পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S oYb7ʼ বৃহৎ বঙ্গ “আপনাকে অপনে দেবতা করে জ্ঞান | মানা করে অন্যে যদি করে যজ্ঞ দান৷”-রাজমালা, ত্রিপুরখণ্ড । কিন্তু তঁাহার অত্যাচার ও অনীশ্বর-বাদ বসুন্ধরা বেশী দিন সহা করিতে পারিলেন না। তিনি নিহত হইলেন এবং তৎপত্নী হীরার গর্ভে শিবাংশে ত্ৰিলোচন রাজার জন্ম হইল। এই শিব হইতে উদ্ভবের প্রবাদ কুচবিহারের রাজাদেরও আছে। প্ৰাগজ্যোতিষপুরের বাণ রাজা শিবের পুত্ৰবৎ ছিলেন, পুরাণে লিখিত আছে শিব কাৰ্ত্তিক হইতেও তঁহাকে বেশী ভালবাসিতেন। কোচ, কিরাত প্ৰভৃতি জাতীয় লোকের শিবের অনুচর। বলিয়া কল্পিত হইয়াছে। হীরার গর্ভে শিবের ঔরসে উৎপন্ন বলিয়া ত্ৰিলোচন রাজা পরম শৈব হইলেন। ইহার পাৰ্ব্বত্য নাম ছিল “সুবড়াই।” ইনি ত্রিপুররাজের ক্ষেত্ৰজ-পুত্র, সুতরাং চন্দ্ৰবংশীয় চিহ্ন-নিশান ও চন্দ্ৰধ্বজের উত্তরাধিকারী, এদিকে শিবসস্তুত—এজন্য ত্ৰিশূলচিহ্নযুক্ত ধ্বজও ব্যবহার করিতেন। তদবধি ত্রিপুরার রাজবংশের ধ্বজে চন্দ্র ও ত্ৰিশূল উভয়বিধ চিহ্নই দৃষ্ট হয়। ত্ৰিলোচন রাজার সময়ে রাজ্যে কয়েকটি পরিবর্তন ঘটিয়াছিল। কপিলমুনির আশ্রমত্ৰিবেগে প্রথমতঃ এই বংশের রাজধানী ছিল। ত্রিপুর খুব পরাক্রমশালী রাজা ছিলেন এবং বহু রাজ্য জয় করিয়াছিলেন । কিন্তু তাহার রাজ্যে নানা পার্বত্যজাতির বাস হেতু-দেশময় অনাৰ্য্য-প্রভাব ছড়াইয়া পড়িয়াছিল। ত্ৰিলোচন সর্বপ্রথম ত্রিপুর-সমাজে আৰ্য-আচার প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি সমুদ্রকুল হইতে চতুৰ্দশ দেবতা আনিয়া রাজধানীতে প্ৰতিষ্ঠিত করিলেন। তাঁহাদের সঙ্গে যে সকল ‘দেওড়াই’ পুরোহিত আসিলেন, তঁাহারা লোকদিগকে আৰ্য আচার শিখাইলেন। ত্ৰিলোচন রাজার রাজ্যের দ্বিতীয় গুরুতর ঘটনা,-কাছাড়ের রাজার ( হেরম্বাধিপতির ) কন্যার সঙ্গে ত্রিপুরেশ্বরের বিবাহ। অপুত্ৰক হেরম্বাধিপতি তাহার এক দৌহিত্রকে রাজ্যের উত্তরাধিকারী করেন। এই দুই রাজ্যের সঙ্গে এবংবিধ সম্বন্ধ হওয়ায় ত্ৰিলোচনের পুত্রদের রাজ্যের সীমা ও শক্তি খুব বাড়িয়া যায়। কথিত আছে, ত্ৰিলোচন যুধিষ্ঠিরের সমকালিক এবং নিমন্ত্রিত হইয়া যুধিষ্ঠিরের রাজসভায় উপস্থিত হইয়াছিলেন। ত্ৰিলোচনের বারটি পুত্র জন্মে। তন্মধ্যে একটি হেরম্বরাজ্যের অধিকার লাভ করেন। তিনিই ছিলেন সর্বজ্যেষ্ঠ । আর একাদশ জনের মধ্যে জ্যেষ্ঠ “দক্ষিণ” সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং অপর দশজনের প্রত্যেককে পাচ সহস্ৰ অশ্বারোহী সৈন্যের অধিপতি করিয়া ‘মণ্ডলাধিপতি’ নিযুক্ত করেন। আদি-উপনিবেশের সময়ে যে আৰ্য্যসৈন্য আসিয়াছিল, রাজা স্বয়ং তাহাদিগকে পরিচালনা করিতেন। জ্যেষ্ঠপুত্র কাছাড়ের অধিকার পাইয়া সন্তুষ্ট হইতে পারেন নাই; তিনি উত্তরাধিকার সুত্রে সমস্ত রাজ্যের অধিকারী-এই দাবী ফাদিয়া বহুদিন পৰ্য্যন্ত যুদ্ধবিগ্ৰহ করেন। এই দীর্ঘকালব্যাপী যুদ্ধে ক্লান্ত ও মহাক্ষতিগ্ৰস্ত হইয়া একাদশ ভ্ৰাতা ত্ৰিবেগের রাজধানী জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হেরম্বাধিপতিকে দিয়া তাহারা আরও সরিয়া আসিয়া বরবক্ৰ নদীর তীববৰ্ত্তী ধ্বজ, চন্দ্ৰ ও ত্রিশূলচিহ্ন f(GT5 cछ३त्राषि°ठिद्म कछान्न मरा दिपाङ् ।