পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-ত্রিপুরারাজ্য S) O RA ভূঞা’দের সৈন্যেরাও ছিল “( বার-বাঙ্গল সৈন্য গৌড়মল্লিক সঙ্গে )”— গজারোহী, অশ্বারোহী ও পদাতিক সৈন্যের অবধি ছিল না। মেহেরকুলে প্ৰথম যুদ্ধ হইল। ত্রিপুরার সৈন্যেরা এই যুদ্ধে পরাস্ত হইল, মেহেরকুল পাঠানের দখল করিল। হটিয়া গিয়া ত্রিপুর-সৈন্য চণ্ডীগড়ে আশ্ৰয় লইল, গৌড়মল্লিক। কিছুতেই দুর্গ জয় করিতে পারিলেন না। ধন্যমাণিক্য গোমতীর একটা দিক সোনা মুরার মাটি কাটিয়া ভৰ্ত্তি করিয়া ফেলিলেন। এই নদী স্বল্পায়তন এবং অগভীর-কিন্তু খুব বেগশীল। পাঠানেরা নিশ্চিন্তমনে সেই স্থানে শিবির স্থাপন করিল--এদিকে এক রাত্রে ধন্যমাণিক্য সেই নদীর বাধ ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন । পাঠান সৈন্য বহু সংখ্যক ডুবিয়া মরিল। তখন ত্রিপুরেশ্বর শত্রুজয় কামনা করিয়া অভিচারের অনুষ্ঠান করিলেন। একটা চণ্ডালের মুণ্ড কাটিয়া অৰ্দ্ধারাত্রে এই অনুষ্ঠান করা হইল, ত্রিপুরসৈন্য সেই অভিচার-দর্শন করিয়া বিকট চীৎকার করিতে লাগিল। পাঠানেরা ভাবিল বহু সৈন্য লইয়া বিজয়োল্লাসে ত্রিপুরীগণ আক্রমণ করিতে আসিতেছে । তাহারা পৃষ্ঠভঙ্গ দিয়া পলাইয়া গেল এবং গৌড়মল্লিক পরাস্ত হইয়া হুসেন সাহের দরবারে অবমানিত হইলেন । এই যুদ্ধ জয় করিয়া ধন্যমাণিক্য চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হইয়া পুনরায় সেই দেশ অধিকার করেন,-সেইখানে সেনাপতি “রসাঙ্গমর্দন নারায়ণ”কে শাসন-কীৰ্ত্তা নিয়োগ করিয়া ধন্যমাণিক্য রাজধানীতে ফিরিয়া আসেন। কিন্তু এই রাসাঙ্গমৰ্দন নারায়ণ-আরাকান ( রসাঙ্গ ) স্বয়ং অধিকার করিতে অসমর্থ হন। রাজা রায়চাগ ও রায় কাছম এই দুই সেনাপতিকে তঁহার সাহায্যার্থে প্রেরণ করেন। এইবার চট্টগ্রাম ও সমস্ত আরাকান প্ৰদেশ ( ১৪৩৭ শক, ১৫২৫ খৃঃ) অধিকৃত হইল। DDBDB DDBD BBDDS DBSuDBBDS KBDB iBDBDBD BE sD লক্ষ পদাতিক সৈন্যসহ তাহার প্রিয় সেনাপতিদ্বগ্ন হৈতেন খ্যা ও করা থাকে ত্রিপুরা বিজয় করিতে পাঠাইলেন । “দ্বাদশ বাঙ্গলা ( বার ভুঞার সৈন্য সামন্ত) চলে হৈতেন খ্যা সহিতো।” সরাইলের পথে ত্রিপুর-সৈন্য হটিয়া গেল। পাঠানের অগ্রসর হইয়া জামির খাঁর গড়ে উপস্থিত হইল। ত্রিপুর-সেনাপতি খড়গরায় বহু যুদ্ধ করিয়াও সেই দুর্গ রাখিতে পারিলেন ত্রিপুর-সৈন্তের উপযু্যাপরি না। ইতিপূর্বে পাঠানের কৈলাগড় ও বিশালগড় দখল ዋሸቯቮማጻ | করিয়াছিলেন, সুতরাং বিজয়ী পাঠান সৈন্য আরো উত্তরে অগ্রসর হইয়া ছঘরিয়াগড়ে যাইয়া রাজ-সেনাপতি গগন খাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করিল। তিন প্রহরব্যাপী প্ৰাণপণ যুদ্ধের পর গগন খ্যা পরাস্ত হইলেন। ধন্যমাণিক্য যশপুর ছাড়িয়া রাঙ্গামাষ্টীর দিকে হটিয়া চলিলেন। গঙ্গানগর পাড়ি দিয়া রাজা ডোম ঘাটিতে শিবির স্থাপন করিলেন । হৈতেন খাঁ স্থপতি ডাকিয়া সেই স্থানে অতি অল্প সময়ের মধ্যে গড় নিৰ্ম্মাণ করাইলেন। এদিকে গোমতীর জল ত্রিপুরার লোকেরা বিষাক্ত করিয়া ফেলিয়াছে, এই আশঙ্কা করিয়া হৈতেন খাঁ দুই প্ৰহরের মধ্যে সেই স্থানে এক দীঘি খনন করাইলেন। ডোমঘাটতে ডোম-মেয়েরা তান্ত্রিক অনুষ্ঠান জানিত-কথিত আছে, তাহারা মানুষ খাইত, লোকেরা তাহাদিগকে ডাইনি বলিত। প্ৰধান ডাইনি “ব্যসাগমা-যুবতী।” রাজার আজ্ঞায় সাত দিন গৌড়-মল্লিকের অপমান। bgयों ७ कब्रिांकॉन दि9 ग्र।