পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δΣ88 বৃহৎ বঙ্গ আমাদের সুচিন্তিত ধারণা এই যে ইহারা অভিন্ন এবং এই রাজা ও তাহার বংশধরেরা পরবর্তী কালে কিছু কালের জন্য সেন-রাজ-প্ৰাসাদের শেষ প্ৰদীপ জ্বালাইয়া রাখিয়া ছিলেন। ১১৩৬ পৃষ্ঠায় দীঘাপতিয়ার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা দয়ারামকে পুটিয়ার রাজ-কৰ্ম্মচারী বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে, কিন্তু তিনি নাটোরের রাজ-কৰ্ম্মচারী ছিলেন । ভূমিকার ৩/০ পৃষ্ঠায় শ্ৰীহট্ট গবর্নমেণ্ট হাই স্কুলের প্রধান পণ্ডিত মহাশয়ের কথা উল্লেখ করিয়াছি, তাহার নিকট হইতে আমি আমার শিল্পসংগ্রহের কতক কতক উপকরণ পাইয়াছি, তাহার নাম প্ৰসন্নচন্দ্ৰ কাব্যতীর্থ নামটি ভুলিয়া যাওয়াতে যথা স্থানে তাহা উল্লেখ করিতে পারি নাই । এরূপ বৃহৎ পুস্তকে নানারূপ ত্রুটি ও ভুল থাকা বিচিত্র নহে, বিশেষ আনি বৃদ্ধ ও জরাগ্ৰস্ত, ইতিহাস রচনায় ইহাই আমার হাতে-খড়ি। সহৃদয় ব্যক্তিদের সহানুভূতিই আমার পুরস্কার। এই পুস্তক দ্বারা আমার অর্থাগমের কোন সম্ভাবনা নাই; অথচ ইহার জন্য শুধু প্ৰাণান্ত পরিশ্রম নহে, আমাকে সাধ্যাতীত অৰ্থ ব্যয় করিতে হইয়াছে। বিশেষ কৃতজ্ঞতার সহিত জানাইতেছি যে, ছবি সংগ্ৰহ ও ব্লক করার ব্যয় বাবদ আমি ত্রিপুরেশ্বরের নিকট যে সাহায্য পাইয়াছি, তাহা ছাড়া কলিকাতার সুপ্ৰসিদ্ধ ধনী ও বিদ্বৎ-সমাজে বরেণ্য ডাক্তার বিমলাচরণ লাহা মহাশয় আমাকে আর্থিক আনুকুল্য করিয়াছেন। আমার শ্রদ্ধেয় বন্ধু দীঘাপতিয়ার কুমার হেমেন্দ্ৰকুমার রায় এবং দিনাজপুরের শ্ৰীযুক্ত শরদিন্দুনারায়ণ রায় প্রাজ্ঞ মহাশয় আমাকে কিছু কিছু সাহায্য করিয়া ব্লকের দরুন ঋণভার কিয়ৎ পরিমাণে লঘু করিয়া দিয়াছেন। আমি একবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যানসালার শ্ৰীযুক্ত শ্যামাপ্ৰসাদ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের কথা উল্লেখ করিয়াছি। স্বৰ্গীয় আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এবং তঁহার প্রতিভাশালী পরিবারবর্গ আমাকে অফুরন্ত স্নেহ ও উৎসাহ-দ্বারা এই দুরূহ কাৰ্য্যক্ষেত্রের পথ দীর্ঘকাল সুগম করিয়া দিয়াছেন। তঁহাদের ঋণ অপরিশোধনীয়। অধ্যাপক সতীশচন্দ্ৰ ঘোষ এম, এ, মহাশয় এই বহির শেষাংশ-প্ৰকাশে প্রেসের কাজ শীঘ্ৰ সমাধা করিবার ব্যবস্থা করিয়া আমার ধন্যবাদাৰ্থ হইয়াছেন । এখানে আর একটি কথা লিখিয়া উপসংহার করিতেছি। নানারূপ বিয় ও ঝঞ্জাট উপস্থিত হওয়াতে কোন কোন স্থলে ছবিগুলি যথাস্থানে বিন্যস্ত হয় নাই। অনেক স্থলেই ছবির নীচে যে পরিচয় দেওয়া হইয়াছে তাহার দ্বারা ছধির বৃত্তান্ত পুস্তকের কোন পৃষ্ঠায় আছে তাহ ধরা পড়িবে। যেখানে তাহাও স্পষ্টরূপে সুচিত হয় নাই, সেখানে পাঠক ছবির সূচীপত্র দেখিবেন-তন্দ্বারা ছবির বৃত্তান্ত কোন স্থানে তাহা নির্ণীত হইবে। ৬১৯ পৃষ্ঠার ১৮ ছত্রে ১৯২৮ স্থলে ১৪২৮ এবং ৬৪৯ পৃষ্ঠার ৮ ও ১০ ছত্রে ১৩০৮ ও ১৩১০। স্থলে ১২০৮ ও ১২১০ হইবে। শ্ৰী দীনেশচন্দ্ৰ সেন।