পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-ত্রিপুরারাজ্য Y) e MOA বন্ধুত্বপাশে বদ্ধ হন। উক্ত হতভাগ্য সম্রাটু-কুমার ত্রিপুরেশ্বরকে যে হীরক-অক্ষুৱীয় দিয়াছিলেন, * তৎ-বিক্রয়া-লব্ধ টাকা দিয়া গোবিন্দমাণিক্য কুমিল্লায় “সুজা বাদাসাহের মসজিদ” ও “সুজাগঞ্জ” নগর স্থাপন করিয়া তাহার স্মৃতি-তৰ্পণ করিয়াছিলেন। মুর্শিদাবাদের সনদের বলে গোবিন্দমাণিক্যের রাজত্ব কতক দিনের জন্য তঁহার বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা নক্ষত্ৰ সিংহ দখল করিয়া নিজেকে “ছত্রমাণিক্য” বলিয়া পরিচয় প্ৰদানপূর্বক রাজ্যশাসন করিয়াছিলেন। ছত্রমাণিক্যের মৃত্যুর পর গোবিন্দমাণিক্য পুনরায় রাজা হইয়াছিলেন । ইহার পরে ত্রিপুরা-রাজমালায় যাহা দেখিতে পাই, তাহাতে সার্বভৌম নৃপতিদের বংশধরগণের লাঞ্ছনার কথাই বেশী । মোগল সাম্রাজ্য তখনও দুর্দান্ত, মুর্শিদাবাদের শাসন কৰ্ত্তারা মোগল সম্রাটের প্রতিনিধির্তাহারাই সৰ্ব্বে-সৰ্ব্বা। গোবিন্দমাণিক্যের পুত্র রামমাণিক্য অতিপুণ্যবান ও দয়াল ছিলেন। সরাইল পরগনার জমিদার নছরআলির পুত্ৰ শিকার করিতে যাইয়া দৈবদুর্ঘটনায় ত্রিপুরেশ্বর-কুমার চন্দ্র-সিংহের প্রতি গুলি করিয়াছিল, কুমারের তখনই মৃত্যু হইল। নছর আলি মিঞা পুত্রকে ধরাইয়া মহারাজ রামমাণিক্যের নিকট বিচারার্থ পাঠাইলেন। রামমাণিক্য তাহাকে ক্ষমা করিলেন। এখন হইতে কিছু হইলেই জ্ঞাতিরা যাইয়া মুর্শিদাবাদে নবাবের কাণে লগাইত। দ্বারিকা নামক এক ব্যক্তি নবাবকে জানাইল, “রামমাণিক্য চক্ষেও দেখেন না। কাণেও শোনেন না, বুড়া ও অথর্ব হইয়াছেন, আমাকে রাজা করুন।” কিন্তু এই অভিযোগ তদণ্ডে টিকিল না। রামমাণিক্যের মন্দিৰ (২৩-১৬; পুত্র রত্নমাণিক্যকে পুনরায় সেই দ্বারিকা নানা ছলে মুর্শিদাবাদখs, নরেন্দ্ৰমাণিক্যু-১৭১১ নবাবের ফারমানের ফলে অধিকার চু্যত করিয়া স্বয়ং নরেন্দ্ৰখঃ, পরে আবার রত্নমাণিক্য মাণিক্য” নামে সিংহাসনে অভিষিক্ত হইলেন। কিন্তু নবাবদের পুনরায় গোবিন্দমাণিক্য SUVVy-SVb* 9 v. afNNffffa5 J-> USA -- SVbby'R 한: firstCs fg — »A » R \,: “ক্ষণে রুষ্ট ক্ষণে তুষ্ট” স্বভাব ; এই নরেন্দ্ৰমাণিক্য অল্পকাল পরেই মহেশ্রমাণিক্য-১৭১২- নবাবের ক্ৰোধে পড়িয়া রাজ্য-চু্যত হইলেন। পুনরায় রত্নমাণিক্য রাজা হইলেন । ইহার রাজত্বকালে কুমিল্লার প্রসিদ্ধ ‘১৭ রতন’ মন্দির নিৰ্ম্মিত হয়। অল্প পরেই রাজার ভ্রাতা ঘনশ্যাম ঠাকুর মুর্শিদাবাদ হইতে ফৌজ আনিয়া রত্নমাণিক্যের সিংহাসন কাড়িয়া লইলেন এবং তঁহাকে হত্যা করিলেন। ঘনশ্যাম ঠাকুরের উপাধি হইল “মহেন্দ্ৰমাণিক্য ।” ভ্ৰাতৃহত্যার অনুতাপে তাহার শরীর শুকাইতে লাগিল এবং তিনিও কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চােত্ব পাইলেন । তৎপরে যুবরাজ দুৰ্য্যোধন ( কাহার কাহারো মতে দুৰ্জয়দেৰ ) ধৰ্ম্মমাণিক্য নাম ধারণ করিয়া সিংহাসনে আরোহণ করিলেন। মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্যের প্রকৃতি দুর্দান্ত ছিল। তঁহার রাজস্ব-স্বরূপ বৎসরে ৫৩টি হস্তী মুর্শিদাবাদে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি এই রাজস্ব দেওয়া বন্ধ করিয়া দিলেন এবং পুনঃ পুনঃ তাগিদ সত্ত্বেও চুপ করিয়া রহিলেন। মুর্শিদাবাদের নবাব অত্যন্ত বিরক্ত হইলেন, ছত্রমাণিক্য মহারাজের জগৎরাম নামে এক প্রপৌত্র ছিলেন। ইনি যথেষ্ট অর্থ ও