OSV) বৃহৎ বঙ্গ তাহার রাজ্যের পূর্ব সীমানায় মেখলী, পশ্চিমে কোচরং, উত্তরে তৈবঙ্গ নদী এবং দক্ষিণে আচরং ছিল এবং লৌকিক বিশ্বাসে এই বংশ কিরাত বলিয়া আখ্যাত হইতেন। ত্রিপুরারাজের অনাচার ও অনাৰ্য্য শ্রেণীতে বিবাহাদির জন্য এই বংশে কিরাতত্ব ঢুকিয়াছিল। এই কপিল-আশ্রম সাগর’ নামক স্থানে অবস্থিত ছিল। সাগর-সন্নিহিত বিস্তৃত ভূখণ্ড পাঁচটি সমৃদ্ধ নগরী ও দুই লক্ষ লোকসহ ১৬৮৮ খৃষ্টাব্দে জল-প্লাবনে ডুবিয়া গিয়াছে। ব্লাজ-মালার প্রথমভাগ-দৈত্যখণ্ড, ত্রিপুরখণ্ড, ত্ৰিলোচনাখণ্ড, দক্ষিণখণ্ড, তৈদক্ষিণখণ্ড, প্রতীতখণ্ড, বুঝারখণ্ড, ছেংথোম্পাখণ্ড, ডাঙ্গরফাখণ্ড, রত্নমাণিক্যখণ্ড-এই দশ খণ্ডে বিভক্ত । প্ৰথমভাগের ইতিহাসভাগ সংস্কৃতে ছিল-সে বৃত্তান্ত শুক্ৰেশ্বর ও বাণেশ্বর রাজপণ্ডিতদ্বয় ভাষায় অনুবাদ করিতে স্বীকার করিলেন না । অগত্য ধৰ্ম্ম-মাণিক্য চন্তাই দুৰ্লভেন্দ্রের শরণাপন্ন হইলেন। ইনি ত্রিপুরভাষায় রচিত ইতিহাস হইতে বাঙ্গলা করিয়া যে কাহিনী BBDBDBBDBSDBBDBDD SesBeL0ueBBDD SqL S DuSuLDLKDD DBBDBBD KBBB S BDBD DDBB লাইলেন । ( আদিকাল হইতে ১৪৫৮ খৃ: ) । দ্বিতীয়ভাগ-অমরমাণিক্যখণ্ড, রত্নমাণিক্যখণ্ড, ধন্যমাণিক্যখণ্ড, বিজয়মাণিক্যখণ্ড, অনন্তমাণিক্যখণ্ড, উদীয়মাণিক্যখণ্ড, জয়মাণিক্যখণ্ড, অমরমাণিক্য(২য়) খণ্ড, রাজ্যধরমাণিক্যখণ্ড, যশোধরমাণিক্যখণ্ড ও কল্যাণমাণিক্যখণ্ডেবিভক্ত- এবং একাদশ জন রাজাব বিবরণ-সংবলিত । এইভাগে ১৪৪৮ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৬৬০ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত ত্রিপুরা-রাজ্যের ইতিহাস পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিবৃত আছে ! এই ভাগের সঙ্কলয়িতা সিনাক্ৰান্তবাগীশ, ইনি এই খণ্ড-সঙ্কলনে সেনাপতি রণ- চতুর নারায়ণের নিকট উপকরণ পাইয়াছিলেন। এই সময়ে প্রাচীন রাজমালার সংশোধন হয়-“পুরাতন রাজমালা আছিল রচিত। প্রসঙ্গতে অলগ্নিক ভাষা যে কুৎসিত।” ‘অলগ্নিক” অৰ্থ অসংলগ্ন এবং কুৎসিত ভাষা অর্থ খাটি YDDBSS S BBBDDBDSODBB DDBYLDDL BBK DDB DD DDD S SYL SDLDBB LBBB দোষ গাহিয়াছেন, এই অভিযোগ তদনুরূপ। তথাপি আমরা সেই প্ৰাচীন রাজমালাখানি পাইলে বেশী সুখী হইতাম । তৃতীয়ভাগ-গোবিন্দমাণিক্য, ছত্রমাণিক্য, রামমাণিক্য, রত্নমাণিক্য, মহেন্দ্ৰমাণিক্য, ধৰ্ম্মমাণিক্য(১য়), মুকুন্দামাণিক্য, ইন্দ্ৰমাণিক্য, জয়মাণিক্য, উদীয়মাণিক্য এই দশজন নৃপতির ইতিহাসসংবলিত। ইহাতে ১৬৬০ খৃষ্টাব্দ হইতে অষ্টাদশ শতাব্দীর কিঞ্চিৎ উৰ্দ্ধকাল পৰ্যন্ত ঘটনার বিবরণ আছে। এই ভাগ দুর্গামনি ভজিীৱ-বিরচিত। এই ভাগের উপক্ৰমণিকায় দুর্গামণি উজির লিখিয়াছেন, তিনি পূৰ্ব্বভাগের শুধু ভাষা পরিবর্তন করেন নাই, তন্ত্র ও পুরাণাদি হইতে অনেক তত্ত্ব তন্মধ্যে প্ৰবিষ্ট করাইয়াছেন । মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্যের (১৪৫৮ খৃঃ) রাজত্বকালে রাজমালা ত্রিপুর-ভাষায় লিখিত ছিল, আমবা এরূপ উল্লেখ পাইয়াছি, “পূর্বে ব্লাজমালা ছিল ত্রিপুর-ভাষাতে”—কিন্তু এই রাজার আদেশে রাজমালা “সুভাষাতে” বিরচিত হইল। ‘সুভাষা অর্থ বাঙ্গলা ভাষা এবং রাজা ধৰ্ম্মমাণিক্যের কালের এই “সুভাষাকে” দুর্গামণি উজির
পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।