পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌরাঙ্গ ও তাহার পরিকরবর্গ Գe S TDDB BKKS DBBBBDSS DBDDS BD DDBBDS S rDD DBDS yBBBDBBD DBBDD পাঠাইলেন, শচীদেবী ঘোর আপত্তি করিলেন-“এতটুকু ছেলে লেখাপড়া করিতেছে, এখনই বিবাহের কথা কেন ?” এই কথা শুনিয়া ঘটক মহাশয় ফিরিয়া যাইতেছিলেন-পথে র্তাহার মুখে সমস্ত শুনিয়া নিমাই মাকে যাইয়া বলিলেন, “তুমি কি বলিয়াছ যাহাতে ঘটক মহাশয় এত দুঃখিত হইয়া ফিরিয়া গেলেন ? তোমার এরূপ করা ভাল হয় নাই, তঁাহাকে LBDDB DDB DBBD DB BD DS BDD DBDBD S S S DuDu SSggB uBBBBD বুঝিলেন, তাহার পুত্ৰই এই ঘটককে নিযুক্ত করিয়াছিল এবং তখনই তিনি বিবাহে সম্মতি দান করিলেন । এই বিবাহ বর ও কন্যার পরস্পরের মনোনয়নেব দ্বারা সম্পাদিত হইয়াছিল। যখন নিমাই পূর্ববঙ্গ গিয়াছিলেন তখন তিনি তাহার পৈতা ও পাদুকা স্মরণচিহ্নস্বরূপ লক্ষ্মীকে দিয়া গিয়াছিলেন। লক্ষ্মী অতি নিপুণ চিত্রকারী ছিলেন, তিনি স্বহস্তে র্তাহার স্বামীর মূৰ্ত্তি আঁকিয়াছিলেন। যখন সর্পাঘাতে র্তাহার মৃত্যু হয়, তখন সেই চিত্র ও পাদুকার দিকে দৃষ্টি রাখিয়া সাধবী মৃত্যুর জ্বালা ভুলিয়া গিযাছিলেন। এদিকে নিমাইয়ের পাণ্ডিত্যের খ্যাতি সমস্ত বঙ্গদেশের মধ্যে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছিল, তিনি “বিদ্যাসাগর” উপাধি পাইয়াছিলেন, তাহার ভাল নাম ছিল “বিশ্বম্ভব মিশ্র।” তিনি ব্যাকরণের একখানি টীকা করিয়াছিলেন। উহা পূর্ববঙ্গের টোলগুলিতে অধীত হইত, এই টীকার নামও ছিল “বিদ্যাসাগর-টপ্পানী” । ক্রমে তাহার অর্থ ও খ্যাতি উভয়ই লাভ হইয়াছিল। তিনি পূর্ববঙ্গ ভ্ৰমণ করিয়া পণ্ডিত-বিদায় হিসাবে বহু অর্থ লইয়া গৃহে আসিয়াছিলেন ; গঙ্গার উপরে পাঁচখানি সুন্দর বড় ঘর নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, সেখানে এই নিরামিশ-ভোজী বৈষ্ণব পরিবার অতি সুখে দিন যাপন করিতেছিলেন । শচীদেবী নিজ হস্তে পরমান্ন, পিষ্টক, বেতো শাক, করলা ভাজা প্ৰভৃতি রন্ধন করিয়া বিষ্ণুর ভোগ দিতেন। শচীদেবীর মূৰ্ত্তি শান্ত ছিল কিন্তু তিনি অতি খধ্বংস্কৃতি ছিলেন। “শান্ত মূৰ্ত্তি শচীদেবী অতি ক্ষুদ্রকায়” ( গোবিন্দদাসের করাচা )। এই সময়ে কেশব কাশ্মীরী নামক এক দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত আৰ্য্যাবৰ্ত্তের বহু স্থানের পণ্ডিতদিগকে জয় করিয়া নবদ্বীপ পরাজয় করিতে আসিয়াছিলেন। পণ্ডিতেরা ভাবিলেন, “এই দুষ্ট ছেলেটা কেবলই ‘যুদ্ধং দেহি’ বলিয়া তর্ক করিবার জন্য লালায়িত। প্ৰবীণদের টিকি ধরিয়া টানিতে চায়—আমরা বয়স্থ, ইহার উপরই দিগ্বিজয়ীকে লেলিয়া দেওয়া যাক।” সুতরাং র্তাহারা বলিলেন, গঙ্গাতীব্বে অতি অল্পবয়স্ক একটি মহাপণ্ডিত আছেন, আপনি তাহার সহিত বিচার করুন। চৈতন্য-ভাগবতে সবিস্তারে এই বিচারের কথা বর্ণিত আছে--দিগ্বিজয়ী হারিয়া গেলেন। সেদিন “নবদ্বীপের মুখ রক্ষা হইল”- -এই বলিয়া সমস্ত পণ্ডিত একত্ৰ হইয়া এক সভা করিলেন এবং নিমাইকে উপাধি দিলেন “বাদিসিংহ”, সুতরাং নিমাই পণ্ডিতের পুরো নাম হইল “শ্ৰীবিশ্বম্ভর মিশ্র বিদ্যাসাগর বাঁদিসিংহ ।” ব্যঙ্গ করাই ছিল নিমাইয়ের রীতি ও স্বভাব, যৌবনের প্রারম্ভেও এই বুত্তি হ্রাস পায় নাই। কেবল বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে তিনি একটি বিষয়ে সতর্ক হইয়া উঠিয়াছিলেন। কৈশোরে