পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-কোচবিহার So ১৬ বৎসর বয়সে এই নামে-মাত্র-রাজা অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হন। সুতরাং তিনি কোন সন্তানাদি রাখিয়া যান নাই । মূল রাজবংশের ধারা এইখানে শেষ হয়, উজির মহীনারায়ণের বংশধর রূপনারায়ণ সিংহাসনে অভিষিক্ত হন। এই সময়ে মুসলমানেরা আসিয়া পুনরায় চাকলা বোডা, রূপনারায়ণ-১৬৮৩-১৭১৪ পাটগ্রাম এবং পুৰ্ব্বভাগ আক্রমণ করে। ১৭ বৎসর যুদ্ধবিগ্ৰহ श्रुः । চলে, পরে সন্ধি হয়। এই সময় হইতে কোচবিহার রাজ্যের প্ৰকৃত স্বাধীনতা বিলুপ্ত হয়। পূর্বোক্ত চাকলাগুলি নামে মাত্র কোচবিহার কর্তৃক অধিকৃত থাকে, কারণ রাজা সেগুলি পত্তনি মহল স্বরূপ বঙ্গেশ্বরের নিকট হইতে গ্রহণের পাট্টা প্ৰাপ্ত হন । ছত্রপতি রাজার পক্ষে ঐ রূপ ভাবে প্রজাস্বত্ব গ্ৰহণ করা অপমানকর, এজন্য রাজার পক্ষ হইতে র্তাহার জ্ঞাতি শান্তনারায়ণ ইজারা গ্ৰহণ করেন। এই সন্ধি ১৭১১ খৃঃ অব্দে সম্পাদিত হয় । মহারাজ রূপনারায়ণের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ উপেন্দ্রনারায়ণের রাজত্ব সুদীর্ঘকাল-ব্যাপক ছিল। ইহার সময় মহম্মদ আলি খা নামক রঙ্গপুরের ফৌজদার রাজ্য আক্রমণ করেন, কিন্তু ভুটিয়াদের সাহায্য গ্ৰহণ করিয়া মহারাজ রণজয়ী হইলেন । ৪৯ বৎসর রাজত্ব করিয়া মহারাজ উপেন্দ্রনারায়ণ পরলোকে গমণ করেন। র্তাহার প্রাধান রাজ্ঞী সহমৃতা হইলেন। ইহার পরে রাজপুত্র দেবেন্দ্রনারায়ণ সিংহাসনে অভিষিক্ত হইলেন, তখন র্তাহার বয়স পঞ্চ বৎসর মাত্র। কিন্তু দুই বৎসরের মধ্যে এক অচিন্তনীয় করুণ ঘটনায় রাজপুরী শোকাচ্ছন্ন দেবেন্দ্রনারায়ণ-১৭৬৩- হইয়া পড়িল । সম্ভবতঃ নাজির রুদ্রনারায়ণের ষড়যন্ত্র-ফলে s' be গোঁসাই রামানন্দ একটা কুৎসিত কসাইএর কাজ করিলেন। “অনেক কসাই ভাল গোসাইএর চেয়ে”-ঈশ্বর গুপ্তের এই কথাটি এখানে প্ৰমাণিত হইল। আমি জয়নাথ মুন্সীর বর্ণনা হইতে ঘটনাটি উদ্ধৃত করিতেছি :—“রামানন্দ গোসাঞীর সমভিব্যাহারে এক ব্ৰাহ্মণ ছিল, তাহার নাম রতি শৰ্ম্ম । সে প্ৰায় সম্বৎসর বলরামপুরে থাকিত। মহারাজের তখন ষষ্ঠ বৎসর বয়স। একদিন অপরাহ বেলাতে কয়েকজন সমবয়স্কের সহকারে রাজবাটীর অগ্নিকোণে, পদ্মপুষ্করিণীর বায়ব্য কোণে-যেখানে অশোকের একটা বৃক্ষ আছে—কুমারলোক কুপ খনন করিতেছে-ঐ স্থানে রাজা ক্রীড়া করিতেছেন, হাস্যকৌতুকে পরম আনন্দে আছেন, এই সময় রতি শৰ্ম্ম অকস্মাৎ কোন দিক হইতে কি প্রকারে তীক্ষ এক তরবারি হস্তে ধারণ করিয়া আসিয়া একাঘাতে মহারাজের শিরশ্যেছদ করিয়া বাম হস্তে কেশ ধরিয়া মুণ্ড লইয়া দ্রুতগতি ঐ পদ্মপুষ্করিণীর অগ্নিকোণে চণ্ডীর একটা ইষ্টকময় মন্দির ছিল, তাহাতে প্ৰবিষ্ট হইল। মহারাজের স্বর্ণ পুতুলীর ন্যায় শরীর ধূলাতে পতন হইয়া কবন্ধপ্ৰায় লুষ্ঠিত হইতে লাগিল। খাড়-ধরা প্ৰভৃতি রাজার রক্ষক ও ভৃত্য সকল হাহাকার শব্দ করিয়া রতি শৰ্ম্মার পশ্চাৎ ধাবমান হইয়া ঐ মন্দির মধ্যেই কেহ শূল, কেহ তরবারি, কেহ। বর্শাঘাতে অতি ত্বরায় রাজ-বধী ব্ৰহ্মণকে ছিন্ন ভিন্ন করিয়া নষ্ট করিল। ইহা প্ৰকাশ 芭江列图可颈博甲一》3>8... » १७७ भ्रूः ।