পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VVo বৃহৎ বঙ্গ উপব টলমল করিত, এই সকল আবুহোসেন শিল্প ও স্থাপত্যর চিন্তা কখন করিবেন ? ব্যবঞ্চ সেই যুগে গুপ্ত গৃহ, গুপ্তদ্বার, অনতিদীর্ঘ অল্প প্ৰশস্ত গৃহ ও অন্দর, কোন কোন স্থানে হঠাৎ পাব-আক্রমণকালে পলাইবার উপাযব্স্বরূপ জলনালী (Tunnel) প্ৰভৃতি বাজপ্রাসাদের অঙ্গীয়া হইঘাছিল । এমন কি হিন্দুবাও অত্যাচাব হইতে আত্মবক্ষণ করিবার জন্য তাঙ্গাদেব মন্দিবে এইরূপ ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । সেই সমনেব অধিকাংশ প্রাচীন মন্দিবেই প্রবেশদ্বােব অতি সঙ্কীর্ণ, ত্ৰিপুবার সপ্তরিত্ন মন্দিরের ( কুমিল্লাব অদূববৰ্ত্তী) উদ্ধে উঠিলে পথিক নীচে নামিতে পরিবেন না। এই উচ্চ মন্দিবেব আগম ও নিৰ্গম পথ একটা দুবন্ত চেশালী । বহুদিন যাতায়াত না কবিলে সেই রহস্যের সমাধান হয় না ! এই ৰূপ মন্দিব পাঠানাধিকাবেব সমধ্যে বহু হই যাছিল, গৌডের "লুকোচুবী” তোরণ দুর্গ, মুসলমানদেব কৃত, উহা এইরূপ একটা বহন্ত । উস্তাব উদ্ধস্তবের স্থাপত্য ছত্ৰপুবেৰ সুবিখ্যাত “রাজগড়” দুৰ্গেৰ কথা স্মবণ করাইয়া দেয় । এই সকল মন্তব্য লিখিয়া আমবা বলিতে বাধ্য এখনও এদেশে পাঠান-যুগেব শিল্প ও স্থাপত্যের বহু নিদর্শন রহিয়াছে । 'গুপ্ত, পাল ও সেন-যুগেৰ কথা মনে হইলে পাঠান-যুগের শিল্পেব স্বল্পতা তুলনায় শ্ৰীষ্টীন মনে চিঠিবে ; কিন্তু তাই বলিযা তাহা কখনই উপেক্ষণীয নহে । ইত্যা নিশ্চয় যে পূর্বকালের দেশান্য স্থপতি ও শিল্পবিশাবদগণই গৌডেব বাজ প্রাসাদ, দুর্গ ও মসজিদ প্ৰভৃতি নিৰ্ম্মাণ করিতেন । বঙ্গেব চিরপ্ৰসিদ্ধ “বারদুয়াবী ঘব,” যাহার কথা পূর্ববঙ্গ-গীতিকাষ আমবা বহুবার পাইয়াছি, বঙ্গের দোচালা ঘবেব মত ছাদবিশিষ্ট বাঙ্গালা ঘর-যাহা বঙ্গীয় মস্তিষ্ককর্তৃক প্রথম উদ্ভাবিত হইয়াছিল,—গৌড়ের ও পাণ্ডুযার নবাবদের কীৰ্ত্তির মধ্যে তাঁহারই নমুনা বেশী পাওযা যায় । গৌডের সোণা মসজিদ এখনও বারদুয়ারী মসজিদ নামটি রক্ষা করিযাছে । ইহ? বাঙ্গলার নিজস্ব স্থাপত্য । ইহা ছাড়া রাজসাহীব “বাঘাব মসজিদ,” গৌড়ের “হুসেন সাহের মসজিদ” এবং “চাদ দরওজা”, তথাকার “জানাজান মিঞার মসজিদ, সাসারামের ইসলাম সাহের সমাধিস্থান প্ৰভৃতি মসজিদগুলিতে উৎকীর্ণ আরব লিপি ভিন্ন বঙ্গে বিদেশীয় স্থাপত্যপ্রভাব খুব অল্পই দৃষ্ট হয । গৌডের “কদম রসুল” বা “কদম শরীফ"ট ঠিক হিন্দু মন্দিবের মতই, উৰ্দ্ধে একটি গম্বুজ রচনা করিয়া উহাকে মুসলিম ছাপ দেওয়া হইয়াছে। লোটন বা নোটন মসজিদটি গৌড়ের একখানি বাঙ্গালা ঘবেরই অনুকরণে নিৰ্ম্মিত । গৌড়ের ভাস্কর্ঘ্যের নিদর্শনস্বৰূপ কলিকতাব চিত্রশালায় যে প্রস্তবখণ্ডের বাখালদাসবাবু তাহার বাঙ্গালাব ইতিহাসের দ্বিতীয় খণ্ডব ১৭৬ পৃষ্ঠাষ স্থান দিয়াছেন তাহাব ফুল-পল্লবেব সুচারু। কাৰ্য্যও বোধ হয। আমবাবতীব শিল্পীদের বংশপর্বগণ পবিকল্পনা কবিয়াছিলেন । মঙ্গলকোটের নূতন হাটের মসজিদটি হিন্দুব প্রাচীন মন্দিরাদিব লক্ষণাক্রোন্ত । ত্ৰিবেণীব জাফর খ্যার সুপ্ৰসিদ্ধ মসজিদ এখনও একটা দশনী’। সমগ্ৰী, এই মসজিদ একটি হিন্দু মন্দিব ভাঙ্গিয়া বাচিত হইয়াছিল। দেব-দেবীব চিত্র পশ্চাৎদিগের আস্তর খুলিলেই ধবা পড়ে । এই মসজিদেব কোন কোন স্থলে হিন্দু মন্দিবের প্রাচীন অংশ পুননিৰ্ম্মিত হয় নাই, যেমনটি ছিল সেই ভাবেই রক্ষিত আছে । भमछिन्न-ब्रbनाश्न श्न्यूि लिऔं ।