পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠান রাজত্ব-সম্বন্ধে নানা কথা \ՆV, Գ পারিয়াছেন, তিনি ভগবানের সৃষ্টি ভাঙ্গিয়া চুরিয়া নূতন সৃষ্টি করিবার দক্ষতা লাভ করেন, তখন জগতের বিবিধ বর্ণশোভা তীহাকে বর্ণ আঁকিয়া শেখায়, জগতের যাবতীয় ফুল-লতা তাহার নবসৃষ্ট ফুল-লতার মধ্যে অপরূপ মাধুরী ঢালিতে শক্তি দেয়। এই মৌলিক সৌন্দর্ঘ্যের উপলব্ধি লইয়া ভারতীয় শিল্পী অবাধে আঁকিয়া যান । তিনি যে পদ্ম আঁকেন, তাহা জগতের পদ্ম নহে, তাহার আঁকা লতা জগতে পাওয়া যায় না, কিন্তু তঁহার অপূৰ্ব্ব প্ৰতিভা তাহার হাতে অবাধ গতি প্ৰদান করে, বর্ণের বিন্যাস দিয়া কঁথার শোভা চিত্ত হরণ করে । হয়ত ছবিগুলি একটি একটি করিয়া দেখিলে তেমন কিছু আশ্চৰ্য্য বলিয়া মনে হইবে না, কিন্তু সমগ্রভাবে এই অপূৰ্ব্ব কারুকাৰ্য্য দেখিলে মনে হইবে,—একি আশ্চৰ্য্য রংমহল, ইহাতে রঙ্গএর বিচিত্র বিন্যাস, কলালক্ষ্মীর কি অপূর্ব ও গৌরবান্বিত মহিমাই না। এই অপার্থিব ফুল-লতায় প্ৰকাশ করিয়া দেখাইতেছে । ভারতীয়, বিশেষতঃ বঙ্গীয়, শিল্পীর যে সহিষ্ণুতা, CBBDBBD DBuBDB KT BDDDS DDDDD SS S gg BmTS DBBDBD B DD DDBBS BBD BDD করে-এ বলিলে কথাটা ঠিক বোঝা যাইবে না, বলা উচিত বাটালি, ছুচ বা পিঠালী এই সকল সামান্য উপকরণ দিয়া তাহারা তপস্যা করে । প্ৰত্যেকটি মন্দিরের কারুকাৰ্য্য, প্ৰত্যেকটি কঁথা দেখিলেই তপস্যা কথাটাই জিহবাগ্রে আসিবে। কারণ এ সকল ঢালাই করা কাৰ্য নহে, ইহার প্রত্যেকটি সূক্ষ্ম কাজ, হাতের কাজ। এই পল্লীলক্ষ্মী বিদ্যা-ধৰ্ম্ম-জ্ঞান-প্ৰদায়িনী ; এখানে চৈতন্য জন্মিয়াছিলেন এবং এই পাঠান আমলেই কত ভক্ত, কত তান্ত্রিক, কত নৈয়ায়িক, কত দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত জন্মিয়াছিলেন । সত্য বটে মুসলমান-বিজয়ের পর আর কোন রাজকবি পবনদূত বা গীতগোবিন্দ রচনা করিয়া মহারাজাধিরাজ-রাজচক্ৰবৰ্ত্তীর মনোরঞ্জন করেন নাই । কিন্তু পল্লীকবিদের সুস্বরলহরী তো থামে নাই, সময়ে সময়ে কোন ক্ষুদ্র জমিদারের নিকট “সাত আড়া” ধান মাপিয়া লইয়া পরম তৃপ্তির সহিত কোন কবিচুড়ামণি কৃতাৰ্থ হইয়াছিলেন। কিন্তু মোটের মাথায় বাঙ্গলার বিদ্বান, বাঙ্গলার ভক্ত, বাঙ্গলার শিল্পী এবং বাঙ্গলার ধাৰ্ম্মিক আর রাজা নুগ্রহের প্রত্যাশা করে নাই । বাঙ্গলার সভ্যতা পল্লীতে পল্লীতে ছড়াইয়া পড়িয়া গণতন্ত্রতার একটা রাজ্য সৃষ্টি করিয়াছিল, তাহাতে রাজার কোন স্থান ছিল না,-সমস্ত দেশ পাঠানের অধিকারে থাকিলেও তাহার অধ্যাত্মিসাম্রাজ্য বজায় রাখিয়াছিল-তাহাতে সন্দেহ নাই। বাঙ্গলার পল্পীর প্রকৃত শাসনকৰ্ত্তা ছিলেন ব্ৰাহ্মণ, তঁহাদের ইঙ্গিতে সমস্ত সমাজ চলিত। ব্ৰাহ্মণের পর ঐ সময়ে আর এক দল প্ৰধান হইয়া দাড়াইয়াছিলেন-বৈষ্ণব । ইহারা নূতন আভিজাত্য সৃষ্টি করিয়া দেশের একাংশ জয় করিয়া লইয়াছিলেন। সমাজের উচ্চস্তরে কুলীনের একেবারে দৃঢ় রূপে স্বপ্রভাব সংস্থাপন করিয়াছিলেন। এক এক শ্রেণীর লোক তাহাদের কুলীনদিগকে সমাজে নেতৃত্ব দিয়াছিলেন । এই সুদৃঢ় হিন্দুবৃহের মধ্যে বিদেশী শাসনকৰ্ত্তাদের হস্তক্ষেপ করিবার বিশেষ সুবিধা ছিল না, তবে মাঝে মাঝে সুন্দরী হিন্দু ললনাদিগের খোজ করিবার জন্য "সিন্ধুকী*রা পল্লীতে পল্লীতে ঘুরিয়া বেড়াইত। পল্লীবাসিনী उचांक ९ वक्ष्व ।