পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-বন-বিষ্ণুপুর Σ. Ο Σ. Σ অত্যুক্তির মত শোনায়। জগৎময় যেন একটা উত্তপ্ত মরুভূমি, বিষ্ণুপুর তন্মধ্যে ওয়েসিসের * I & ISC, tCat fifter, "In this district are the only vestiges of the beauty, purity, regularity, equity and strictness of ancient IndoostanGovernment. Here the property as well as the liberty of the people are inviolate, hare no robberies are heard of either private or public (Interesting Historical Events, by Holwell, published in 1765). ইহার মৰ্ম্মার্থ-“এই জেলায় প্রাচীন হিন্দু শাসন-তন্ত্রের সৌন্দৰ্য্য, পবিত্রতা, নিয়মশৃঙ্খলা এবং ন্যায়পরতার একখানি জীবন্ত চিত্র রহিয়া গিয়াছে; এই দেশের মত আর কোথাও তাহা নাই। প্রজাদের স্বাধীনতা ও সম্পত্তি এখানে সুরক্ষিত, তাহাতে হস্তক্ষেপ করিবার সাধ্য কাহারো নাই। এখানে গোপনে অথবা প্ৰকাশ্যে দাসু্যবৃত্তি কোথাও সংঘটিত छझ ब्ा ।' ফরাসী পৰ্য্যটক এ্যাবি রেনেল লিখিয়াছেন :-“এই দেশকে প্ৰকৃতি এমন ভাবে নিরাপদ করিয়া রাখিয়াছেন যে অধিবাসীদের চরিত্রের মাধুৰ্য্য এবং হৃদয়ের আনন্দ সেই আদিকাল হইতে একভাবে চলিয়া আসিয়াছে। তাহদের হস্ত কখনই নর-রক্তে রাজিত হয় না । ইহারা চারিদিকে জলের দ্বারা এরূপ সুরক্ষিত যে, বাঁধ খুলিয়া দিলেই সমস্ত দেশ ডুবিয়া ষায় । কতবার বাহিরের শক্র এই ভাবে ধ্বংস পাইয়াছে। ফলে আর কেহ ইহাদিগকে আক্রমণ করিতে সাহসী হয় না ।” বাহিরের লোক এদেশে আসিলে যেরূপ আতিথ্য পাইত, যুরোপীয় লেখকেরা একবাক্যে তাহার অজস্ৰ প্ৰশংসা করিয়াছেন । হলওয়েল সাহেব লিখিয়াছেন, “কোন বিদেশীবাণিজ্য-ব্যবসায়ের প্রয়োজনে অথবা শুধু দেশ-ভ্রমণার্থ-যে মুহূৰ্ত্তে বিষ্ণুপুরে প্রবেশ করেন, সেই মুহুর্তে তিনি রাজ-অতিথি বলিয়া গণ্য হন। সরকারী ব্যয়ে তাহার শরীররক্ষী নিযুক্ত হয়,-তাহার চলাফের প্রভৃতির যাহাতে সুবিধা হয়-প্ৰতি-পদে এই সকল লোক তাহা সম্পাদনা করিতে আদিষ্ট হয়। প্রথম রক্ষীর দল কতক দিন পরে তাহাকে তদ্রুপ দ্বিতীয় একটি দলের নিকট সমর্পণ করে-এই ভাবে এক দলের কৰ্ত্তব্য শেষ করার সময় পৰ্য্যটক মহাশয়কে ইহাদের ব্যবহাৱাদি সম্বন্ধে নানারূপ প্রশ্ন কৱা হয় এবং ইহাদের ব্যবহারে কোন ত্রুটি হয় নাই, প্রধান কৰ্ম্মচারীর নিকট তদ্ররূপ একখানি লিখিত সাটিফিকেট দিতে হয়। এই ভাবে ক্ৰমাগত এক দলের পর অপর দলের রক্ষকদিগের সঙ্গে তিনি রাজ্যের সর্বত্ৰ পৰ্যটন করেন। যে দিন বিষ্ণুপুরে তিনি পদাৰ্পণ করেন, সেই দিন হইতে তাহার আহারাদি ও থাকিবার ব্যবস্থা সমস্তই রাজব্যয়ে নিৰ্বাহিত হইয়া থাকে । তাহার সঙ্গের দ্রব্যাদি বহন প্ৰভৃতি অনুসজিক সমস্ত খরচ রাজা দিয়া থাকেন। কোন পীড়া বা দৈব বাধা উপস্থিত না হইলে একস্থানে তিন দিনের বেশী থাকিলে অবশ্য পৰ্য্যটকের নিজেই ব্যবস্থা নিজেই করিতে হয়। রাজ্যের মধ্যে যদি কেহ কোন জিনিষ হারায়, তবে ষে তাহা কুড়াইয়া পায়-সে তৎক্ষণাৎ