পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y obro বৃহৎ বঙ্গ শ্ৰীহট্টে লাউড়ের পাহাড়ে একটা স্থান দেখাইয়া এখনও লোকে তথায় ভগদত্তের বাড়ী ছিল বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকেন। বস্তুতঃ এককালে প্ৰাগজ্যোতিষপুর-রাজ্য যে বহু বিস্তৃত ছিল, এতৎসম্বন্ধে সন্দেহ নাই। কেহ কেহ অনুমান করেন, লাউড় হইতে ত্রিপুরার সীমা পৰ্য্যন্ত সমগ্ৰ জনপদ। ঐ রাজ্যের অন্তৰ্গত ছিল। ভগদত্ত ক্ষত্ৰিয় ছিলেন, র্যাহারা তাহার বংশধর বলিয়া দাবী করিয়াছেন, তাহারা আসামের ক্ষত্রিয় রাজা ছিলেন,- “তঁহাদের কথা পূৰ্বাধ্যায়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হইয়াছে। শ্ৰীহট্টের অৰ্দ্ধাংশ। শুধু আসামের অন্তৰ্গত ছিল এমন নহে, উহার কোন কোন স্থান বহুকাল ত্রিপুরারও অধীন ছিল। তাহা ছাড়াও পুরাকালে এই ভূভাগ অন্য অন্য বংশের স্বাধীন রাজগণ কর্তৃক শাসিত হইয়াছে; সুতরাং আৰ্য্যনিবাসের প্রথম যুগে পূৰ্ব্ব-ভারতের এই পূৰ্ব্বাংশ তীহাদের একটা প্ৰধান কেন্দ্র ছিল। এই রাজ্যের কোন ধারাবাহিক ইতিহাস নাই। ভিন্ন ভিন্ন বংশ লুপ্ত হওযার সঙ্গে সঙ্গে সেই সকল দেশের ইতিহাসও লুপ্ত হইয়াছে। পার্শ্ববৰ্ত্তী রাজ্য—ত্রিপুরা, জয়ন্তী পাহাড় বা নাগা দেশ, মণিপুর, আসাম প্ৰভৃতির ইতিহাস-প্রসঙ্গে শ্ৰীহট্টেব ইতিহাসের দুইএকটি কথা আমরা পাইতেছি। কিন্তু এই দেশ যে অতি প্ৰাচীন, ইহা যে শিক্ষার একটি প্রধান কেন্দ্ৰভূমি ছিল এবং নানা তীৰ্থ আধুষিত হইয়া আৰ্য্যাবর্তের হিন্দুমাত্রেরই যাতায়াতের স্থান ছিল, তাহাব বহু প্ৰমাণ আছে। প্রথমতঃ শ্ৰীহট্টের প্রাচীন তীর্থস্থানগুলির বিষয় লিখিব, তন্মধ্যে নিম্নলিখিত স্থানসমূহ আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করিব,-“উত্তরে পণ্য তীর্থ হইতে আরম্ভ করিয়া মহাদেব রূপনাথ, সিদ্ধেশ্বব, উনকোটি, তুঙ্গেশ্বর ও ব্ৰহ্মকুণ্ড পৰ্য্যন্ত জেলার তিন দিকেই বৃহদাকার দেবস্থান রহিয়াছে।” ( শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত, ১ম খণ্ড, ৯৯, পৃ: ) । ১ । বামজজঘা মহাপীঠ-জয়ন্তীয়া পাহাড়ের বাউরভাগ পাবগনায় । দেবীব নাম জয়ন্তী ও শিবের নাম ক্রমদীশ্বর । এই দুই দেবতাই ইষ্টকনিৰ্ম্মিত প্ৰকাণ্ড ভিত্তির উপর চতুষ্কোণ কুপে অবস্থিত প্রস্তরী-রূপী। ১৮৩৭ খ; অব্দ পৰ্য্যন্ত এখানে অসংখ্য নরবলি হইত। ২। রূপনাথ গুহা-নৈসৰ্গিক প্রস্তরময় গুহার মধ্যে বিচিত্র দৃশ্য । অচ্যুতবাবু লিখিয়াছেন, “কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইলেই ‘নক্ষত্রপুঞ্জ’। এমন মনোজ্ঞ দৃশ্যে কাহার না বিস্ময় উৎপন্ন হয় ? মস্তক উত্তোলন করিলেই দেখিতে পাওয়া যায়, সহস্ৰ সহস্ৰ নক্ষত্ৰ উৰ্দ্ধে জ্বলিতেছে। উপরে কৃষ্ণ চন্দ্ৰান্তপের ন্যায় প্রস্তরের অঙ্গে সমুজ্জ্বল বিন্দুগুলি ভ্ৰম উৎপাদন করে ; ঐ তারকাবলী জলবিন্দু মাত্র ; বিন্দু বিন্দু জল চুয়াইয়া প্রস্তরের ছাদে ঝুলিতে থাকে। যাত্ৰিগণের দীপালোকে উহাই নীলাকাশে বিচিত্র প্রোজ্জল নক্ষত্রের ন্যায় প্রতিভাত ौङ्धन यांौिन उीर्थ। আছে। চৈতন্যদেৰকেও আমরা “ন’দের চাঁদ’, ‘নবদ্বীপচন্দ্র” প্ৰভৃতি উপাধি দ্বারা নবদ্বীপের করিয়া লইয়াছি, DBDBD DDBtB BDBBDBDDBB BDD BDDSBDBD TBYDDBDDBB DBDBD DDB KBYY BD BDBDD উহাকে নবদ্বীপবাসী বলা হইয়াছে, কিন্তু তঁাহার উপর শ্ৰীহট্টের দাবী আমরা কিছুতেই অগ্ৰাহ করিতে পারি না।