পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፭Sኴዯm” বৃহৎ বঙ্গ এই সকল অনুশাসনের বিরুদ্ধে চৈতন্যদেব সাৰ্ব্বজনীন ভ্ৰাতৃভাব ও রাগানুগ প্রেমের আদর্শ লইয়া অভিযান করিলেন। সমস্ত বিধিব্যবস্থা ভাসাইয়া দিয়া তিনি ভগবৎ-প্রেমের ডিঙ্গি বাঙ্গলার ঘরে ঘরে ভিড়াইয়া দিলেন। তাহার অনুচরেরা জাতিবর্ণ-নির্বিশেষে সমস্ত লোকের গৃহে দেবতা স্থাপন ও স্বাদলের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণেব দ্বারা তাহদের পৌরোহিত্যের ব্যবস্থা করিলেন। আবার দেবেব দুয়ার আচণ্ডাল সৰ্ব্বজাতির জন্য খোলা হইল । তৃতীয় পৰিৱচ্ছেদ চৈতন্য-যুগ এপৰ্য্যন্ত রূপকথায, গীতিকথায় ও পল্লীগীতিকাব্য যে সকল মহীয়সী নারীব চরিত্রের বর্ণনা পাওয়া যায়,-বঙ্গের শত শত সতী যে প্রেমের আদর্শ দেখাইয়া মৃত্যুতেও প্ৰেমেব বৈজয়ন্তীব গৌরব রক্ষা করিয়াছেন, সহজিয়া প্রেমের সমাজ-বিরুদ্ধ স্বাধীন-ভার্তৃকাদেব তপস্তা—এই সমস্ত উপকরণ ও জাতীয় সাধনার ফল আত্মসাৎ কবিয়া বঙ্গীয। বৈষ্ণব পদাবলী বাচিত হইল। উহা বঙ্গদেশের সর্বোচ্চ তপস্যার কথা । আমাদের দেশেব মহিলাদেব একনিষ্ঠ স্বৰ্গীয় প্রীতি, সুন্মাতিসূক্ষ্ম মনোভাবেব বৈচিত্র্য-সমাজ-বিদ্রোহ ও অবাধ স্বাধীনতাজনিত নিৰ্ভীক হৃদয়বল এই সমস্তই এক রাধিকাচরিত্রে আছে। ইনি গল্পের নাযিক নহেন, ইনি সাধনার ধন । ইনি কোন কাব্যের চরিত্র নহেন-ইনি ‘মহাভাব’ ! চণ্ডীদাস প্ৰভৃতি কবিবা। এই মহাভাব DDB S SBDBLDDS S SKKBD DBBDSDBDBDD YSBDB D ধকের জগতে একমাত্র সত্য বলিয়া দেখাইয়াছেন, মৃত্যুকালে যে নামই একমাত্র সম্বল-সেই নামের কথা দিয়া চণ্ডীদাস তাহার গীতি আরম্ভ করিয়াছেন । “সই, কেবা শুনাইল শ্যাম নাম”-ভক্ত নাকি এই নাম জপ করিতে করিতে এমন এক স্থলে পৌছেন, যেখানে ইন্দ্ৰিয়ের কোলাহল নিবৃত্ত হইয়া যায়। এই নামজপের কথা চণ্ডীদাস বলিয়াছেন, “জপিতে জপিতে নাম অবশ করিলাগে”-“অবশ” অর্থ সমস্ত ইন্দ্ৰিয়ের উদ্বেগ বিলুপ্ত হওয়া। যিনি সর্বস্থানে আছেন, অথচ র্যাহার অস্তিত্ব অবিদিত, যদি হঠাৎ তাহার সেই সৰ্ব্বব্যাপী সত্তা অনুভূত হয়-সাধক যদি প্রকৃতই বুঝিতে পারেন,--এই মুহুর্তে এখানে তিনি আছেন, তবে সেই সত্তার মহিমায় অভিভূত হইয়া গৃহস্থ কি আর গৃহুধৰ্ম্ম করিতে পারেন ? তাই “যেখানে বসতি তার, সেখানে থাকিয়া গো যুবতীধরম কৈছে রায়”—নামের মাহাক্স্যের কথা বলিয়া চণ্ডীদাস রূপের কথা বলিয়াছেন ; অরূপের রূপ সে আবার কি প্রকার ? সেতো “সুবর্ণের পিত্তল-কলসী ;” জগৎ দেখিতেছি, চণ্ডীদাসের কবিতা ।