পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ኋኳ”8 বৃহৎ বঙ্গ BD YK LLB BDBDSYSLDDiDBD gD DDD SDDD BDB BBBtBBDBBS B BBL D DuDSTD অস্বীকার করিবার উপায় নাই, কারণ সেই দর্শনের ফলে তঁহার জীবনের রূপ উল্টাইয়া গিয়াছিল। চণ্ডীদাসের রাধার মত “বিরতি আহারে, রাঙ্গাবাস পরে, যেমন যোগিনী পারা-ভাব তাহার হইয়াছিল; তিনিও মেঘের মধ্যে সেই লুকানো রূপ দেখিবা ধ্যানীর মত নিশ্চল চক্ষে উদ্ধাদিকে তাকাইয়া থাকিতেন, “সদাই ধোঁয়ানে, চাহে মেঘপানে, না SCଟା ଭୋଗ ୯୬t!!! !!" তিনি যাহা দেখিয়াছেন, তাহা আর কেহ দেখে না কেন ? আমাদের বাহিরের ইন্দ্ৰিয়গুলির অতীত সূক্ষ্ম-ইন্দ্ৰিয় আছে-এ সম্বন্ধে আমি কোন জটিল দার্শনিক প্রসঙ্গের BDDBDtD DBD DODSSYB KuBB DDB BDBD BDB Bg BDDJSLBBD GBBB B D 0YS DD DDBB BuDS Tu BuDDDDB uDSS DBD DB BD D দেখিয়া পরম তৃপ্তি উপভোগ করি, তাহারা সেইগুলি তখনই খাইয়া ফেলে। ক্ষুধার তাড়নায় সৌন্দৰ্য্যদর্শনাক্ষম চক্ষুর উপর তাহদের একটা আচ্ছাদন পড়িয়াছে—তাহাদের সেই দৃষ্টি ফোটে নাই । আমরাও বহিরিান্দ্ৰিয়তাড়নায় আসক্তিবশতঃ জগতের সূক্ষ্ম তত্ত্বগুলি অনুভব করিবার শক্তি তেমনই হারাইয়াছি, কিংবা আমাদের সেই স্বৰ্গীয় দৃষ্টির এখনও उपन्याय श् नांछे। রূপদৰ্শনের ফল পূৰ্বরাগ-জগতে সৌন্দৰ্য্যের জন্য মানুষ পাগল, এই উন্মত্ততার মত সুখকর আর কিছু নাই, এই রূপদৰ্শনজাত অনুরাগের ভিত্তিতে পৃথিবীর যাবতীয় মহাকাব্য দাড়াইয়া । নায়ক-নায়িকার প্ৰেম শ্রেষ্ঠ কাব্যের উপাদান। প্ৰত্যেকে যদি অকপটে র্তাহার মনের কথা বলেন তবে অবশ্যই স্বীকার করিবেন- জীবনে প্ৰথম যে ভালবাসা আস্বাদন করিয়াছিলেন, অনাবিল স্বাৰ্থশূন্য ত্যাগ-পূর্ণ হৃদয়ের আবেগে প্ৰথম যে ভালবাসা হইয়াছিল, তদপেক্ষা বড় সুখ তিনি পান নাই। যদি ঈশ্বর সৃষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সৌন্দর্ঘ্যের আকর্ষণে মানুধ এরূপ অপূর্ব সুখের আস্বাদন পায়, তবে যিনি সৌন্দর্ঘ্যের শেখর, আত্মার একমাত্ৰ কাম্য,-রূপের উৎস, তাহাকে দেখা যদি সম্ভবপর হয় তবে মানুষের মনের অবস্থা কি হইতে পারে, চৈতন্তের জীবন তাহাই প্ৰমাণ করিয়া দেখাইয়াছে । আর কোন সাধু মহাজন জগতে তাহা পারিয়াছেন বলিয়া আমি জানি না । স্ত্রী, পুত্ৰ, প্ৰণয়ী, প্ৰণয়িনীর জন্য যেরূপ কেহ কঁাদিয়া মরে, পাগল হয়, কাব্য লেখে, গান গায়, কত কি করে, চৈতন্য ভগবানের জন্য তদপেক্ষা শতগুণ উন্মাদন দেখাইয়াছেন । ভগবানের প্ৰেম যে সত্য বস্তু, তাহা কাল্পনিক নহে, তাহা মানুষ লাভ করিতে পারে, তাহা চৈতন্য যেরূপ দেখিয়াছেন। অপর কেহ তেমন পারে নাই । কিন্তু সাধারণ লোকের পক্ষে কোন বড়লোকের বাড়ীতে যাইয়া দেখা-সাক্ষাৎ করিয়া আসা কত কঠিন, আর যিনি রাজাধিরাজ তঁহার দর্শন লাভ কি সহজ ? কত যুগের তপস্যা থাকিলে তবে এই সৌভাগ্য লাভ হইতে পারে }