পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-প্ৰাগজ্যোতিষপুর Nò o Gołd নাগাপল্লীতে নিৰ্বাসিত করেন। পরবর্তী রাজা সুহংমংয়ের রাজত্বকালে ব্ৰাহ্মণ্য-প্রভাব খুব বৃদ্ধি পাইয়াছিল ; অহম রাজেরা এই সময় হইতে ‘স্বৰ্গনারায়ণ’ উপাধি ধারণ করিয়াছিলেন । ১৫১০ খৃষ্টাব্দে রাজা স্বীয় বাজ্যে আদমসুমারি করিয়া শ্রেণীবিভাগ করিয়াছিলেন । ইহার সঙ্গে চুটিয়া রাজা ধারনারায়ণের অনেক যুদ্ধ-বিগ্ৰহ হইয়াছিল । পুনঃপুনঃ পরাজিত হইয়া বিদ্রোহ করাতে চুটিয়া-রাজ্যটি ৩হম-রাজ্যের অন্তভুক্ত করা হইয়াছিল। এই সময়ে হুসেন সাহ অকুমারাজের বিরুদ্ধে অভিযান করেন । হুসেন সাহার সৈন্যমধ্যে ২৪,০০০ পদাতিক, বহু অশ্বারোহী ও অনেক যুদ্ধ-জাহাজ ছিল। প্ৰথমবার হটিয়া যাইয়া রাজা বর্ষাকালে হুসেন সাহার পুত্রসহ সমস্ত সৈন্য ধ্বংস করিয়াছিলেন (রিয়াজুস্তালতিন )। এই পরাজয়ের পর মুসলমানেব। আবার দুইবার আক্রমণ করিধাছিলেন । তুরাবক এবং হুসেন খা বহু চেষ্টা করা সত্ত্বেও কিছু কবিতে পারেন নাই, শেষে পরাজিত হইযাছিলেন ; শেষোক্ত সেনাপতি নিহত হইয়াছিলেন এবং অহমবাজ শত্রুশিবিরের ২৮টি হাতী, ৮৫ ০টি ঘোড়া, অনেক কামান, বন্দুক ও সোনা-রূপা পাইয়াছিলেন । সুন্হংমংকে কাছাড়া, খাম জাং, টাবলং এবং নামসাং-এর নাগাদের সঙ্গে অনেক যুদ্ধবিগ্ৰহ করিতে হইয়াছিল, কিন্তু প্ৰায় সব্বত্রই ইনি বিজয়ী হইয়াছিলেন, এবং কোচ-রাজ বিশ্বসিংহ এবং মণিপুররাজের সঙ্গে সন্ধি-সুত্রে আবদ্ধ হইয়াছিলেন । ইনি বিশেষ পরাক্রম ও দক্ষতার সহিত বাজত্ব করিয়াছিলেন, কিন্তু ইহার পুত্ৰ সুক্লেনফা ইহাকে এক ভূত্য দ্বারা হত্যা করেন। ইহার পূর্বে এই সুক্লেনফা স্বীয় পিতার বিরুদ্ধে মুসলমানদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করিয়াছিলেন । সুক্লেনফা রাজা হইয়া পিতৃহত্যার অভিযোগ মিথ্যা প্ৰমাণ করিবার জন্য হত্যাকারীর ভ্রাতাদিগকে বধ করেন। ইহার রাজত্বকালে কোচ-রাজ নরনারায়ণের সঙ্গে বহু যুদ্ধ ঘটিয়াছিল। নরনারায়ণের ভ্রাতা চিল; স্নায় ( শুক্লধ্বজ) অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও মহাবীর ছিলেন। তঁহার প্রভাবে অহম্রাজ কতককালের জন্য নিম্প্রভ হইয়া পড়েন। নরনারায়ণ ১৫৪৬ খঃ অব্দ হইতে যুদ্ধ আরম্ভ করিয়া দিকরারে নদী পৰ্য্যন্ত দখল করিয়া খারাঙ্গা, কলিযাবার প্রভৃতি অঞ্চল অধিকার করেন । সুক্লেনফার পুত্ৰ সুখাম্মফা। ইনি ঘোড়া হইতে পড়িয়া যাওয়ায় ইহার একটি পা খোড়া হইয়া যায়, এবং ইনি “খোড়া রাজা” নামেই পরিচিত হন। নরনারায়ণের ভ্রাতা চিলা রায় পুনরায় অহমরাজকে আক্রমণ করিয়া তাহার পশ্চাদ্ধাবন-পূর্বক নামরূপের চরাইখারং পৰ্য্যন্ত গিয়াছিলেন। আহম-রাজ সম্পূর্ণ পরাভব স্বীকার করিয়া কোচরাজের অধীনত্ব স্বীকারপূর্বক জামীনস্বরূপ র্তাহার প্রধান সামন্তগণের পুত্রগুলিকে প্ৰদান করেন এবং অনেক অর্থাদি দিয়া সন্ধি করেন, কিন্তু কোচ-সেনাপতি, চলিয়া গেলে পুনরায় স্বাধীনতা ঘোষণা করেন । এই সময়ে কোচরাজ মুসলমানদিগের সঙ্গে যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত থাকাতে জামীন প্ৰত্যাৰ্পণ করিয় অহমরাজের প্রস্তাধিত সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হন। সুখাস্ফা নর এবং চুটিয়াদের সঙ্গে কয়েকবার যুদ্ধ করিয়াছিলেন। র্তাহার অন্দরে বহু মহিষী ছিলেন এবং ইহাদের কেলেঙ্কারিতে রাজা Of-S GNon-Sec & 领:1 ReF-S a Y \sovo 형: 1