পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बीचला डांवांद्र ठsoखि ७ विकभि-अनियूश NANS) DDBDBDBD SSDBBK DDD DDDB BBDSS SgS BB DB BBBSYiL S SDDS K অব্দের কার্থেজের দুৰ্গাও বোধ হয় এক পঙক্তির। সুতরাং দেখা যাইতেছে এই মাতৃপূজা বহুপ্ৰাচীন। জাভার পমবনম নামক স্থানে অনুষ্ঠান একসহস্ৰ চণ্ডীমন্দির আছে। এই সমস্ত মন্দির ৫২৫ খৃঃ হইতে ১৪৭৯ খৃষ্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হইয়াছিল! প্ৰাচীন বাঙ্গলাদেশে দেখা যায় মাতৃপূজা বাঙ্গলার আর্য্যগণ প্রথমতঃ স্বীকার করেন নাই। বণিকদের মধ্যে উহা প্ৰাচীনকালেই প্রচলিত হইয়াছিল, কিন্তু প্রথমতঃ মেয়েদের দ্বারাই উহার প্রচলন ঘটিয়াছিল। বণিক-সীমস্তিনীরা লুকাইয়া পূজা করিতেন এবং তঁহাদের স্বামীরা চণ্ডীকে “ডাইনী” দেবতা বলিয়া দেবীর ঘটে লাথি পৰ্য্যন্ত মারিতেন। কিন্তু যে করিয়াই হউক বণিকের শেষে উহা গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । বাঙ্গলায় মুচি, হাড়ি প্রভৃতি নিয়শ্রেণীর ব্যক্তিরা এককালে শক্তির উপাসক ছিল। বোধ হয় মায়ের পূজায় পশুবলি এমন কি নরবলি দেওয়া হইত, এজন্য শেষে বণিকেরা পৰ্য্যন্ত উহা ছাড়িয়া দিয়াছিলেন। বৌদ্ধযুগে শক্তির এবংবিধ পূজা ক্ৰমশঃ বিলুপ্ত হয়, শেষে মুচির হাতে পৌরোহিত্যের ভার পড়ে—শূন্যপুরাণের দুই একটি কথায় উহাই অনুমিত হয়। “দুৰ্গাকে” কখনও "হাড়ির মেয়ে” বলা হয়, হাড়ির বাড়ীতে বাদ্য না বাজিলে দুৰ্গাপুজা কোন কোন স্থানে আরম্ভই হইত না, এরূপ জনশ্রুতি আছে। “হাড়িকাঠ” শব্দ দ্বারা শুধু “হাড়ি”দের সহিত এই পূজার সম্বন্ধ সুচিত হয় নাই, পশুবলি ব্যাপারগুলি যে এই শ্রেণীর লোকেরাই করিতেন তাহ অনুমান করা যায়। এখনও কোন স্থানের কালীর মন্দিরে হাড়িরাই পূজার পাণ্ডা। দিনাজপুরের কোন কোনও স্থানে এরূপ পৌরোহিত্যের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। বাঙ্গলাদেশে এই পূজা বৈষ্ণবেরা অত্যন্ত বিদ্বেষের সহিত দেখিতেন। বৃন্দাবন দাস ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমভাগে এই পুজা এবং এত : সংক্রান্ত গানগুলির প্রচলন খুব প্ৰসন্নচিত্তে দেখেন নাই। শ্ৰীবাসের বাড়ীর দরজায় বিম্বপত্র ও সিন্দুর-মাখ চণ্ডীর আশীৰ্বাদী সামগ্রী কোন ব্ৰাহ্মণ রাখিয়া গিয়াছিল, এজন্য বৈষ্ণব-সমাজের সে কি ক্ৰোধ ! সেই ব্ৰাহ্মণের এই অপরাধে কুণ্ঠরোগ হইয়াছিল বলিয়া বর্ণিত আছে। নরোত্তমবিলাসে শক্তিপূজকের যে চিত্র অঙ্কিত হইয়াছে, তাহা প্রকৃতই ভয়াবহ। কোন কোন শাক্ত মদ খাইয়া খড়গহস্তে নৃত্য করিতে থাকিত, তখন যাহাকে পাইত, তাহাকেই হত্যা করিত। “হলেও ব্ৰাহ্মণ তার হাত না এড়ায়।” বৈষ্ণবগণ কালীর নাম করিতেন না, দোয়াতের কালীকে ‘সেহাই’ ও জবাফুলের সঙ্গে কালীর পাদপদ্মের সংস্রব আছে, এজন্য তাহাকে ‘ওড়া’ ফুল এবং বিশ্বপত্রকে ‘অর্কপাত” সংজ্ঞায় অভিহিত করিতেন। অথচ আশ্চর্য্যের বিষয়, স্বয়ং চৈতন্যদেব দাক্ষিণাত্যে অষ্টভূজার মন্দির দর্শন ও দেবীকে প্ৰণাম করিয়াছিলেন। শাক্তধৰ্ম্ম মুসলমান আবির্ভাবের পর এদেশে খুব প্রচলিত হইয়াছিল। এই ধৰ্ম্ম জগতের যাবতীয় মানুষ্যের জন্য দরজা খুলিয়া রাখিয়াছে, কাহাকেও বাদ দেয় নাই। বোধ হয় জগতে এরূপ ঔদাৰ্য্য। আর কোন ধৰ্ম্ম দেখাইতে পারে নাই। চোর, ডাকাত, সিঁদকাটা, वकवtद्ध भास-विषय ।