হিন্দুগণ বস্ত্ৰশিল্পে জগতে অপ্ৰতিদ্বন্দ্বী ছিলেন” (Introduction to Rugvada Samhita) || FFINS TIPKF একখানি তির্বতীয় পুস্তকে fes S "Sics Gtsing Dgahmo Fo (go Sol of-Affs Pl মসলিন পরিয়া বাহিব হইছিলেন বলিয়া তিনি উলঙ্গ হওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত হইয়া অপমানিত হইয়াছিলেন। গ্রীসের লেখকগণ প্ৰাচীনকালে তথাকার তরুণ ও তরুণীদের এইরূপ বস্ত্র ব্যবহারের নিলজ্জতার জন্য তীব্রভাবে নিন্দ করিয়াছেন। টেলর যুবোপীয় প্রাচীন লেখকদের মত উদ্ধৃত কবিয়া বলিয়াছেন যে তঁহাদেব মতে “ঢাকার মসলিন মানুষেৰ হাতের তৈবী নহে-উহা পরীদের হাতের কাজ।” (১৬৩ পৃঃ) । একদা মসলিন-পরিহিত রাজকুমারী জেবউন্নিসাকে দেখিয়া তাহাব পিতা আরঞ্জেব উলঙ্গ মনে করিয়া ভৎসনা করাতে কুমারী বলিয়াছিলেন, “আমি কাপড়খানি সাতবার ঘুরাইয়া পরিয়াছি।”—এই সাড়ীখানি ২০ গজ লম্বা ছিল, ইহার ওজন প্রায় ১০ artist (Bolt's Consideration on the Affairs of India, p. 2(6) rais নূরজাহান এইরূপ বস্ত্রের বিশেষ পক্ষপাতী ছিলেন, তঁাহার সহচরীরা মসলিন পবিয়া তাহার নিকট উপস্থিত হইতেন। মোগল সম্রাটুগণ এই মসলিন বস্ত্রের প্রচার সম্বন্ধে এতটা নূরজাহানের উৎসাহ । ঈর্ষ্যান্বিত ছিলেন যে কোন কোন সম্রাট এই বস্ত্ৰ বিদেশে পাঠাইতে নিষেধ করিয়া আইন প্রচার করিয়াছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দীতে নূরজাহানের সুরুচি ও ফ্যাসানের প্রতি অত্যধিক অনুরাগের ফলে ভারতবর্ষীয় সমস্ত প্ৰধান নগরে সন্ত্রান্তঘরে মসলিন বিশেষরূপে আদৃত হইয়াছিল। যখন মসলিনের সৌভাগ্য প্ৰায় অস্তমিত, তখনও বাঙ্গলার কয়েকজন রাজা বিশেষ ৩• • • বৎসর পূর্বে হিন্দু अaथा डचनी ।