পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSVOe বৃহৎ বঙ্গ উল্লিখিত পল্পী । ( বাঙ্গালার ইতিহাস, ১ম খণ্ড, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ২য় সংস্করণ, s: ooc The Antiquities of Khari.) ইতিপূর্বে এতদ্দেশে আবিষ্কৃত প্ৰস্তরমূৰ্ত্তি প্ৰভৃতি যে সকল পুরাকীৰ্ত্তি-নিদর্শনের কথা উল্লিখিত হইয়াছে তাহদের অধিকাংশই উক্ত পাল ও সেন-রাজত্ব-সময়ের। ঐগুলি দেখিলে বুঝা যায় যে ২৪-পরগনা জেলার মধ্যে সাগরতীরবর্তী সুন্দরবন-প্ৰদেশই এই পাল ও সেনরাজত্বকালে বহু গ্রামনগরাদিতে সমৃদ্ধ ছিল এবং সে সময়ে তথায় ব্ৰাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের প্রভাবই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক ছিল। বাঙ্গলাদেশের অন্যান্য অংশের ন্যায় তৎকালে বৌদ্ধধৰ্ম্ম এতৎ অঞ্চলে প্ৰবল হইয়া উঠিতে পারে নাই। কোন সময়ে কি কারণে এই প্রদেশের ঐ সমস্ত লোকালয় ধ্বংসপ্ৰাপ্ত হয়, তাহ আজিও ঠিক জানা যায় নাই। তবে এখানে এ পৰ্য্যন্ত কেবলমাত্র মুসলমান রাজত্বকালের অব্যবহিত পূর্ববৰ্ত্তী সময়ের সভ্যতার নিদর্শনসমূহের আবিষ্কার হওয়াতে বোধ হয় মুসলমান আমলের পূর্বে, সম্ভবতঃ সেনরাজত্ব-কালের শেষ সময়ে, এতদ্দেশের প্রাচীন জনপদসমূহ, হয় কোনরূপ প্ৰাকৃতিক বিপ্লবে অথবা বৈদেশিক আক্রমণে, নষ্ট হইয়া বৰ্ত্তমান সুন্দরবনে পরিণত হইয়া পড়িয়াছিল । মুসলমান অধিকারকাল এ পর্য্যন্ত বাঙ্গলার ইতিহাস যতদূর সংগৃহীত হইয়াছে, তাহ পাঠে বুঝা যায় যে মুসলমানগণ গৌড়-বিজয়ের বহুদিন পরে নিম্নবঙ্গ জয় করিতে সমর্থ হইয়াছিল। সেন ংশীয় নরপতিগণ বঙ্গদেশের অন্যান্য অংশের অধিকার হারাইয়া অবশেষে বাধ্য হইয়া পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণ-বঙ্গে আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছিলেন এবং এই নদীবহুল দুৰ্গম প্রদেশে থাকিয়াই বহুদিন মুসলমানগণের সহিত সংঘর্ষ চালাইয়াছিলেন। বখতিয়ার খিলিজির মৃত্যুকালে বরেন্দ্ৰভূমির কিয়দংশ মাত্র তাহার পদানত হইয়াছিল (Tabkati Nasiri, pp. 484-486, বাঙ্গালার ইতিহাস, ২য় খণ্ড, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় )। মহারাজ লক্ষ্মণ সেনের বংশধরগণ সে সময়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-বঙ্গের অধিকারী ছিলেন (Ibid, p. 588)। ১২৯৮ খৃষ্টাব্দে মোগলসম্রাট গিয়াসউদ্দীন বলবনের মধ্যম পৌত্র, বাঙ্গলার স্বাধীন সুলতান রুকুনুদ্দীন কৈকাসের রাজ্যের শেষভাগে, দেবকোটের শাসনকৰ্ত্তা বহরম ঈৎগীন জাফর খাঁ কর্তৃক সপ্তগ্রাম বিজিত হইয়াছিল, কিন্তু তখনও সমুদ্রোপকূলবৰ্ত্তী দক্ষিণ-বঙ্গ মুসলমানগণের অধিকারে আসে নাই ( বাঙ্গালার ইতিহাস, ২য় খণ্ড, বাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়)। ঐ সময়ের প্রায় ১৬৭ বৎসর পরে, ১৪৬৫ খৃষ্টাব্দে, অথবা তাহার কিঞ্চিৎ পূর্বে সুলতান রুকুনুদ্দীন বরাবকের রাজত্বকালে, সমগ্ৰ দক্ষিণ-বঙ্গ সম্পূর্ণরূপে মুসলমানগণের অধিকারভুক্ত হইয়াছিল (Epigraphia Indica, LL LLLLLLLCCSS 0000aaLS S L00SS gB BDLB BBD DDBBD BBBu L SBD এখনও তথায় বর্তমান আছে এবং সাহী মসজিদ নামে প্ৰসিদ্ধ ( বসিয়হাটের সাহী মসজিদ, শ্ৰীদ্বিজেন্দ্রনারায়ণ রায়চৌধুরী, বঙ্গীয সাহিত্য-সম্মিলনের চতুর্দশ অধিবেশনে পঠিত প্ৰবন্ধ) ।