পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-মেদিনীপুর ΣΣ) ο প্ৰাচীন কীৰ্ত্তিগুলির কোন ছায়া-চিত্র দেওয়া হয় নাই, আমরা মূলতঃ তাহার ইতিহাস অবলম্বন করিয়া কয়েকটি কথার উল্লেখ করিব । (১) বর্গভীমার মন্দির-কথিত আছে এই মন্দির ও বিগ্ৰহ জৈমিনীয় ভারতোক্ত ময়ুৱধবজের বংশীয় গরুড়ধ্বজ স্থাপিত করেন, কিন্তু উহা একটি গল্প মাত্র। মনে হয় মন্দিরটি পূর্বকালে কোন বৌদ্ধ মঠ ছিল, পরবত্তী কোন হিন্দু রাজা উহা হিন্দুভাবাপন্ন করিয়াছেন। বর্গভীমার মূৰ্ত্তি উগ্ৰতারার মত। মন্দিরটি ৬০ ফুট উচ্চ এবং অপূর্ব শিল্পনৈপুণ্যপূর্ণ। এই উচ্চতা DDD BBD DBB DB DB DBB SS S SSDLSS DDBBDYSTBDBJ KDB BBD0 LLSDDDDSSSL বৰ্গ ফুট, ইহার চতুঃপাশ্বের প্রত্যেক দিকে ৭০০ ফুট দীর্ঘ পরিখা । বাহির গড়ের পরিখা প্ৰত্যেক দিকে ১৪০০ শত ফুট । (৩) মহিষাদলের রাণী জানকী-দেবীর নবরত্ন মন্দির ( ১ ॥৮৮ খৃঃ), রামাজিউর মন্দির, রাণী ইন্দ্ৰাণীদেবীর রাসমণ্ডপ, সিংহবাহিনী দেবী প্রভূতি । (৪) দোরো পরগনায় মাধব, সাগর মাধব ও নীলমাধব-নীল প্রস্তরের অতি প্ৰাচীন বৌদ্ধযুগের মূৰ্ত্তি-চমৎকার শিল্প-নিদর্শন। (৫) ঝাঁকড়ার দীঘি--বড় দীঘিটি নাই, ছোট দীঘিটি আছে- এই ৫৬ টি দীঘির এক পারে দাড়াইলে অপর পারের মানুষ লিলিপুটদের মত ছোট দেখায় । ছোট দীঘি যদি এই হয়, বড়টি কিরূপ ছিল, তাহা অনুমান করা যায় । সম্ভবতঃ বৌদ্ধ যুগে এই দীঘিগুলি খাত হইয়াছিল । (৬) গোপ-গিরিতে যে সকল কীৰ্ত্তি-চিহ্ন আছে, তাস্থ মহাভারতের বিরাট রাজার সঙ্গে জড়িত করিয়া অনেক উপকথা তাদেশে প্রচলিত করা হইয়াছে। রামপালের সামন্ত-চক্রের অন্যতম বিরাটু গুহ (একাদশ শতাব্দী ) কর্তৃক ঐ সকল নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল বলিয়া অনেকে অনুমান করেন । (৭) কর্ণগড়গড়টি একক্রোশ ব্যাপক ছিল। ইহা ছাড়া বৌদ্ধযুগের বহু ভগ্ন মূৰ্ত্তি ও মন্দিরাদির কথা মেদিনীপুরের ইতিহাস-লেখকেরা উল্লেখ করিয়াছেন। এখানে তাহদের বিস্তৃত বিবরণ CN7e89 WJvg< এই ক্ষুদ্র সন্দর্ভের অনেক কথাই আমি যোগেশচন্দ্ৰ বসু ও ত্ৰৈলোক্যনাথ পাল মহাশয়দ্বয়ের ইতিহাস হইতে সঙ্কলন করিয়াছি। মেদিনীপুর কাশীরাম দাস ও তাহার ভ্রাতাদের কৰ্ম্ম-ক্ষেত্র, কবিকঙ্কণ মুকুন্দরামের চণ্ডী লিখিবার স্থান, মহাপ্রভুর পদাঙ্ক-পুত, অশোকের স্মৃতি-বিজড়িত, চীন,পৰ্য্যটক বোধিধৰ্ম্ম, প্ৰসিদ্ধ গ্রীকদূত প্ৰভৃতি বহু গণ্যমান্ত ব্যক্তির স্মৃতি-সংশ্লিষ্ট, ইদানীংকালে দিগ্বিজয়ী পণ্ডিতাগ্রগণ্য মৃত্যুঞ্জয় ও দয়ার সাগর বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি-সুতরাং এই স্থান বাঙ্গালীর হৃদয়কে সহজেই আকর্ষণ করে।