পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਵਿ- SV ত্রিপুরেশ্বরগণ এই বিস্ত্রের উৎসাহ দিয়া ইহাকে কথঞ্চিত বঁাচাইয়া রাখিয়াছিলেন। "India of Ancient and Middle Ages" at NS Scy far ম্যানিং লিখিয়াছেন-ঘাসের উপর বিছানো একখানি সুদীর্ঘ মসলিন এক গাভী ঘাসের সঙ্গে খাইয়া ফেলিয়াছিল ; এই জন্য সেই গাভীর মালিক নির্বাসন দণ্ডে দণ্ডিত হইয়াছিল। ইতিহাস লেখক কাফি খাঁ মোগল রাজ-অন্তঃপুরে মসলিনের আদর সম্বন্ধে অনেক কথা লিখিয়াছেন ; তাহাতে দেখা যায়, এই ৰাস্ত্রশিল্প রাজাবাদাসাহের কতটা মনোযোগ এবং অনুরাগ আকর্ষণ করিয়াছিল। ইম্পিরিয়াল গেজেটিয়ার হইতে (১৯০৫ খৃঃ) নিম্নলিখিত বিবরণ শ্ৰীযুক্ত আব্দুল আলি সাহেব সংগ্ৰহ করিয়াছেন ( রঙ্গপুর সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা, ১৩:২০, ১ম সংখ্যা, ৩১ পৃঃ ) :-১৮৫১ খৃঃ অব্দের প্রদর্শনীতে ঢাকার মসলিন জগতের যত বস্ত্ৰশিল্পের নমুনা পাওয়া গিয়াছিল, তন্মধ্যে বহুগুণে শ্রেষ্ঠ বলিয়া অবধারিত হইয়াছিল; অধ্যাপক কুপার এই প্ৰদৰ্শনীর বিবরণে এই কথার উল্লেখ করিয়াছেন । ১৮৫১ খৃঃ অব্দের প্রদর্শনীতে ভাল মসলিন একটু দুপ্রাপ্য হইয়া পড়িয়াছিল, অনেক আয়াসে কিছু সংগৃহীত হইয়াছিল। ১৮৬১ খৃঃ অব্দের প্রদর্শনীতে উৎকৃষ্ট মসলিন “শিল্পের জয়চিহ্ন” নাম অর্জন করিয়াছিল, তখন উহা এতটা দুপ্তপ্রাপ্য হইয়াছিল যে ঢাকায় মাত্র একঘর তীতি উহা বয়ন করিতে পারিত। লণ্ডনের শিল্পশালায় একখানি মসলিন রক্ষিত ছিল, তাহা দৈর্ঘ্যে বিশ গজ ও প্রস্থে এক গজ এবং তাহার ওজন 4 'eliswife Textile Manufactures at N's at ut q. ७प्रांजिन छ शcडन সমস্ত বস্ত্রের সঙ্গে তুলনা করিয়া ইহার অপ্রতিদ্বন্দ্বিত্ব স্বীকার করিয়াছেন। তিনি লিখিয়াছেন, শুধু গুণে নয়—এরূপ সুন্ম কাপড় যে এতটা টেকসই হইতে পারে তাহা ধারণার অতীত। ১৭৭৬ খৃঃ অব্দে একখানি মসলিনের ৬০ পাউণ্ড মূল্য ছিল, জাহাঙ্গীরের সময়ে একখানি উৎকৃষ্ট মসলিন (আবরোয়ান ) ৪০০ পাউণ্ড মূল্যে বিক্ৰীত হইত। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে এই মসলিন যুরোপে বিশেষতঃ ফ্রান্সদেশে প্ৰভুত পরিমাণে রপ্তানি হইত। ১৮১৭ অব্দে কেবল ঢাকা হইতেই এককোটি বাহান্নলক্ষ টাকার মসলিন রপ্তানি হইয়াছিল। ভারত-নিৰ্ম্মিত সাধারণ বন্ত্রেরও যুরোপে যথেষ্ট কাটতি হইত। “টপোগ্রাফি অব ঢাকা৷” পুস্তকে লিখিত আছে, ১৬০ হাত লম্বা একখানি মসলিনের ওজন ছিল মাত্র ৪ তোলা । ১৮০০ খৃষ্টাব্দে অবনতির সময়ও ১৭৫ হাত মসলিনের সোনাগায়ে নির্মিত একখানি ১৭৫ হাত দীর্ঘ মসলিনের Sa 8 V5 ৪ তোলা মাত্ৰ ওজন ছিল। পূর্বে ঢাকায় ইহা হইতেও অনেক সুন্ম মসলিন নিৰ্ম্মিত হইত। ব্ৰহ্মপুত্র, পদ্মা ও মেঘনা এই নদনদীর সঙ্গমস্থলে ১৯৬০ বর্গমাইল পরিমিত ভূখণ্ডে সৰ্বোৎকৃষ্ট মসলিন প্ৰস্তুত হইত, ইহাদের কেন্দ্ৰস্থান কাপাশিয়া এখন ভাওয়ালের জঙ্গলে পরিব্যাপ্ত। ঢাকা, মুড়াপাড়া, সোনারগাঁ, ডেমরা, তিতাবাদী, বালিয়াপাড়া, নপাড়া, মৈকুলী, বহারক, চরপাড়া, বাশটেকি, নবিগঞ্জ, সাহাপুর, ধামরাই প্ৰভৃতি স্থানে মসলিনের স্মৃতি LOCL LL DBDBD DBBBBB SSLDD LDLL DBB DD CLS TE YLLLY