২৮
দারােগার দপ্তর, ৭৩ম সংখ্যা।
নিমিত্ত আড়গড়ার ভিতর গমন করিল, এবং কিয়ৎক্ষণ পরে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়া কহিল, “আমানত ও হকদার কেহই এ পর্য্যন্ত দেশে যায় নাই, আজ সন্ধ্যার সময় যাইবে।”
আমি। হকদার দেশে যায় নাই; কিন্তু সে এখন কোথায়, তাহ আমানত কিছু বলিতে পারিল?
আত্মীয়। আমানত আর আমাকে কি বলিবে? হকদার যে স্থানে আছে, তাহা আমি স্বচক্ষে দেখিয়া আসিয়াছি।
আমি। সে এখন কোথায়?
আত্মীয়। সে এখন আমানতের বাসায় বসিয়া রহিয়াছে।
আমি। তুমি নিজ চক্ষে দেখিয়া আসিয়াছ?
আত্মীয়। হাঁ মহাশয়! আমি স্বচক্ষে দেখিয়া আসিতেছি। বিশ্বাস না করেন, বলুন, আমি তাহাকে ডাকিয়া আপনার সম্মুখে আনিয়া উপস্থিত করিতেছি।
আমি। সে-ই ভাল, তাহাকে একবার ডাকিয়া আমার সম্মুখে আনয়ন কর।
আমার কথা শুনিয়া সেই আত্মীয় পুনরায় সেই আড়গড়ার ভিতর প্রবেশ করিল, এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যেই হকদারকে আনিয়া আমার সম্মুখে উপস্থিত করিল। তাহাকে দেখিয়া সুবেদার কহিল, “হাঁ মহাশয়! এ-ই আমার ভাই। এখন দেখিতেছি, সেই মৃতদেহ দেখিয়া আমি ঠিক চিনিতে পারি নাই।”
হকদারকে সঙ্গে লইয়া আমি প্রত্যাবর্ত্তন করিলাম। হকদারকে জীবিত দেখিয়া সকলেই বিস্মিত হইলেন।