পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSVS) বুৎত্ৰ বঙ্গ আমাদের রেশম, ব্যবসায়ীদের যে সমৃদ্ধি ছিল তাহার কথা স্বতঃই মনে হুইবে । আমরা মোগল রাজত্ব পৰ্যন্ত এই ইতিহাসের দাড়ি টানিয়াছি। সুতরাং পরবর্তী সময়ের বঙ্গের DBBBBSDBB BDDDBD BBDDiiDBD OBD DBDBB DBD DDDBDBD DDBSDiDDS এখন সমস্ত ভারতবর্ষ হইতে যে রেশম বিদেশে রপ্তানি হইতেছে, তাহার একটা তালিকা আমার টেবিলের উপর আছে। এই তালিকা হইতে শুধু বঙ্গদেশের অংশটা কতক পরিমাণে অনুমান করা যাইতে পারে। ১৮৬৭-৬৮ খৃষ্টাব্দে ভারতবর্ষ হইতে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার রেশম বিদেশে রপ্তানী হইয়াছিল । ১৮৮৭-৮৮ অব্দে যে চালান যায় তাহার মূল্য শুধু ৪০ লক্ষ টাকা । ১৮৯২-৯৩ অব্দে রপ্তানি বাড়িয়া গিয়াছিল, উহার মূল্য ৬৭,১৫,০ ০০২ টাক-ইহা সমস্ত ভারতবর্ষের হিসাব । বাঙ্গালীর পাণ্ডিত্য আমরা পূর্বেই লিখিয়াছি, বঙ্গদেশে বহু পূর্বে আৰ্য্য-নিবাস হইয়াছিল এবং অধিবাসীরা বেদোক্ত ধৰ্ম্ম পালন করিতেন । নগেন্দ্ৰনাথ বসু মহাশয় প্ৰমাণ করিয়াছেন, আসামের পাহাড়ে এখনও বৈদিকধৰ্ম্ম-পালনকারী এক শ্রেণীর লোক আছেন, যাহারা ঠিক বৈদিক ঋষিদের মন্ত্রের অনুরূপ মন্ত্র জপ করিয়া বৈদিক অনুষ্ঠান করেন । পরবর্তী জৈন এবং বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাব এদেশে বৃদ্ধি পাওয়ার পরে এবং এদেশের জনসাধারণ স্বভাবতঃই পশু-বধ-বিরোধী হওয়াতে বৈদিকধৰ্ম্ম এদেশে ততটা প্ৰচলিত হইতে পারে নাই। মহাভাষ্যের উদাহরণ-প্রসঙ্গে পতঞ্জলি লিখিয়াছেন, “লোকেশ্বর আজ্ঞাপয়তি, • • • • • • • • zțye NVeJi ব্ৰাহ্মণ আনীয়স্তামিতি।” এই লোকেশ্বর শুঙ্গবংশীয় ব্ৰাহ্মণ রাজা পুষ্যমিত্র। তিনি বৌদ্ধ প্রভাবে পূৰ্ব্বদেশ বৈদিকাচার-বিরহিত দেখিয়া তথায় বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণ আনাইয়াছিলেন, উহা খৃঃ পূঃ দ্বিতীয় শতাব্দীর কথা । কিন্তু নিম্নস্তরে যদিও জৈন ও বৌদ্ধধৰ্ম্ম বিশেষ করিয়া প্ৰচলিত হইয়াছিল, তথাপি খৃষ্টীয় প্ৰথম দিক্কার কয়েক শতাব্দীতে এদেশে বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণের কোন কালেই অভাব হয় নাই। তাম্রলিপিতে ইহার বহুল প্ৰমাণ দৃষ্ট হয়। দামোদরপুরের (দিনাজপুর ) পাঁচখানি তাম্রশাসনে দৃষ্ট হয়, খৃষ্টীয় পঞ্চম ও ষষ্ঠ শতকে এদেশে ব্ৰাহ্মণগণ “অগ্নিহোত্র” ও “পঞ্চ মহাযজ্ঞ”। সম্পাদনা করিতেন, পুণ্ডভুক্তির অন্তর্গত কোটিবর্ষে এই সকল বৈদিক কাৰ্য্য অনুষ্ঠিত হইত। ফরিদপুর জেলার তিনখানি তাম্রশাসনে জানা যায় খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতকে বঙ্গদেশের “বারক মণ্ডলে।” যজুৰ্ব্বেদের বাজাসন শাখাবলী ব্ৰাক্ষণের বাস করিতেন। ত্রিপুরার তাম্রশাসনে দৃষ্ট হয় প্রদোষ শৰ্ম্ম নামক জনৈক বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণ চরিবেদে অভিজ্ঞ শতাধিক ব্ৰাহ্মণকে তাদেশে উপনিবিষ্ট করাইয়াছিলেন। নেপালের রাজকীয় পুথিশালায় চতুভুজ-বিরচিত হরিচারিত কাব্যের পুস্পিকার দৃষ্ট হয়, পালবংশীয় ধৰ্ম্মপালের রাজত্বকালে (खान-छि ।