পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ অধ্যায় airan Pfsabet বাঙ্গলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ-আদিযুগ act C7's atta vert বিনে স্বদেশী ভাষা বিটে কি তৃষা ॥”-নিধুবাবু। বাজলা ভাষা বা পৃথিবীর যে কোন ভাষার উৎপত্তি নির্ণয় করিতে যাওয়া বাতুলতা আদিযুগের মানৰ প্ৰথম যে ভাষা উচ্চারণ করিয়াছিলেন, তাহাই যুগে যুগে রূপান্তরিত হইয়া ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে ভিন্ন ভিন্ন নাম ধারণ করিয়াছে। এই অচিহ্নিত আদিস্থান খুজিবার চেষ্টা BDDD DL SS DBDDDBD DBBS DDD DDB BuuBBu SYiuBDD gBBDB BB BDO DBBSBDB এদেশের লোক কথা কহে নাই। পূর্বে এই দেশের ভাষাকে পণ্ডিতেরা ঘৃণা করিয়া ‘প্ৰাকৃত’ বা শুধুই “ভাষা” নাম দিয়াছিলেন, তারপর সংস্কৃত ভাষার লোকেরা ইহাকে 'গৌড়ীয় ভাষা” নামে অভিহিত করিতেন, ‘বাঙ্গলা ভাষা” নামটা খুবই আধুনিক। তবে এই ভাষায় কৰে পুস্তক, কবিতা, নীতিসুত্র ইত্যাদি নানাবিষয়ক রচনা হইতে সুরু হইয়াছে, অহাই বিবেচ্য। অশিক্ষিত বা অৰ্দ্ধ-শিক্ষিত লোকেরা পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভাষা বুঝে না। কিন্তু তাহদের মনেও আনন্দ, প্ৰেম, কৃতজ্ঞতা প্ৰভৃতি ভাবের উচ্ছাস বহিয়া যায় ; আনন্দ ও দুঃখের আতিশয্যে কথার সুর আসে ; সেই সুরই গান, সেই সুরই বেদ ; সামবেদে তাহা রাগ-রাগিণীতে মূৰ্ত্তিমান হইয়াছিল। বুদ্ধদেব মৃত্যুকালে বলিয়া গিয়াছিলেন, তিনি যে ভাষায় উপদেশ দিয়া গিয়াছেন, সেই ভাষায়ই যেন তাহা লিপিবদ্ধ হয়। এই আদেশের ফল। "ধৰ্ম্মপদ।” শুধু ধৰ্ম্মপদ নহে, হীনযানাবলম্বী বৌদ্ধগণের সমস্ত সমৃদ্ধ পল্পী-সাহিত্য। এই পটীভাষার নাম হইল পালি। ভারতের ভিন্ন ভিন্ন প্ৰাদেশিক ভাষারও এই একসঙ্গে শ্ৰীবৃদ্ধি হয়। পণ্ডিতেরা যে গুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করিতেন এবং বাহা পাণিনি ও অপরাপর বৈয়াকরণ বহু গবেষণা ও বিজ্ঞান-সঙ্গত অনুশীলন দ্বারা সুধীমণ্ডলীর গ্ৰাহ এবং একমাত্র অবলম্বন করিয়া তুলিমাছিলেন, বুদ্ধদেবের মৃত্যুর পর-সেই ভাষার নিম্নস্তরে আর এক ভাষা লিখিত ভাষায় পরিণত হইয়া গেল এবং তাহাও কালে এতটা বিশুদ্ধ ও উন্নত হইয়া গেল যে তজ্জন্যও পুনরায় ব্যাকরণ-সঙ্কলনের প্রয়োজন পড়িল। এই ভাষার সাধারণ নাম প্ৰাকৃত । সাহিত্য-দৰ্পণকার ইহার ১৮ প্ৰকার ভেদ স্বীকার করিয়াছেন, কিন্তু বস্তুতঃ এই প্ৰাদেশিক ভাষাগুলির সংখ্যা আরও অনেক বেশী।