পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A e R বৃহৎ বঙ্গ পদাৰ্পণ করিয়াই স্ত্রীলোকদিগের সঙ্গ পরিহার করিয়া চলিতেন, “সবে মাত্র পর্যন্ত্রী প্ৰতি 测 নাহি উপহাস। স্ত্রী দেখি প্ৰভু হন এক পাশ৷ ” ঈশ্বর পুরীর নিমাই ও ঈশ্বর পুরী। BDD DBD DBBDBDS DBD DBDD BDBS BiBBBSuDuiiTkS BDBD DBDS DBB BDBBS DTDDBBBDD BD DBDBBBBB BBDB DDD DDDD SS নিমাইয়ের সতীর্থ পরম পণ্ডিত গদাধরের চিরকালই ধৰ্ম্মের দিকে ঝোক ছিল, তিনি ঈশ্বর পুরীর বড় প্রিয় হইয়া পড়িয়াছিলেন। অপর কেহ কোন বিষয়ে কৃতিত্ব লাভ করিয়াছে শুনিলে নিমাইয়ের হিংসা হইত। ঈশ্বব্য পুরী কেন গদাধরকে ভালবাসেন, এজন্য নিমাই মাঝে মাঝে তাহার আশ্রমে যাইয়া গদাধরেব পাৰ্থে বসিয়া থাকিতেন। ঈশ্বর পুরী এই সুলক্ষণ বালকটীকে দেখিয়া বিশেষ প্রীতি প্ৰকাশ করিতেন এবং স্বপ্রণীত ধৰ্ম্মপুস্তক হইতে ১· শ্লোক তুলিয়া ব্যাখ্যা করিতেন। কিন্তু একদিন যখন পুরী গোঁসাই সোৎসাহে একটি শ্লোক ব্যাখ্যা করিতেছিলেন তখন নিমাই বলিয়া উঠিলেন -“এ ধাতু আত্মনেপদী নহে।” ঈশ্বরপুরীর ধৰ্ম্মের আগ্রহ জুড়াইয়া গেল, এ বালককে বাগে আনা তাহার কৰ্ম্ম নহে, তিনি বুঝিতে পারিলেন ! পূর্ববঙ্গ-ভ্ৰমণের পর যখন নিমাই শুনিতে পাইলেন, তাহার স্ত্রী-বিয়োগ হইয়াছে, তখনই তাহার ভাবান্তর হইল। পথে গদাধর, শ্ৰীমান পণ্ডিত প্ৰভৃতি সহচরের সঙ্গে দেখা, পূর্ববঙ্গের ভাষা ব্যঙ্গ কবিয়া নিমাই হাসিমুখে কথা বলিতে লাগিলেন-কিন্তু সহচরেরা সেই ব্যঙ্গের সায় দিলেন না। মাত কঁাদিয়া ফেলিলেন। নিমাই বুঝিলেন, লক্ষ্মী নাই,- যে লক্ষ্মীকে তিনি ভালবাসিয়া বিবাহ করিয়াছিলেন, যিনি গুণশীলা ও সাধবী-–এবং কৈশোর-সঙ্গিনী, নবযৌবনের নব অনুরাগ র্যাহাকে আশ্রয় করিয়া জন্মিয়াছিল, সেই লক্ষ্মীর অভাবে তাহার যে ভাবান্তর হইল তাহা পরবর্তী জীবনে কতটা প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল, বলা যায় না। এদিকে নিমাই পণ্ডিতের খ্যাতি-প্ৰতিপত্তি বাড়িয়াছে -- তাহার সঙ্গে বিবাহ দিবার জন্য নবদ্বীপের ধনশালী রাজসভা-পণ্ডিত সনাতন মিশ্র আগ্রহ প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন। শচী পুত্রের ইচ্ছা! না জানিয়াই বিবাহ ঠিক করিয়া ফেলিলেন । বিবাহেয় দিন নিমাই শুনিলেন, তঁহাকে বিবাহ করিতে হইবে । তিনি বিবক্ত হইলেন, বিবাহ করিবেন না, বলিলেন । অগত্যা শচী সম্বন্ধ ভাঙ্গিয়া দিবােব জন্য চেষ্টা করিলেন । কিন্তু চৈতন্য বুঝিলেন এরূপ করিলে তঁাহার মাযের মুখখানি ছোট হুইয়া যায়--সনাতন মিশ্র অনেক আয়োজন করিয়াছেনতাহা পণ্ড হইয়া যায, সুতরাং অনিচ্ছাক্রমে শেষে স্বীকৃত হইলেন ; বিষ্ণুপ্রিয়ার সঙ্গে বিবাহ হইয়া গেল। ইহাব পর নিমাই পিতৃপিণ্ড প্ৰদান করিতে গয়ায় যাত্ৰা করিলেন। পথে কুমারহট্ট তিনি ব্যাকুল হইয়া ঈশ্বর পুবীকে দেখিতে ছুটলেন, আজ তাহার চক্ষু ছল ছল-- আজ ঈশ্বর পুবীকে তাহাব এত ভাল লাগিল কেন ? সাধুসঙ্গে মুহুমুহুঃ চক্ষু অশ্রীপূর্ণ হইতে লাগিল, মনে হইল ঈশ্বৰ পুবীব দেবচবিত্র, তাহার মত অন্তরঙ্গ তাহার কেহ নাই। ঈশ্বর পুরী বলিলেন, “তুমি গ'ল!" যাও, আমিও সেখানে যাব--তথায় আমার সঙ্গে তোমার দেখা হইবে।” ঈশ্বর পুবীকে ছাড়িয়া যাইতে তাঙ্গায় আজ বড় কষ্ট হইল। কুমাবহট্টের কতকগুলি ধূলি