পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস্য-শ্ৰীহট্ট Y oY0 অনুমানের আর একটি বিরুদ্ধ যুক্তি এই যে একাদশ, দ্বাদশ, এবং ত্ৰয়োদশ শতাব্দীর তাম্রপটগুলির শিববন্দনার বৈশিষ্ট্য, তাহারা যত প্ৰাচীন, ততই যৌন-লীলার কথা তাহাতে কম ; নবম শতাব্দীর পর হইতে ঐ সকল বন্দনায় গৌরীর সঙ্গে লীলাখেলার বর্ণনা বেশী। অপেক্ষাকৃত আধুনিক অর্থাৎ দ্বাদশ-ত্ৰয়োদশ শতাব্দীর তামশাসনে এই লীলা চরমে উঠিয়াছে। সন্নিকটবৰ্ত্তী কামরূপ-শাসনাবলীতে দেখা যায়,-৭ম শতাব্দীর ভাস্করবম্মার লিপিতে গৌরী কিংবা অন্য দেবীর রূপের কথার লেশ নাই, নবম শতাব্দীতে হৰ্জর দেবের তাম্রশাসনও উক্তরূপ বর্ণনা-বিরহিত, কিন্তু পরবত্তী বনমালের তাম্রশাসনে রমণীরা আসিয়া পড়িয়াছেন-লৌহিত্য নদের বন্দনায় বলা হইয়াছে, ঐ নদের জল ক্রীড়ানিরত সুরাঙ্গনাদের কেশ ও হস্ত হইতে ভ্ৰষ্ট সুরতরুর কুসুমে আরক্ত হইয়াছে। একাদশ শতাব্দীর ইন্দ্ৰপালের তাম্রশাসনে দৃষ্ট হয়-গৌরী পাশায় জিতিয়াছেন এবং শিবকে বলিতেছেন—“তুমি হারিয়াছ, কিন্তু পণের সকল দাবী আমি ছাড়িয়া দিতেছি, কেবল গঙ্গাকে আমাৰ কিঙ্করী কবিয়া দাও !” দ্বাদশ শতাব্দীতে ধৰ্ম্মপালের তাম্রপটে অৰ্দ্ধনারীশ্ববের বন্দনায় বলা হইয়াছে শিবের একদিকে ভস্ম ও অপর দিকে গৌরীর উত্তঙ্গ স্তনমণ্ডলের কুঙ্কুম। যদি এই তাম্পট ত্ৰয়োদশ শতাব্দীৰ হইত, তবে অনেকটা লক্ষ্মণসেনের শাসনের ন্যায় তাহাতে “কলিঙ্গাঙ্গনানাং” এর মত কোমল যৌনলীলা-সূচক পদ থাকিত । কেশবের তাম্রপটের সঙ্গে বরং ভাস্করবম্মার তাম্রশাসনের কোন কোন বিষয়ে সাদৃশ্য দৃষ্ট হয়, ইহাতে অনেক ব্ৰাহ্মণকে ভূমি দান করার কথা আছে, ইহাতেও এইরূপ দানের প্রশংসা ও ভূমি-অপহারকদের উপর অভিসম্পাত আছে। কামরূপের পরবর্তী সময়ের তাম্রপটগুলিতে তাহা নাই। কেশবদেব ও তৎপুত্র ঈশানদেবের বংশাবলী এইরূপ :-১ । নবগীৰ্ব্বান, R | গোকুলদেব, DHDSS DDBBBBS S0SS SBDBBDDSDBDS S S D BDS ঈশানদেব । ইহার শৈব হইলেও বিষ্ণুভক্ত ছিলেন, তৎপ্রত্যর্থে মন্দির স্থাপন করিয়াছিলেন এবং ইহাদের নামেও বিষ্ণুভক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। ইহারা সার্বভৌম রাজা ছিলেন,-ইহাদের অনেক যুদ্ধ-জাহাজ ও রথ ছিল। ঈশানদেবের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন “বৈদ্যাকুল-প্ৰদীপ বনমালী কর” এবং সেনাপতি ছিলেন সমর-প্রবীর বীরদত্ত। কেশবের তাম্রপটে যে হট্টপাটকে বটেশ্বরের উল্লেখ আছে—তাহা বোধ হয় করিমগঞ্জের সুৰ্ম্মানদীর বামতীরে জয়ন্তীপুরের হাটকেশ্বর হইতে অভিন্ন (আসাম জেলা গেজেটিয়ার, ৩ অধ্যায়, ৮৭ পৃঃ)। অচ্যুতবাবু লিখিয়াছেন, “গৌড়গৌবিন্দ এই হাটকেশ্বর শিবপূজা করিতেন। মিনারের টিলা বা নিকটের অন্য কোন টিলাতে হাটকেশ্বর স্থাপিত ছিলেন । হজরত সাহজালালের সময় যখন গ্ৰীবা-পীঠ সংগোপন করা হয়, তখন রাজপূজিত হাটকেশ্বর জঙ্গলে নীত হন। বহুকাল ঐ লিঙ্গ সেইখানে ছিলেন, তথা হইতে চুড়া থাইড় পরগনার সেনগ্রামে নীতি छन् ।” ( हेऊिठूख्, २ग छात्रा, sभ अक्ष)ांग्र, २२० शूछे | ) তাম্রপটে এই রাজাদিগকে চন্দ্ৰবংশীয় বলিয়া লিখিত আছে, ইহারা যে গৌড়গোবিন্দের পূর্বপুরুষ নহেন, তাহাঁই বা কি করিয়া বলা যায় ? আমরা তাম্রপটের জাতি সম্বন্ধে কোন কথার উপর বেশী আস্থা Cryp C Vsegaffa