পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা-দীক্ষার কথা ܠN9 তাহা যুরোপীয় শিল্প-সমালোচকগণের বিস্ময় উৎপাদন করিয়াছে। কেদারবাবু লিখিয়াছেন, “ঢাকার তঁতিদের দেহের গড়ন ছিপ ছিপে ও কোমল । তাহদের দৈহিক শক্তি ও উদ্যামের কিঞ্চিৎ অভাব পরিলক্ষিত হইলেও অপর পক্ষে তাহারা সুক্ষ্মস্পৰ্শজ্ঞান ও ওজন সম্পর্কে সুন্ম অনুভূতি-সম্পন্ন ; শুধু তাহাঁই নহে,-দেহপেশীর পরিচালনে তাহদের যে অসামান্য ক্ষমতা আছে, তাহার ফলে হাতের আঙ্গুলের সঙ্গে পায়ের আঙ্গুল ঠিক সমান তালে পরিচালিত হইয়া থাকে। ঐতিহাসিক অৰ্ম্মে ইহাদের সম্বন্ধে উচ্ছসিত প্ৰশংসায় বলিয়াছেন যে ইহারা বে সকল যন্ত্রপাতির সাহায্যে অতি সুন্ম বস্ত্ৰ বয়ন করিতে পারে, ঐ সকল যন্ত্রপাতি দ্বারা ইয়ুরোপীয় তাতিরা তাহদের শক্ত ও স্থূল অঙ্গুলির সাহায্যে মোট চট্টও তৈরী করিতে কদাচিৎ সমৰ্থ बिगाड्द्र निब्रौप्रश्न `` ঢাকার তাতিরা সুতা দেখিবামাত্র তাহার সুন্মাতা অনধিগম্য । ঠিক করিতে পারে, নলের মধ্যে কতটা সুতা পাকানো আছে তাহা ঠিক করিবার তাহদের কোন তোলদণ্ড নাই। সুতার শ্রেষ্ঠত্ব চোখ চাহিয়াই ঠিক করে এবং দৈর্ঘ্য ঠিক করিতে হইলে খানিকটা খোলাজমিতে কিছু দূরে দূরে কাঠি পুতিয়া তাহাতে সুতা মেলিয়া দিয়া স্থির করে।-- সুতা মাপিতে এক হাত দুই হাত করিয়া গণনা করে এবং রতি দিয়া ওজন করে । এক রতির ওজন প্ৰায় দুই গ্রেন । পূর্বকালে যখন দিল্লীর বাদশাহের দূস্বারে মসলিন পাঠান হইত, তখন সেই মসলিনের দৈর্ঘ্য সাধারণতঃ ছিল ১৫০ হাত, ওজন এক রতি ; কিন্তু সময় সময় কম বেশী হইয়া L0DD S DuB BuBB BDD DBB BD DBDS BDDB D0SDS DB DBBDE EHuDDODB DDq S DB BDBD আবশ্যক হইত” ( প্ৰবাসী, ১৩৩৭ শ্রাবণ ) । সুতা প্ৰস্তুত করিবার প্রণালীও অতি সুন্ম শিল্পকলার পরিচায়ক । বেশী গরমে সুন্ম সুতা হইতে পারিত না। কাটুনীরা প্ৰত্যুষ চাইতে বেলা এক প্ৰহরের মধ্যে সুতা কাটিত। কিন্তু অত্যুৎকৃষ্ট সূতা সুৰ্য্যোদয়ের পূর্বে ভাল হয়। যদি গরম বেশী হয়, তবে একটা আধারে জল রাখিয় তাহার উপর সুভা কাটা হইত। জলের স্বাভাবিক বাষ্প গরমের সময় সুতা কাটার অনুকুল । সুন্ম মসলিন ধোওয়াও নানারূপ উপায়ে সম্পাদিত হয়-পাটে আছড়াইলে ইহা ছিন্ন ভিন্ন হইয়া যায়। প্ৰথমে কাপড়খানি ঈষৎ উষ্ণ জলে সিদ্ধ করিয়া পরে সাজিমাট ও সাবানের জলে ডুবাইয়া রাখিতে হয়। তারপর এক নবদুর্বাদল যুক্ত খোলাস্থানে উজ্জল রৌদ্র-করে শুকাইতে হয়। আধা শুকুনো হইলে মসলিন পুনরায় জলে সিদ্ধ করিয়া সৰ্বশেষ নেবুর রসাযুক্ত খুব পরিষ্কার জলে সিদ্ধ করিয়া কিছুকাল রাখিয়া D LSS DS BDDBB DBBBEDD DBK DBDBDBBD0 YB T BDD B DDB তাহা সোজা করিবার প্রথাকে ঢাকার লোক কঁাটা করা” বলে। উহা ঢাকায় নির্দিয়া নামক এক শ্রেণীর লোকেরাই জানে ; ঢাকা ছাড়া অন্যত্র ঢাকার মসলিন তেমন সুন্দর করিয়া কেহ ধৌত করিতে পারে না, কারণ অন্য কোন স্থানে এই “কাটা করার রীতি °ब्रिक्रिख्छ नन्छ ।