পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ-আদিযুগ ܛܠܒ — গীত অতি অল্পসংখ্যক পুস্তক আমরা প্ৰাকৃত ভাষায় পাইতেছি। নেপালের tHBDBD iuB D SiD SLDBSDt DDD DDD S DBDS DBD BD BiiiiKK তঁহাদের সংস্কৃত ও প্ৰাকৃত ভাষার পুথি-পত্ৰ লইয়া তদেশ আশ্রয় করিয়াছিলেন । কিন্তু আমার মনে হয় গোবিন্দদাস, ঘনশ্যাম, রায় শেখার প্রভৃতি বহু বৈষ্ণৰ কৰি যে ভাষায় পদ লিখিয়া গিয়াছেন, যাহা সাধারণতঃ “ব্ৰজবুলি” বলিয়া পরিচিত,- তাহার উপর মৈথিল কবির প্রভাব খুব বেশী হইলেও উহা হয়ত এদেশ-প্রচলিত প্ৰাকৃতের প্রাচীন ধারাটি বজাৰ রাখিয়াছে। গোবিন্দ দালাদি কবি যে হঠাৎ একটা নূতন ভাষা সৃষ্টি করিয়া তাহাতে পদ BD BDBBDBS DLD DBBD DD OOS BD EB DuSDBuDB চেষ্টায় একটা ভাষার সৃষ্টি হুইয়াছে, এরূপ দেখা যায় না। ব্ৰজবুলির সঙ্গে মৈথিলীর সাদৃশ্য থাকিলেও ব্ৰজবুলি মৈথিলী নহে। দুই কারণে আমাদের এই অনুমান সঙ্গত বলিয়া মনে হইতেছে। জনসাধারণের মধ্যে প্ৰাকৃত ভাষা লিখিবার জন্য ব্যবহৃত হইত, ইহা অনুমান করিবার কারণ আছে। প্রথমতঃ প্ৰাকৃত ভাষা যে সংস্কৃতের টোলে পঠিত হইত-তাহার প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। শুধু নাটকে প্রাকৃত আছে বলিয়াই যে উহা অধীত হইত, এরূপ অনুমান হয় না,- নিশ্চয়ই গ্ৰাকৃত ভাষা জন-সাধারণের মধ্যে প্রচলিত ছিল, তাহা না হইলে প্ৰাকৃত ও পালি উভয়বিধ ভাষা শিখিবার ব্যবস্থা এক সময়ে সংস্কৃত টোলে থাকিবে কেন, গৌর-পদ-তর জিণীর একটি পদে দৃষ্ট হয়। গঙ্গাদাস পণ্ডিতের টোলে চৈতন্য দেব পালি ও প্রাকৃত উভয় ভাষাই শিক্ষা করিয়াছিলেন। কাব্য-কথা সম্পূর্ণরূপে ঐতিহাসিক না হইলেও অনেক সময়ে ইতিহাসের ইঙ্গিত উহাতে যথেষ্ট পরিমাণে থাকে; কবিকঙ্কণের চণ্ডীতে দৃষ্ট হয় “বানিয়ার বালাশ্ৰীমন্ত প্ৰাকৃত পিঙ্গলাদি পাঠ করিতেছেন, ভারতচন্দ্ৰও প্রাকৃত জানিতেন, স্বয়ং লিখিয়া গিয়াছেন। জয়-নারায়ণ প্রভৃতি কবির লেখায়ও ইহার ইঙ্গিত আছে। যদি শুধু নাটকাদি পাঠ করিবার জন্যই প্ৰাকৃত পড়িবার ব্যবস্থা হইত, তবে এখনকার টোলগুলিতেও পালি ও প্ৰাকৃত পড়িবার ব্যবস্থা থাকিত । DDuD EL LBDBDDB SKDD DD BBuu DBDBD uBLuuutODTDT S LL হইয়াছে, "ধরিআ পবিচ্ছন্দং রূপং সুন্দরং” ইত্যাদি পদে বিদ্যাপতির প্রভাৰ আদৌ নাই। এই প্ৰাকৃতই কতকটা সহজ করিয়া এবং বিদ্যাপতির ভাষার কতকটা অনুগা করিয়া গোবিন্দদাসাদি কবির পদ লিখিয়াছিলেন । এদেশ-কথিত প্ৰাচীন কালের লিখিত প্ৰাকৃতই উত্তর কালে “ব্ৰজবুলি” হইয়া দাড়াইয়াছিল, বস্তুতঃ উহা হাওয়া হইতে আসে নাই। দুই কারণে এই প্ৰাকৃত মৈথিল ও বৃন্দাবনী (ব্ৰজ) ভাষার বেশী সন্নিহিত হইয়াছে। (১) বিদ্যাপতির অনুকরণ, ”(২) বীজলা দেশের বাহুিরে রাধাকৃষ্ণ-লীলা-প্রচার। গোবিন্দদাসাদি কৰি এই ব্ৰজবুলি আৰ্য্যাবৰ্ত্তে সৰ্বতোগ্রাহ করিতে চেষ্টা পাইয়াছিলেন। একদিকে উড়িয়া অপর দিকে , DBBDD BDDB DDD DDDD BBBD DuBB DBBDD LLLD BtBDYSiBDiBEDD প্রভৃতি পুস্তক পড়িলে ইহা বুঝা যাইবে। ব্ৰজবুলি প্ৰাকৃত কবিতারই ধারাটি রক্ষা করিয়াছে। বৃহৎ বঙ্গ/৬৬ खड्बूनि ।