পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांचल ऊांषांद्र ॐ९°ख्रि ७ विकांबं-स्त्रांत्रिशूश SY কৃষ্ঠায় ব্ৰাহ্মণ অতি-দ্বিধার সহিত বৌদ্ধ রাজন্যবর্গের কীৰ্ত্তিজ্ঞাপক এই পুস্তকের যখন একটি ংস্করণ প্ৰণয়ন করেন, তখন জাতি যাওয়ার ভয়ে ভীত হইয়াছিলেন। হিন্দুরা প্রথমতঃ বৌদ্ধ জগতের প্রাচীন কাব্যগুলি, যাহা জনসাধারণের হাতে ছিল, তাহা গ্ৰহণ করিতে দ্বিধা বোধ করিয়াও এই সকল কাব্যের শ্রোতার সংখ্যা ও প্ৰাপ্তব্য অর্থের লোভাবশতঃ শেষে সৰ্ব্ব সঙ্কোচ ত্যাগ করিয়াছিলেন, একটা প্ৰত্যাদেশের দোহাই দিয়া অবশেষে তাহারা এই বিষয় হাতে লইয়াছেন, কিন্তু তঁাহারা ধৰ্ম্মমঙ্গলকে নূতন আদর্শের আমলে আনিতে চেষ্টা করিয়া ইহার বৈশিষ্ট্য নষ্ট করিয়াছেন। শিবায়ন সম্বন্ধে পূর্বেই লেখা হইয়াছে। ব্ৰাহ্মণ্য প্রভাবের পূর্বে শিবঠাকুর ইত্যর লোকের মধ্যে কৃষাণ-দেবতারূপে পূজা পাইতেন । তারপর ব্রাহ্মণ্য-যুগে এই শিবঠাকুরকে কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম, রামেশ্বর চক্ৰবৰ্ত্তী, জয়নারায়ণ সেন এবং ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর প্রভৃতি কবিরা একটু উন্নত করিতে চেষ্টা করেন। মুকুন্দরাম শিবকে কতকটা কালিদাসের শিবের মহিমা দিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন, মহাভারতকার কাশীদাস ইহাকে স্বকীয় গৌরবে সুপ্ৰতিষ্ঠিত করেন ; তঁহার শিবের মধ্যে—জনসাধারণের ধারণার চিহ্নমাত্র নাই—সে শিব কুচুনী পাড়ায় যান না, ক্ষেতে হল চালনা করেন না, ষাড়ের উপরে চড়িয়া ভিক্ষায় বাহির হন না, এমন কি শিবানীর সঙ্গে কেঁদলও করেন না । কিন্তু ভারতচন্দ্র এতবড় সংস্কৃতের ভাব লইয়াও সাধারণের আদর্শটা ছাড়িতে পারেন নাই। সেই পুরাতন খসড়ার উপর তুলি বুলাইয়া তিনি তঁহাকে কতকটা সভ্যভব্য করিয়াছেন মাত্র | একমাত্র রামেশ্বর “শিবের গীতের” প্ৰাচীন সুরটি বজায় রাখিয়াছেন; ইহাতে শিবঠাকুর কৃষাণ, তাহার তৃত্য ভীম,-শিব ক্ষেতের আগাছা তুলিয়া ফেলেন, আইল বাঁধেন, শষ্যে : পাকা লাগিলে ঔষধ দেন—এবং জোকের উৎপাত হইলে তাহদের মুখে চূণ লগাইয়া হত্যা করেন। ইনি খেয়া পাড়ি দিয়া কুচুনী পাড়ায় যান এবং শিবানীর সঙ্গে ক্টোব্দল করেন এবং তাঁহার মান ভাঙ্গাইবার জন্য শাখার বোঝা কঁধে করিয়া হিমালয়ে যান। বিজয়-গুপ্তের মনসামঙ্গলের শিবও কতকটা এই ধরনের। শিবের গীত সম্বন্ধে আমরা অনেক কথা ৫৭২-৭৩ পৃষ্ঠায় একবার লিখিয়াছি। বস্তুতঃ এই গীত যে অতি প্ৰাচীনকাল হইতে চলিয়া আসিয়াছে তাহার একটি প্রমাণ এই যে বাঙ্গলা ভাষায় হিন্দুর যতগুলি দেবমহিমা-জ্ঞাপক প্রাচীন পুথি পাওয়া যায়, যথাচণ্ডীমঙ্গল, মনসাদেবীর ভাসান, অন্নদামঙ্গল প্ৰভৃতি তাহার সকলগুলিতেই শিবের ছড়া দিয়া মুখবন্ধ করা হইয়াছে। এই প্রাচীন শিব সম্পূর্ণরূপে সংস্কৃত সাহিত্যের প্রভাববিরহিত। অশিক্ষিত নিম্ন শ্রেণীর শিব বঙ্গদেশের শত সহস্ৰ কৃষকের ঘরের লোক ; এই দেবচরিত্রটি কৈলাসেরও নয়, শ্মশান-মসনেরও নয়, নিবাতনিষ্কম্প দীপশিখার ন্যায় নির্বিকল্প যোগ-সমাধি-প্ৰাপ্ত তাপসও নহেন, এমন কি কালিদাসোত্ত মার্জিতরুচি, কতকটা সন্দিগ্ধ-চিত্ত প্রেমিকও নহেন, তিনি চাষার ঘরের খাটি মানুষ। পরবর্তী যুগে সংস্কৃত পুরাণের যে প্ৰভা দেশময় সৰ্ব্বত্ৰ পড়িয়া শিবকে ঔজ্জ্বল্য দান করিয়াছিল भिदांधन ।