পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-প্ৰাগজ্যোতিষপুর x o Głół ৬ ও ৭। রত্নপালের পুত্র পুরন্দর-পালের অকালমৃত্যুতে তৎপুত্ৰ ( রত্নপালের পৌত্র ) ইন্দ্ৰপাল রাজা হইয়াছিলেন, সময়-একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ । ইহার তাম্রশাসনের শিববন্দনাটি বড় সুন্দর। আমরা বৈষ্ণবপদে পুনঃ পুনঃ یسته झेंडय़ांग । পাইয়াছি, রাধা-কৃষ্ণ বাজি রাখিয়া পাশা খেলিতেছেন- “হারিলে তোমারে দিব বেশীর কঁচুলি। জিনিলে লইব তোমার মোহন মুরলী।” অনুশাসনের বন্দনায় পাওয়া যাইতেছে, হরগৌরী বাজী রাখিয়া পাশা খেলিতেছেন ও শিব পরাস্ত । গৌরী বলিতেছেন, “তোমার। সৰ্ব্বস্ব-খট্টাঙ্গ, পরশু, বৃষ, শশিকলা প্ৰভৃতি আমি জিতিয়াছি, কিন্তু সমস্তই আমি ফিরাইয়া দিলাম, কেবল গঙ্গা আমার জলবিহুনার্থ কিঙ্করী হইয়া থাকুক।” ৮। ধৰ্ম্মপাল-এই বংশের আদি পুরুষ ব্ৰহ্মপাল, ২য় রত্নপাল, ৩য় ইন্দ্ৰপাল, ৪র্থ গোপাল, ৫ম হর্ষপাল, ৬ষ্ঠ ধৰ্ম্মপাল । ধৰ্ম্মপাল দ্বাদশ শতাব্দীর প্ৰথম ভাগে বিদ্যমান ছিলেন । ভাস্কর বাৰ্মার সময়ে প্ৰাগজ্যোতিষপুর রাজ্য চতুদিক্‌ বেড়িয়া ১৬৬৭ মাইল ব্যাপক ছিল। কানিংহামের মতে সমস্ত ব্ৰহ্মপুত্র নদের উপত্যক ভূমি, কোচবিহার এবং ভুটান এই সুবিস্তৃত রাজ্যের অন্তৰ্গত ছিল । চীন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে ‘সু’ জনপদ এবং শ্ৰীহট্টেব। কতকাংশও প্ৰাগজ্যোতিষপুরের অধীন ছিল। গেট সাহেব বলেন, এই বংশের ইন্দ্ৰপাল রাজাকে বল্লালের পিতা বিজয় সেন পরাস্ত করিয়াছিলেন। এই যুগের কোন সময়ে তিম্বাদেব নামক প্ৰাগজ্যোতিষপুরের রাজা পাল-সম্রাটের বিরুদ্ধাচরণ করাতে বৈদ্যদেব নামক র্তাহার ( কুমারপালের ) ব্ৰাহ্মণমন্ত্রী কর্তৃক পরাস্ত ও নিহত হন। বৈদ্যদেব তথাকার রাজা হইয়াছিলেন (২৭০, পৃঃ)। में भां । ञ्त€ञ्प -झिCत्रे পাঠান-আক্রমণ ও ক্রমশঃ অধিকার-সঙ্কোচ এই বিপ্লবের পরে আমরা ত্ৰয়োদশ শতাব্দীর প্রথম সময়ে মহম্মদ ইবন ব্যক্তিয়ার খিলিজির আসামের বিরুদ্ধে অভিযান করার সংবাদ পাইতেছি। ব্যক্তিয়ার বহু বিড়ম্বিত হইয়া এই রাজার হস্ত হইতে কথঞ্চিৎ নিষ্কৃতি পাইয়া মৃত্যুর জন্ত বাঙ্গলা দেশে ফিবিয়া আসয়াছিলেন। ১২৫৭ খৃঃ অব্দে যুজিবক তোগ্রেল খাঁ কামরূপের বিরুদ্ধে অভিযান করিষা কিয়াৎকালের জন্য বিজয়ী হইয়াছিলেন, একটি মসজিদ পৰ্য্যন্ত স্থাপিত হইয়াছিল,-কিন্তু বর্ষাগমে র্তাহার সৈন্য-সামন্ত কোথায় ভাসিয়া গেল। তিনি কামরূপেশ্বরের হাতে নিহত হইলেন। ১৩৩৭ খৃঃ অব্দে