পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা-দীক্ষার কথা ፩s8ዓ বরেন্দ্ৰভূমিতে শ্রীতিবিদ ব্ৰাহ্মণগণের বসতি ছিল। খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীতে নির্মিত দিনাজপুরের গুৱষমিশ্রেীর গরুড়স্তম্ভে দৃষ্ট হয়। উক্ত মিশ্রেীর পূর্বপুরুষগণ বংশানুক্ৰমে বেদবিদ্যায় পারদশা ছিলেন। কেদার মিশ্র বাল্যকালেই “চতুৰ্ব্বিদ্যাপায়োনিধি” পান করিয়া বেদ এবং বৈদিক সাহিত্যে প্রথিতযশা হইয়াছিলেন। তাহার পিতামহ দেবপালের মন্ত্রী দর্ভপাণি "বেদচতুষ্টয়ারূপ মুখপদ্মলক্ষণাক্রোন্ত” ছিলেন । দেবপাল দেবের সমসাময়িক "ছন্দোগপরিশিষ্টপ্ৰকাশ” গ্ৰন্থকীৰ্ত্ত নারায়ণেরও অশেষ বেদজ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায় । খৃষ্টীয় দশম শতকে মহীপাল দেবের বাণগড় লিপিতেও বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণের উল্লেখ আছে। খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে রাজা ভূতি বৰ্ম্মার সময়ে তদানীন্তন কামরূপে বহু বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণ বাস করিতেন, তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। কামরূপের ভাস্কর ব্ৰক্ষ্মার তাম্রশাসনে বেদের বিভিন্ন শাখাবলম্বী ২০৫ জন ব্ৰাহ্মণের নাম আছে । ইহা ছাড়া এদেশবাসী ভিন্ন ভিন্ন যুগের বহু বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণের ৰিষয় পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত দুৰ্গামোহন ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় তাহার লিখিত হয় প্ৰসাদ-সংবৰ্দ্ধন-লেখমালার অন্তৰ্গত প্ৰবন্ধে উল্লেখ করিয়াছেন, এই বিষয়ে আমি সেই প্ৰবন্ধটি হইতে সাহায্য গ্ৰহণ করিয়াছি। বৈদিক গ্ৰন্থ বৌদ্ধযুগে এদেশে তাদৃশ্য আদৃত হয় নাই, এই জন্য যাহা কিছু ছিল, তাহা লুপ্ত হইয়াছে। তথাপি গুণৰিফুঃ, হলায়ুধ, রামনাথ, রামকৃষ্ণ প্ৰভৃতি কয়েক জন বৈদিক গ্ৰন্থকীৰ্ত্তার নাম ও তাহদের গ্রন্থের বিষয় পণ্ডিত দুৰ্গানাথ উল্লেখ করিয়াছেন । ৰাঙ্গলার জনসাধারণ সেন রাজাদের পূর্বে পশুবলি ও বৈদিক যজ্ঞাদির বিরোধী ছিল। এই জন্য বঙ্গের বাহিরের লোকেরা এই দেশ বেদ-বহির্ভূত, ব্ৰাহ্মণহীন বলিয়া বিন্দ্রপ করিতেন। বস্তুতঃ বঙ্গদেশে কোন কালেই পণ্ডিতের অভাব হয় নাই। আমরা ২৯১-৯৮ এবং ৩৫৩-৭৬ পৃষ্ঠায় বঙ্গীয় পণ্ডিতদের কথা আলোচনা করিয়াছি। ইংরেজদের আবির্ভাবের অব্যবহিত পরেও বাঙ্গলায় এইরূপ ভুবনজয়ী পণ্ডিত অনেক ছিলেন, যাহাঁদের পদতলে বসিয়া উইলসন, কোলব্রুক, কেরি, ওয়ার্ড, টমাস ও মার্সম্যান প্ৰভৃতি সুপণ্ডিত সাহেবগণ এদেশের ভাষা ও সাহিত্যের পাঠ গ্ৰহণ করিতেন । এই ব্ৰাহ্মণদের মধ্যে BDDD DBBBKE BB BD DD DBDDB uBBtB S DBDDDBBD DBBD DDD DBDBB ইতিহাসে সুতু্যুঞ্জয় সম্বন্ধে লিখিয়াছেন -“ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিতদিগের পুরোভাগে ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় ; ইনি উড়িষ্যাবাসী, এবং বিদ্যার জাহাজ বলিয়া পরিচিত fiscar (wife Colossus of literatures strff "frts tetsi" ice বুঝাইলাম)। কিন্তু তিনি উড়িষ্যাবাসী ছিলেন না ; বঙ্গদেশবাসীই ছিলেন। যে হিসাবে মার্সম্যান তাহাকে ‘উড়িষ্যাবাসী’ বলিয়াছেন-সে হিসাবে আমাদের বিদ্যাসাগর মহাশয়কেও উড়িষ্যাবাসী বলা চলে। মৃত্যুঞ্জয় তর্কালঙ্কার ১৭৬২ খৃঃ অব্দে মেদিনীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। মার্সম্যান ইহার সম্বন্ধে আরো লিখিয়াছেন :-"ইহার সঙ্গে আমাদের সুবিখ্যাত অভিধানরচয়িতার ( জনসনের ) খুব সাদৃশ্য ছিল। জনসনের মতই মৃত্যুঞ্জয়ের অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল এবং তঁহারই মত হিন্দু পণ্ডিতের বিরাট ও অশোভন বাপু ছিল। সংস্কৃত শাস্ত্ৰে তাহার মত পাণ্ডিত্য উমার কাহারও ছিল না ; মিঃ কেরি প্রত্যহ দুই তিন ঘণ্টা