পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VGKV) বৃহৎ বঙ্গ বন্দনা করিয়াছেন (২য় খণ্ড, ২য় সংখ্যা, পৃঃ ৩২৫ )। চৌধুরীর লড়াই গীতিকায় মুসলমান গায়েন পশ্চিমে মক্কা মূল স্থানের উদ্দেশে প্ৰণাম জানাইয়া “জগন্নাথ দেউ” সম্বন্ধে লিখিয়াছেন“বন্দি ঠাকুর জগন্নাথ । ভেদ নাই, বিচার নাই, বাজারে বিকায় ভাত । চণ্ডালে রাধে ভাত ব্ৰাহ্মণেতে খায়। এমন সুধন্য দেশ জাত নাহি যায়। ভাত লইয়া তারা মুণ্ডে মুছে ভাত। সে কারণে রাইখাছে নাম ঠাকুর জগন্নাথ” (৩য় খণ্ড, ২য় সংখ্যা, পৃঃ ৩১০ ) । শেষের দুইটি ছত্ৰ পড়িয়া পরবত্তী ভারতচন্দ্ৰেয়-“চল ভাই নীলাচলে। খাইয়া প্ৰসাদ ভাত, মাথায় মুছিব হাত, নাচিব গাহিব কুতুহলে।” প্রভৃতি কবিতার কথা সহজেই মনে হয়। আর একজন মুসলমান পল্লীকবি লিখিয়াছেন-“হিন্দু আর মুসলমান একই পিণ্ডের দড়িকেহ বলে আল্লা রসুল কেহ বলে হরি।” আফগান-প্ৰাধান্যের সময়ে হিন্দু ও মুসলমান একত্র হইয়া মোগলের বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছিলেন, দুই জাতির মধ্যে আত্মীযতা হইলে যদিও হিন্দুগণ সমাজ-বহির্ভূত হইয়া পড়িতেন, তথাপি তাহারা তাহদের স্বাভাবিক বৃত্তি ও হিন্দুসমাজের প্রতি অনুরাগ বিস্মৃত হইতেন না। হুসেন সাহের পুত্র নসরত সাহ মহাভারত কাব্যের বাঙ্গলা অনুবাদ করাইয়াছিলেন, উক্ত বাদ সাহের সেনাপতি পরাগল খাঁ মহাভারতের আর একখানি অনুবাদ সঙ্কলন করাইয়াছিলেন ; সঙ্কলয়িতার নাম কবীন্দ্র পরমেশ্বর। পরাগল খার পুত্ৰ ছুটি খা। (চট্টগ্রামের শাসনকৰ্ত্তা ) শ্ৰীকরণ নন্দী নামক কবি দ্বারা মহাভারতের অশ্বমেধপর্বের অনুবাদ সঙ্কলন করাইয়াছিলেন । বঙ্গেশ্বর সামসুদিন ইউসাফ গুণরাজ খাঁ উপাধিধারী বসু বংশীয় মালাধর নামক কবিব (কুলীনগ্রামবাসী ) দ্বারা শ্ৰীমদ্ভাগবতের দশম ও একাদশ স্কন্ধেব অনুবাদ কাবাইয়াছিলেন। বিদ্যাপতি “প্ৰভু গায়েসউদ্দিন সুলতানা”কে প্ৰশংসাসূচক এই পদাংশ উপহাব দিয়াছিলেন । নিশ্চয়ই তিনি সুলতানের উৎসাহ পাইয়াছিলেন । এই গায়ে সুদিন কবি হাফেজকে পারস্য দেশ হইতে বাঙ্গলায় লইয়া আসিতে লালায়িত ছিলেন । মিথিলাব রাজসভােব দীর্ঘায়ু কবি একাধিক গৌড়েশ্ববের আনুকূল্য পাইয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছিলেন। বিদ্যাপতি লিখিয়াছেন- “সে যে নাসিবা সাহি জানে, যারে হানিল মদন বাণে, চিৰঞ্জীব বহু পঞ্চ গৌড়েশ্বর, কবি বিদ্যাপতি ভানে।” যশোরাজ খা নামক কবি হুসেন সাহ সম্বন্ধে লিখিয়াছেন—— “সাহি হুসেন জগতভূষণ, ভনে যশোরাজ খানে।” সুদূর চট্টগ্রাম হইতে এই সুরে সুর মিলাইয়া কবীন্দ্র পরমেশ্বর হুসেন সাহকে কলিযুগের কৃষ্ণ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন, এরূপ উদাহরণ অসংখ্য। আমাব এ সকল কথা এখানে উল্লেখ করিবাব উদ্দেশ্য এই যে বাদাসাহের পরিবারে হিন্দুলণনার আমদানী হওয়াতে এবং এদেশের বহু সভ্রান্ত হিন্দু মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হওয়ার পরে বাদসাহী দরবারে বাজলা DBD BDBD S DBDS SBDSS DBDBD SDBDDBBBS SDBBD এটি ঘটতে পারিত না । বিদ্যার অর্ণবযানসদৃশ, দেব-ভাষার প্রতি অতিমাত্রায় শ্রদ্ধাবান টুলো পণ্ডিতগণের বাঙ্গলা ভাষার প্রতি বিজাতীয় ঘূণার দরুন আমাদের দেশের ভাষা যে কোন কালে রাজত্বারে প্রবেশ করিতে পারিত, এমন মনে হয় না। পাঠান 丐西村顶西怀烈日