পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠান রাজত্ব-সম্বন্ধে নানা কথা VAND যাহা হউক, মুসলমান নবাব ও কাজীদের অত্যাচারে যে অনেক বৈষ্ণব বিশেষভাবে নিপীড়িত হইয় তাহা নীরবে সহ কারিয়াছেন তাহ পূৰ্ব্বোক্ত দৃষ্টান্তগুলিতে প্ৰমাণিত হইবে। S D DBBDkSTDKK DDD SDDD BDBD S BBDB BDBtuDDS GG GLEB LBBBYY ইতিহাস লেখা সম্ভবপর নহে, নিরাপদও নহে। প্ৰশংসা ও অপ্ৰশংসা উভয় রূপ লেখারই বিপদ ছিল । বৈষ্ণবেরা তাহদের সামাজিক ইতিহাস অনেক লিখিয়াছেন, ঘটক-কারিকায় বংশাবলী এত পঙ্খানুপুঙ্খভাবে বর্ণিত হইয়াছে যে বোধ হয় জগতের অঙ্গ কোন দেশে এরূপ বিস্তুত পারিবারিক ইতিহাস লিখিত হয় নাই, অথচ রাজনৈতিক ইতিহাস কেহ লিখিতে সাহসী হন নাই । বৌদ্ধ-যুগের অবসানে উচ্চশ্রেণীর অল্পসংখ্যক লোক ও জনসাধারণের মধ্যে একটা ব্যবচ্ছেদ-রেখা টানা হইল। মহাভারত ও অপরাপর পুরাণে ব্ৰাহ্মণ-শূদ্রে যে ব্যবধানের অনুশাসন মধ্যে মধ্যে দৃষ্ট হয়, তাহা প্ৰক্ষিপ্ত কিনা।--তাহা বিবেচনার যোগ্য । সম্ভবতঃ ব্ৰাহ্মণ সুঙ্গবংশীয় পুষ্যামিত্রের সময়ে শাস্ত্রগুলি ফিরিয়া লেখা হইয়াছিল এবং ব্ৰাহ্মণকে দেবতাদের তুল্য কিংবা তদপেক্ষাও উচ্চে আসন দেওয়া হইয়াছিল ; এই সময়ে প্রাচীন স্মৃতিকারদিগের উপর অবাধভাবে হাত চালাইয়া ব্ৰাহ্মণদের গৌরবান্বিত করা হইয়াছিল ; শ্ৰীযুক্ত জয় শোয়াল সাহেব তঁহার “ঠাকুর-ল লেকচারে” ইহা বিশেষ করিয়া দেখাইয়াছেন। শাস্ত্রের নিষেধ-বিধি-সত্ত্বেও প্ৰতিলোম-বিবাহের এত দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় এবং মাঝে মাঝে দুই একটি স্থলে শূদ্রান্নের নিন্দ থাকলেও ভোজনাদি-ব্যাপারে এত শিথিলতার দৃষ্টান্ত আছে যে, মনে হয়, পরবত্তী কালে শাস্ত্রগ্রন্থগুলি ফিরিয়া, কতকাংশ বাদ দিয়া এবং কতক কথা সংযোগ করিয়া, লেখা হইয়াছিল এবং ব্যাসদেবের উপর একালের নীতি বহুল পরিমাণে আরোপ কয়া হইয়াছিল ; ইত্ব’ অনায়াসে প্রমাণ করা যাইতে পারে। বঙ্গের ব্রাহ্মণের তাহদের উপাধি পরিবর্তন করিয়া অপরাপর শ্রেণী হইতে একেবারে স্বতন্ত্র হইয়া দেবতাস্ত্ৰ আসন গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, তাহার প্রমাণ আছে । কলিকাতার কোন বিশিষ্ট মহামহোপাধ্যায় ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিতের বংশের কিছুদিন পূর্বে উপাধি ছিল “কর” । ধারবংশীয় ব্ৰাহ্মণ-পরিবার এখনও চট্টগ্রামে আছেন, তাহারা উপাধি পরিবর্তন कcद्रन् भाई । নবম্বষ্ট সমাজে শূদ্ৰশ্রেণী দুই ভাগে বিভক্ত হইল। আচরণীয় এবং অনাচরণীয়া-এই দুই থাকি করা হইল। বড় থাক, যথা-নমঃপূদ্র, জেলে-কৈ বৰ্ত্ত, পোদ প্ৰভৃতি পতিত হইল। দ্বিতীয় থাকে কতকগুলি জাতিকে দয়া করিয়া আচরণীয় বলিয়া স্বীকার করা হইল-ইহাদেব নাম হইল নবশাখ-অর্থাৎ নব্য শাখা। কিন্তু শূদ্রমাত্রেরই উচ্চশ্রেণীর লেখাপড়ার অধিকার কাড়িয়া লওয়া হইল। ব্ৰাহ্মণগণ শূদ্রগণের সম্পূর্ণ বশ্যতা পাইবার জন্যই জনসাধারণকে এই ভাবে উচ্চ-শিক্ষা হইতে বঞ্চিত করিয়া রাখিলেন । ফল এই দাড়াইল যে হিন্দুজাতির সুবৃহৎ অংশ-এই জনসাধারণ-অজ্ঞ ও মুর্থ হইয়া রহিল । ইহাদেরই রক্তসম্বন্ধ গৌরবান্বিত করিয়া এক কালে ব্যাস, বশিষ্ঠ, নারদ, সত্যকামাদি বৃহৎ বঙ্গ/৪৮