পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫৭

বাঙ্গলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ-আদিযুগ GONG BDDD BDBDYqD BDDDB TBBD DDB BDBDDB tS BB DDDDBBB S SGLLLLL LGL S B DB LBB TLDSS DBY D DSSSsLD BBBKS Et অর্থ বিদ্যুৎ । প্রথম শ্রেণীর সাহিত্যের আর এক লক্ষণ সংক্ষিপ্ত বৰ্ণনা । দ্বিতীয় শ্রেণীর কবিরা এমন কি আধুনিক ঔপন্যাসিক ও কবিরা যাহা একশত পৃষ্ঠায় বর্ণনা করিতেন তাহ প্ৰাক-সংস্কৃত সাহিত্যের লেখকগণ দশ পৃষ্ঠায় শেষ করিবেন। ইহারা যাহা স্বচক্ষে দেখেন এবং নিজ হৃদয়ে উপলব্ধি করেন, তাহাই লিখিয়াছেন। দ্বিতীয় শ্রেণীর লেখকগণ তাহাদিগের সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্মমত ও সংস্কৃত কাব্যগুলির কথা কিছুতেই ভুলিতে পারেন না, যেখানে সেখানে উপলক্ষ পাইলেই ব্ৰাহ্মণের মাহাত্ম্য, তীর্থভ্রমণের পুণ্য ও সংস্কৃত পুরাণের গল্পগুলি জুড়িয়া দিয়া স্বীয় কাব্য অযথা ভারাক্রান্ত করেন। পল্লীসাহিত্যে দেবীলীলা একেবারেই দৃষ্টি হয় না। কৰ্ম্ম-গৌরবই নায়ক-নায়িকাদের প্রধান অবলম্বন ! তাহারা বিপদের চূড়ান্ত ভোগ করিয়াও দেবতার নাম জপ করিতে বসিয়া যাইবেন না, বিপদ হইতে উদ্ধার পাইবার জন্য প্ৰাণপণে চেষ্টা করিবেন। সংস্কৃতের প্রভাবান্বিত সাহিত্যের পথ একেবারে উল্টা-সেখানে নায়ক-নায়িকা বিপদে পড়িলেই স্তোত্রিপাঠ আরম্ভ করিয়া দিবেন এবং উদ্দিষ্ট দেবতা যে তখনই অসিয়া হাত ধরিয়া তঁহাদিগকে বিপদ হইতে ত্ৰাণ করিবেন, সে সম্বন্ধেও পাঠকের পূর্ব হইতেই কোন সংশয় দৃষ্ট হয় না। —এবং এইজন্য চরিত্রগুলির অণুমাত্র স্বকীয় গৌরব লক্ষিত হয় না। ব্ৰাহ্মণ্য-প্রভাবের পূর্বে বৌদ্ধনীতিই সমাজে কাৰ্য্যকারী হইয়াছিল। বৌদ্ধনীতি কৰ্ম্মবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত ; এই সুত্ৰ অনুসারে কৰ্ম্মফল কেহ খণ্ডন করিতে পারে না, যেমন DBDBB BBBDS DBDBDB DDB DBBD DBBD SS D BDY L0DBDDB BBDB DDDDSBDu অবিরত কৰ্ম্মশীল ব্ৰাহ্মণ্য নীতি ভক্তিবাদ অা প্ৰণয় করিয়া শেষকালে এদেশে বিকাশ পাইয়াছিল ! বাঙ্গলা মহাভারতেও বৈষ্ণবগ্ৰস্থাদির শিক্ষা-একবার মাত্র হরিনাম করিতে যত পাপ নষ্ট হয় মানুষ একজন্ম তত পাপ করিতে পারে না । “সর্বশাস্ত্ৰে বীজ হরি-নাম দ্বিঅক্ষর । আদি অন্ত নাহি যার বেদে অগোচরী” ( মহাভারত, আদি ) । ব্ৰাহ্মণ্য ধৰ্ম্মে কৰ্ম্ম ও জ্ঞান প্ৰধান স্থান পায় নাই। ভক্তিই মুক্তি ও সফলতার একমাত্র পন্থা। সুতরাং ব্ৰাহ্মণপ্রভাবান্বিত সাহিত্যে ভক্তির জয়জয়কার, পুরুষাকার আড়ালে পড়িয়া গেল। মহুয়া প্রণয়ীকে যখন কোন স্থানেই খাজিয়া পাইল না, তখন আত্মত্যাগ কৱিৰে বলিয়া সঙ্কল্প করিল, কিন্তু তখনই ভাবিল আমার খোজা তো শেষ হয় নাই, সন্ধান করার কাজ বাকী আছে, শেষ পৰ্য্যন্ত না দেখিয়া আমি নিরাশ হইব না, সুতরাং আবার খুজিতে আরম্ভ করিল। নিজের চেষ্টার চূড়ান্ত না করিয়া এই সকল নায়ক-নায়িকার হাল ছাড়িয়া দেন নাই। নব ব্ৰাহ্মণ্যের পূর্বে দেশে যে হিন্দুধৰ্ম্ম ছিল তাহা বৌদ্ধ কৰ্ম্মবাদ আশ্ৰয় করিয়াছিল। কিন্তু সংস্কৃতের প্রভাবান্বিত সাহিত্যে মশানে যাইয়া শ্ৰীমন্ত চণ্ডীৱ “চৌতিশা” আবৃত্তি করিতেছেন, গুণবন্ধ রাজার গুণধর পুত্ৰ মশানে বসিয়া ককারাদি করিয়া বর্ণমালার সমস্তগুলি অক্ষর দিয়া কাণীয় একএকটি নাম প্ৰস্তুত করিতেছেন। কালকেতুৱা ভায় মহাৰী৷রও স্বীয় ‘লোহার সাবলে’র