পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-ত্রিপুরারাজ্য o X Gł সেইরূপ সাক্ষী ; ইহারা প্লাবনের বাহিরে ছিল বলিয়াই বাক্ষা পাইয়াছে, ইহাদের একখানি ‘রাজমালা”—ত্রিপুরার ইতিহাস। আর একখানি কোচবিহারের ইতিহাস। আসামের অহম রাজাদের বুরুঞ্জি অতি মূল্যবান ইতিহাস। গেটসাহেব লিখিয়াছেন—“অহম রাজাদের বুরুঞ্জির মত এরূপ খাটি ও বিশ্বাসযোগ্য ইতিহাস দুর্লভ। বুরুঞ্জি-লেখকগণ মুসলমান ইতিবৃত্তকারগণ হইতেও অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য ও লিপিদক্ষ ” ধৰ্ম্মের সংস্রব রাখার জন্য পুরাণগুলিতে রাজাদের কাহিনী কিছু কিছু বজায় আছে, এবং ভগবান বামচন্দ্রের সংস্রবহেতু সন্ধ্যাকর নন্দীর রামপাল-চরিত টি কিযা আছে। রাষ্ট্রবিপ্লব আমাদের দেশের ইতিহাস-বিলোপের প্রধান কারণ, তাহা ছাড়া আরও একটি কারণ আছে, তাহা এদেশে নব-ব্ৰাহ্মণ্যের প্রভাব । এই নব-ব্ৰাহ্মণ্য জগতের সমস্ত বিষয় হইতে হিন্দুর মুখ ফিরাইয়া তাহাকে অন্তমুখী করিতে চেষ্টা পাইয়াছেন। ইহার রাজন্যবর্গের কান্তি অতি অকিঞ্চিৎকর মনে করিয়া তৎসম্বন্ধে কোন সংবাদ দেওয়া উচিত মনে করেন নাই। পার্থিব সমস্ত কীৰ্ত্তিল প্ৰতি ইহার ঔদাসীন্য দেখাইয়াছেন । এই ইতিহাসবিলোপের চেষ্টা ইহাদের এত বেশী হইয়াছিল যে, প্ৰাচীন রাজগণ সম্বন্ধে যত পালীগীতিকা ছিল—তাহা তাহারা হিন্দু সমাজের গণ্ডী হইতে বিতাডিত করিয়া ফেলিয়াছিলেন, নর-নারীব প্রেমসম্বন্ধে সত্যঘটনা-মূলক যত কবিত্বপূর্ণ কাহিনী দেশময় প্রচলিত ছিল—তাহা তাহাদের ভ্ৰকুটীতে অন্তহিত হইয়া গিয়াছে । মহুয়া, শুষ্ঠােমরায় ও আন্ধা বন্ধুর ন্যায় অমর গীতি ময়মনসিংহে এখন আর হিন্দুর বাড়ীতে গাইতে দেওয়া হয় না। বৃন্দাবন দাস ( ব্রাহ্মণ ) রোষ-কষাযিত চক্ষে এই সকল গীতির প্রতি দৃষ্টি হানিয়া বলিয়াছেন, “এই ভাবে জগতের মিথ্যা কাল যায়।” বৈষ্ণব সমাজ ইহা হইতে আরও অগ্রসব হইয়াছেন, তঁহাদের মতে ধৰ্ম্মণ্ডকই প্ৰকৃত গুরু, মাতাপিত কেহই নহেন। শরীরটা উপেক্ষণীয়-ইহা কাহার নিকট হইতে পাইয়াছি, তাহা জানিবার কোন দরকার নাই,-কাহার দ্বারা আত্মার পুষ্টিসাধন হইয়াছে তাহাই একমাত্র জ্ঞাতব্য গৌরবোব বিষয় ; কৃষ্ণদাস কবিবাজের মত প্ৰসিদ্ধ লেখক, যিনি বৈষ্ণবগুরুদের কথা প্ৰতি পত্রে পত্রে স্মরণ করিয়া তীহাদের বিবরণ সংবলিত এত বড় গ্ৰন্থ লিখিয়াছেন, তিনি একটিবার তঁহার মাতাপিতার নাম বলেন नाझे । আমরা এখন রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাসসম্বন্ধে আলোচনা করিব। ভারতবর্ষে বৰ্ত্তমান কালে যত রাজা বিদ্যমান আছেন, তাহাদের মধ্যে ত্রিপুরার রাজবংশই প্ৰাচীনতম। আদিকাল হইতে ১৮৪ পুরুষের নাম এই বংশে আমরা পাইতেছি। রাজমালার প্রথমাংশের অনেক কথাই খাটি ইতিহাস বলিয়া গ্ৰহণ করা যায় না-কিন্তু পরবর্তী অংশ অধিক পরিমাণেই খাটি ঐতিহাসিক সত্য। কলহণের রাজতরঙ্গিণী হইতেও আমরা এই পুস্তকখানিকে মোটের মাথায় বেশী প্ৰামাণিক মনে করি। প্ৰথমাংশ প্রাচীন প্ৰবাদ ও গল্পমূলক। যযাতি-পুত্র দ্রুহ, ত্রিপুর রাজবংশের আদিপুরুষ বলিয়া কথিত । দ্রুহ কপিলী নদীর তীরে ত্ৰিবেগ নামক স্থানে রাজধানী স্থাপন করেন। १ाशित टख्श् िमद्भ ef 한t어이 1 ब्रां9भांदनी ।