পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-মেদিনীপুর dò ød হাটিয়া মন্দির-পথবৰ্ত্তী হয়। মণিপুরী মেয়েদের রাস-নৃত্য-নৃত্যকলার সম্পদ, তঁহাদের হাতের নানারূপ শিল্প অতীব প্ৰশংসনীয় । प्द्धान्त्>< >ॉझिCत्रड्छ्न् মেদিনীপুর মাদলাপঞ্জী অনুসারে পুরাকালে উড়িষ্যা রাজ্য ৩১টি “দণ্ডপাঠ” বা খণ্ড-রাজ্যে বিভক্ত ছিল। তন্মধ্যে বৰ্ত্তমান মেদিনীপুর ৬টি “দণ্ডপাঠ’ লইয়া স্বতন্ত্র রাজ্যে পরিগণিত হয় : (১) টানিয়া, (২) নারায়ণপুর, (৩) ভঞ্জভূমি বারিপদা; (৪) নইগাঁ, (৫) জৌলতি, (७) भावादि। ( ১ ) টানিয়= বৰ্ত্তমান কালে বালেশ্বরের কিয়দংশ ও দাতন থানা । ( ২ ) নারায়ণপুর == নারায়ণ গড়। (৩) ভঞ্জভূমি বারিপদ = মেদিনীপুর, কেশপুর, শালবনী, খড়গপুর, বিনপুর, ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর থানা, এবং ময়ুরভঞ্জ রাজ্যের অধিকাংশ । ( ৪৫ ) নইগ ও জৌলতি = এগরা নগুয়া, পটাশপুর ও সবঙ্গ । (৬) মালঝিটা= রামনগর, কঁথি, খাজুরি ও ভগবানপুর থানা। যখন মাদলাপঞ্জীর এই বিভাগ উল্লিখিত হয়, তখন তমলুক (তাম্রলিপ্ত) উড়িষ্যার অন্তর্গত ছিল না, এজন্য উহার নাম এই তালিকায় নাই। আকবর মেদিনীপুর জেলার যে নূতন বিভাগ করেন, তাহাতে এই জেলার অধিকাংশই সরকার জলেশ্বরের অন্তভুক্ত হইয়াছিল। রাজা তোদড় মল্ল-কৃত বিভাগে জলেশ্বরের অন্তর্গত কুড়িটি মহাল মেদিনীপুরের মধ্যে পড়িয়াছে :-(১) ঘাগড়ী, (২) ব্ৰাহ্মণভুমি, (৩) খারাকপুর, (৪) কুতুবপুর (মহাকাল ঘাট ), ( ৫ ) মেদিনীপুর, (৬) কেদারকুণ্ড, (৭) সবঙ্গ, (৮) কাশীজোড়, (৯) তমলুক, ( ১০ ) নারায়ণপুর, ( ১১ ) তরকোল, (১২) মালঝিটা, (১৩) বালি সাহীি, ( ১৪ ) ভোগরাই, ( ১৫ ) দ্বাদশভূম, (১৬) জলেশ্বর, (১৭) গগনপুর, (১৮) রাইন, (১৯ ) করেই, (২০) বাজার। মেদিনীপুর জেলার তমলুকের প্রাচীন বন্দর বিশ্ববিশ্রাত ; এখানকার বর্গভীমার মন্দির একটি মহাতীৰ্থ। সপ্তদশ শতাব্দীতে রচিত জগমোহন পণ্ডিতের “দেশাবলী বিবৃতি” নামক পুস্তকে লিখিত আছে তখনও আদিগঙ্গার পশ্চিমের অনেকগুলি পল্লীকে লোকে তমলুক বলিত। তদনুসারে বেহালা, বঁড়িশা, মণ্ডলঘাট প্রভৃতি সমস্ত দেশই তমলুকের অন্তৰ্গত ছিল। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় এই “দেশাবলী বিবৃতি” উদ্ধার করিয়াছেন। পাটনার সুবেদার বিজ্জলদেব নামক এক চৌহান রাজার আদেশে জগমোহন পণ্ডিত ১৬৪৮ খৃষ্টাব্দে