পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y) ORN বৃহৎ বঙ্গ পরাভব স্বীকার করিল না। একদা ত্রিপুর-সৈন্য একটা গোসাপ ধরিল, পাৰ্বত্য-প্রদেশের গোধিকা-মহাকায় ও প্ৰবল শক্তিশালী। কথিত আছে, এই "***" জীব দৈর্ঘ্যে আট হাত ও প্রন্থে তিন হাত পরিমিত ছিল। ইহাকে ধরিয়া ইহার পুচ্ছের সহিত বেত্রের রাজু বাধিয়া দুৰ্গ-প্রাচীরের উপরে উঠতে সৈন্যদের তাড়না করিলেন, সেই বেত্ৰ ধরিয়া একটি করিয়া সৈন্যেরা উৰ্দ্ধে উঠিতে লাগিল। তখন গভীর রাত্রি, আসামসৈন্য এই কাৰ্য্যের কিছুই জানিত না । ত্রিপুর-সৈন্য দুর্গ-প্রাকারের সর্বোচ্চস্থানে রাজু আটকাইয়া ফেলিয়া বন্যার মত থানাংছি গডে ঢুকিয়া পড়িল। দুর্গ অধিকৃত হইয়া গেল। থানাংছির সৈন্যেরা এত কাল দুর্গের প্রাচীরের উৰ্দ্ধদেশে বসিয়া নিম্নস্থিত ত্রিপুর-সৈন্যের দিকে পা ঝুলাইয়া দিয়া নানারূপ বিদ্রুপ করিত, এইবার তাহারা শাস্তি পাইল। থানাংছি গড় ত্রিপুরীগণ কর্তৃক অধিকৃত হইলে ইহার নাম হইল। “ত্রিপুরী-পুরী।” এই দুৰ্গবিজয় সম্বন্ধে নানা কথা রাজমালায় আছে। আট মাস ধরিয়াও যখন সেনারা প্ৰাচীর লঙ্ঘন করিতে সমর্থ হয় নাই, তখন চয়চাগ। রাগিয়া সৈন্যদিগকে গালি দিয়া বলিয়াছিলেন—“তোমরা পুরুষ নও-মেয়ে মানুষ, চরকা হাতে লইয়া অন্তঃপুরে যাও।” তাহারা নিশ্চেষ্ট হইয়া শিবিরে ঘুমাইত দেখিয়া তিনি চালে ফুটাে করিয়া দিয়াছিলেন, তাহাতে সারা রাত্রি বৃষ্টিতে ভিজিয়া ত্রিপুর-সৈন্য ঘুমাইতে পারিত না। যাহা হউক অবশেষে দুর্গ জয় করিয়া চয়চাগ থানাংছি গড় নররক্ত রঞ্জিত করিলেন,-ত্রিপুর-সৈন্য নারীগণকে লুণ্ঠন করিয়া অত্যাচারের একশেষ করিল। চয়চাগ ইহার পরে পার্বত্য প্রদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া সমস্ত পাহাড়দিগম্বৰ *** **তা বাসী লোকদিগকে ত্রিপুরেশ্বরের অধীন করিলেন। সাম্বুল নামক rfg স্থানে স্বীয় শিবির স্থাপন করিয়া “ছাইমার’, ‘ছাইবেম’, ‘ছাকাচেঙ্গা’, ‘খামাচেব’, ‘বাঙ্গা’, ‘রঙ্গ’, ‘ছাকা’, ‘রাঙ্খল’, ‘খাম’, ‘গুণৈছ’, ‘খছুৎ’, ‘মাছিল’, ‘রাঙ্গারব।” প্রভৃতি জাতীয় টিপ্ৰাগণের নিকট দূত প্রেরণ করিলেন, তাহারা সকলে আসিয়া রাজধানীতে স্বীয় স্বীয় প্রতিনিধিসহ ভেট পাঠাইল । ত্রিপুরার রাজধানীতে “সহস্ৰ সহস্ৰ কুকী আসিল দিগম্বরা”-ইহারা ‘গজদন্ত’, ‘গবয়”; “ছাগ’, ‘কাংস্ত’, ‘বাদ্য’, ‘ঘোঙ্গা’, ‘রক্ত-কৃষ্ণ-শ্বেত-বস্ত্ৰ’’, ‘কাংস্ত থালি’, ‘পিকদানী’, ‘তামার কঙ্কণ,’ ‘উবাফেব্রু জলপাত্ৰ’, ‘কিরাতিয়া খড়গ’, ‘পিত্তল ও কঁাসার ঝারি’ প্ৰভৃতি ভেট লইয়া আসিয়াছিল। ধন্যমাণিক্য অত্যন্ত গ্ৰীত হইলেন এবং যখন কোন কোন সভাসদ সেনাপতি চয়চাগের দুই বৎসরের অনুপস্থিতি এবং আসামের বড়ুয়া কন্যাদের সৌন্দৰ্য্যে মুগ্ধ হইয়া তথায় কালান্তিপাত সম্বন্ধে দুই একটি ইঙ্গিত করিল, তখন রাজা একটু হাসিলেন মাত্র। বস্তুতঃ চয়চাগকে তিনি পুত্রবৎ স্নেহ করিতেন। ইহার পর চট্টগ্রাম বিজয় করিতে ইচ্ছুক হইয়া ধন্যমাণিক্য সৈন্য পাঠাইলেন। হুসেন সাহের একদল সৈন্য সেই স্থান অধিকার করিয়াছিল, ধন্যমাণিক্যের সৈন্যেরা তাহাদিগকে জয় हनन नांश्रद्ध नज विद्धां५। করিয়া ১৪৩৪ ( ১৫১৩ খৃঃ) অব্দে চট্টগ্রাম ত্রিপুর-রাজ্যের অন্তৰ্গত করিল। হুসেন সাহ এই সংবাদ পাইয়া গৌড়মল্লিকের অধীন বহু সৈন্য দিয়া ত্রিপুরেশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে পাঠাইলেন। এই সৈন্যশ্রেণীর মধ্যে ‘বার