পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९छूड eडांवांचि७ वांछ व्ला-जांख्ङिा SS কবি ষষ্ঠবর ও তৎপুত্র গঙ্গাদাস সেন মহাভারত অনুবাদ করিয়াছিলেন। ইহারা বিক্রমপুরঝিনারদিবাসী এবং সুবর্ণবণিক ছিলেন। ষষ্ঠীবরের পিতা কুলপতির কথা গঙ্গাদাস খুব গৌরবের সহিত উল্লেখ করিয়াছেন। সম্ভবতঃ একই সময়ে এবং কাশীদাসের কিছু পূর্বে রামেশ্বর নন্দী নামক আর একজন কবি মহাভারতের একটি অনুবাদ সঙ্কলন করেন। মহাভারতের প্রায় সমস্ত অনুবাদই ব্ৰাহ্মণেতার জাতীয় ব্যক্তির লিখিত-ইহা লক্ষ্য করিবার বিষয়। ষোড়শ শতাব্দীতেও ইহাদের বঙ্গভাষার প্রতি বিরূপতা ঘোচে নাই। এই অনুবাদকগণের মধ্যে অবিসংবাদিত ভাবে কাশীদাস সর্বশ্রেষ্ঠ । ইহার বাড়ী বৰ্দ্ধমান জেলায় সিঙ্গি গ্রামে। এই সিংহ গ্রাম ইতিহাস-বিশ্রাত, সিংহলজয়ী বিজয় সিংহের প্রতিষ্ঠাপিত “সিংহপুর।” কাশীদাসের সুদীর্ঘ বংশাবলী তিনি স্বয়ং লিখিয়া কবি কাশীদাস এবং গিয়াছেন। তঁহার অনেকগুলি ভ্ৰাতা ছিলেন, তাহারা সকলেই অপরাপর অনুবাদক। সুকবি ও গ্ৰন্থকার ছিলেন । তাহার ভ্রাতা কৃষ্ণদাসের “কৃষ্ণমঙ্গল” ও গদাধর দাসের “জগন্নাথমঙ্গল” দুইখানি উল্লেখযোগ্য কাব্য। কাশীদাসের মহাভারতে ংস্কৃত শব্দের ছড়াছড়ি ; সুললিত শব্দচয়ন এবং বর্ণনা জীবন্ত ও হৃদয়গ্ৰাহী করার ক্ষমতা র্তাহার বিশেষরূপ ছিল । তিনি আদি, সভা, বন ও বিরাটের কতদূর লিখিয়া স্বৰ্গগত হন। এবং তঁহার মৃত্যুকালীন আদেশ রক্ষা করিয়া তাহার ভ্রাতুষ্পপুত্র নন্দরাম দাস বাকী কয়েক পৰ্ব্ব রচনা করিয়াছিলেন, কিন্তু এই শেষ পৰ্ব্বগুলির অনুবাদ প্রায়ই পূৰ্ববৰ্ত্তী কবিগণের ভাল ভাল অংশের জোড়াতলী । নন্দরাম দাস নিত্যানন্দ ঘোষের নিকটেই এ বিষয়ে বেশী ঋণী । তাহার মহাভারত হইতেই তিনি বেশী সঙ্কলন করিয়াছেন । এমন কি স্ত্রীপর্বের “গান্ধারীবিলাপের” উৎকৃষ্ট অংশটি তিনি নিত্যানন্দ ঘোষের মহাভারত হইতে হুবহু নকল করিয়া নিজের ভণিতা দিয়া চালাইয়াছেন। বাঙ্গলার কত কবি যে মহাভারত এবং ইহার অংশ-বিশেষের অনুবাদ করিয়াছেন তাহার ইয়ত্ত করা কঠিন। রাজেন্দ্ৰদাসের শকুন্তলা উপাখ্যানটি বড় সুন্দর, এবং গোপীনাথ দত্তের “দ্রৌপদীযুদ্ধ” প্রভৃতি পালা সম্পূর্ণরূপ মৌলিক। কাশীদাসী মহাভারতে শ্ৰীবৎস ও চিন্তার মত কতকগুলি উপাখ্যান মূল-বহির্ভূত “ ঐ উপাখানটি গ্ৰাম্য গাথা হইতে সঙ্কলিত হইয়াছে এবং “তিলক-বসন্ত” পালার ( ৪র্থ খণ্ড, পূর্ববঙ্গ-গীতিকা) সঙ্গে ইহার সাদৃশ্য সকলেরই চোখে পড়িবে। কাশীদাস ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে তাহার মহাভারত শেষ করেন । সম্ভবতঃ রাজা গণেশের আজ্ঞায় ফুলিয়া গ্রামের মুরারি ওঝার পুত্ৰ বনমালী মুখুটির ঔরসে এবং মালিনীয় গৰ্ভজাত কবি কৃত্তিবাস সর্বপ্রথম বাঙ্গলা রামায়ণ রচনা করেন। রচনার প্ৰাঞ্জলতা, প্ৰসাদগুণ এবং গ্ৰহণ-বর্জন সম্বন্ধে উপযোগিতা বোধ কৃত্তিবাসের প্রধান গুণ। মূল রামায়ণের কোন অংশ বাদ দিয়া কি রাখিলে কাব্যখানি বাঙ্গালী পাঠকের হৃদয়গ্ৰাহী হইবে, ইহা তিনি বিশেষরূপ জানিতেন ; এবং ঠিক এই বোধ না থাকাতে সুপণ্ডিত ও সুকবি রঘুনন্দনের ‘রামরসায়ন খানি কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে নাই। কৃত্তিবাসের পরে ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে ময়মনসিংহ-নিবাসী রামায়ণ, কৃত্তিৰাস ।