পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংস্কৃত প্ৰভাবান্বিত বাঙ্গলা-সাহিত্য ছন্দ নির্দেষভাবে বাঙ্গলায় আনিয়াছেন। বাঙ্গলা বর্ণমালায় লঘু-গুরু ভেদ নাই, সুতরাং সংস্কৃতের ছন্দগুলি নিতুল করিয়া বাঙ্গলায় আনা যে কত বড় কঠিন কাজ তাহ সহজেই অনুমিত হয়। ভারতচন্দ্ৰ শুধু এই কাৰ্য্যে আশ্চৰ্য্য সফলতা দেখাইয়া ক্ষান্ত হন নাই, উপরন্তু সংস্কৃত কবিতায় যাহা নাই, সেই সুকঠিন মিল দেওয়ার রীতিও সংস্কৃত ছন্দে রচিত বাঙ্গলা পন্তে প্ৰবৰ্ত্তিত করিয়াছেন। তঁহার রচিত কবিতার কোন কোনটি সংস্কৃতের এত অধিক অনুগামী হইয়াছে যে তাহা কাশী কি পুনার পণ্ডিতেরা দেবনাগর অক্ষরে পাঠ করিলে তাহা সংস্কৃত বলিয়াই ভুল করিবেন, যথা :-“জয় শিবেশ শঙ্কর, বৃষধ্বজেশ্বর, মৃগাঙ্কশেখর দিগম্বর, জয় শ্মশান-নাটক, বিষাণ-বাদক, হুতাসা-ভালক মহেশ্বর ।” ক্রমে বাঙ্গলা ভাষা এতই সংস্কৃত শব্দে বিভূষিত হইল যে, এদেশের অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর বাঙ্গলা দেখিয়া বঙ্গভাষাকে সংস্কৃত হইতে উদ্ভূত বলিয়া মনে করিয়াছিলেন । প্রাচীন কালে বহু ধৰ্ম্মমঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল ও মনসামঙ্গল লেখা হইয়াছিল। সেগুলি প্ৰাকসংস্কৃত যুগের। তাহাই পরবর্তী যুগে সংস্কৃত হইয়া বৰ্ত্তমানকারে পরিণত হইয়াছে। দ্বাদশ কি ত্ৰয়োদশ শতাব্দীতে লিখিত কাণাহরি দত্ত রচিত মনসামঙ্গল সম্বন্ধে সংস্কৃতবিৎ বিজয় গুপ্ত বলিয়াছিলেন—“উহা বহু প্রাচীন কালের লেখা, অধুনা লুপ্ত হইয়া গিয়াছে ; লেখকের ভাষা ও ছন্দের জ্ঞান কিছুমাত্র ছিল না”-ইত্যাদি। ইহা দ্বারা স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে যে কাণাহরি দত্ত প্ৰাক-সংস্কৃত যুগের কথিত ভাষায় লিখিয়াছিলেন, শিক্ষিত বিজয় গুপ্তের তাহা ভাল লাগে নাই। প্ৰাচীন মনসামঙ্গল কাব্যকে র্যাহারা সংস্কৃত শব্দের নববেশ পরাইয়া ভদ্র সমাজের কাছে আনিতে চেষ্টা করিয়াছেন, তাহদের মধ্যে বাখরগঞ্জের ফুলহী গ্রাম-নিবাসী বিজয়গুপ্ত ( ১৪৯৩ খৃঃ), সমকালিক কবি ময়মনসিংহ-নিবাসী নারায়ণদেব, ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জের অন্তৰ্গত পাতুয়ার-নিবাসী বংশীদাস ভট্টাচাৰ্য্য ও তাহার বিদুষী কন্যা চন্দ্রাবতী ( ১৫৭৫ খৃ: ), বিক্রমপুর ঝিনারদি-নিবাসী ষষ্ঠদাস ও গঙ্গাদাস সেন (ষোড়শ শতাব্দী), বৰ্দ্ধমান সিলিমাবাদ পরগনানিবাসী কেতকাদাস-ক্ষেমানন্দ প্ৰভৃতি কবিরা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এপৰ্য্যন্ত মনসামঙ্গল-রচক এক শতের উপর প্রাচীন কবি পাওয়া গিয়াছে। বঙ্গদেশ-বিশেষ পূর্ববঙ্গ নদীমাতৃক সঁ্যাতসেতে, হাওরপূর্ণ জঙ্গলা দেশ, এখানে সৰ্পভীতিহেতু মনসাদেবী অতি জাগ্ৰাৎ দেবতা ; ভাদ্রমাসে ইহার পূজার মন্দিরে গান করিবার জন্য বহু “নূতন মঙ্গল” রচিত হইয়াছিল। পূৰ্বোক্ত কবিগণের মধ্যে বিজয়গুপ্তের সময়ে পূর্ববঙ্গে হিন্দুর সঙ্গে মুসলমান-সংঘর্ষের যুগ, কবি সেই সংঘর্ষের কয়েকটি জীবন্ত চিত্ৰ দিয়াছেন । নারায়ণ দেবের হাতে বেহুলার বিলাপ চিত্ত দ্রাবী কারুণ্যমণ্ডিত হইয়া হৃদয়গ্ৰাহী হইয়াছে। বংশীদাস। তঁহার সময়কার সামাজিক ছবিগুলি-দেশে শিল্প-বাণিজ্যের অবস্থা, জাহাজনিৰ্ম্মাণ ও স্থপতিবিদ্যার প্রসঙ্গগুলি খুব DBBDDBDD BDDB DD DBDBBBD BBDDD DB BBDD DBBDB DBBD BB भननोंtपोब्र १ांन । मनम-भछपल "दि ।