পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাসিরুদ্দিন ও পরবত্তী পাঠান-রাজগণ Vy প্ৰশ্নসরু আইনতঃ উত্তরাধিকারী হইলেও, দিল্লীর আমিবোবা তাহার দাবী উপেক্ষা কবিয়া বঙ্গেশ্বর নসিরুদিনেব অষ্টাদশবয়স্ক পুত্ৰ কায়কোবাদকে সিংহাসনে অভিষিক্ত কবিলেন। এই বালক কুসঙ্গীদেব হাতে পড়িয়া বিলাসস্রোতে গা ঢালিয়া দিলেন। নাজিমুদ্দিন নামক মন্ত্রীই সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা হইয়া রাজ্য শাসন কবিতে লাগিলেন। বাজা মন্ত্রীর কুপরামর্শে অতি নিষ্ঠুরভাবে খসরু ও কয়েকজন মন্ত্রীকে হত্যা কবেন। प्विडौोs >झि८tत्रे নাসিরুদিন ও পরবক্তা পাঠান-রাজগণ পুত্র সম্রাট হওয়াতে নাসিকদিন আনন্দিত হইয়াছিলেন। কিন্তু যখন শুনিলেন, নবীন সম্রাটের চরিত্ৰেৰ অধঃপতন হইতেছে, তখন তিনি তাহাকে অনেক সদুপদেশ ও মিষ্ট গঞ্জনা দিয়া একখানি চিঠি লিখিলেন। তিনি দুষ্ট মন্ত্রী নাজিমুদ্দিনকে বিদায় করিয়া দিতে পুত্ৰকে অনুরোধ করিলেন। সেদিন সম্রাট কিলেখারী নামক স্থানে এক নবনিৰ্ম্মিত বিলাসাগারে আমোদপ্রমোদে লিপ্ত ছিলেন ; তিনি পিতার চিঠি উপেক্ষা করিলেন। বঙ্গেশ্বৰ এক বিপুলবাহিনী লইয়া দিল্লী আক্ৰমণ করিয়া রাজ্যশাসনের আমূল সংস্কার করিতে ইচ্ছুক হইলেন। এদিকে পুত্ৰ কায়কোবাদও পিতৃগঞ্জনায় বিরক্ত হইয়া এবং মন্ত্রীর পরামর্শানুসারে সৈন্য সামন্ত লইয়া বাঙ্গলার দিকে অভিযান করিলেন । ১১৮৮ খৃষ্টাব্দে পিতা ও পুলের সৈন্যেরা অল্প ব্যবধানে প্রায় মুখোমুখী হইয়া দাড়াইল। বঙ্গেশ্বর স্বীয় শিবির সরযু নদীর তীরে স্থাপিত করিয়াছিলেন এবং সম্রাটের শিবির ছিল গোগর নদীর তীরে। এই দুইটি স্থানই বিহারে শারন জেলার অন্তঃপাতী। নাসিরুদ্দিন দেখিলেন তিনি সম্রাটের বিশাল সৈন্যের সঙ্গে আঁটিয়া উঠিতে পরিবেন না, তখন সন্ধির প্রস্তাব করিয়া পাঠাইলেন। কিন্তু অভিমানাহত পুত্র মন্ত্রীর প্রবর্তনায় সেই প্ৰস্তাব ঘুণার সাহিত অগ্ৰাহা করিলেন । তিন দিন এই ভাবে কাটিয়া গেল, চতুর্থ দিন নাসিরুদ্দিন নিজ হস্তে সম্রাটুকে এইভাবে একখানি চিঠি লিখিলেন, “প্ৰাণাধিকেষু, তোমার সঙ্গে আমার দেখা করিবার একান্ত ইচ্ছ। জেকবের মৃত্যুকালে পুত্র জোসেফকে দেখিবার জন্য তঁহার যেরূপ প্ৰস্থল আকাজক্ষা হইয়াছিল, তোমাকে দেখার সাধ আমার তদপেক্ষা কম নহে। আমার এই সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধটি পালন কর, ইহার পর আমি আর তোমাকে বিরক্ত করিব না। এবং তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চলিব না।” নসিক দিন ও ক{য়কোবাদ ।