পাতা:বেওয়ারিশ লাস - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বেওয়ারিশ লাস।
৩৫

নাম জিজ্ঞাসা করায়, সে নিজে তাহা বলিতে পারিল না; কন্তু মেহের আলির বাড়ীর ভিতর গমন করিয়া তাহার নাম জানিয়া আসিয়া আমাকে কহিল, “মেহের আলির জামাতার নাম রব্বানি।”

 যে বাড়ীতে মেহের আলি বাস করে, তাহা মেহের আলির নিজের বাড়ী। উহা একখানি সামান্য খোলার ঘর। রাস্তার উপর সদর দরজা, উহা খোলা রহিয়াছে; কিন্তু সেই দরজার উপর একখানি চটের পরদা ঝুলিতেছে। সেই পরদাটী নিতান্ত পুরাতন, এবং স্থানে স্থানে ছিঁড়িয়া গিয়াছে।

 যে ব্যক্তি বাড়ীর ভিতর গমন করিয়া মেহের আলির জামাতার নাম জানিয়া আসিল, সে ভিতর হইতে আমাদিগের নিকট আসিবার পরেই কয়েকটী স্ত্রীলোক সেই পরদার পার্শ্বে আসিয়া দাঁড়াইল। আমাদিগের প্রেরিত ব্যক্তি রব্বানির নাম আমাকে বলিবার পরই পরদার অন্তরাল হইতে একটা স্ত্রীলোক কহিল, “কেন গা কি হইয়াছে?”

 আমি। রব্বানি কোথায়, তাহাই জানিবার নিমিত্ত এখানে আসিয়াছি।

 পরদার অন্তরালবর্ত্তী স্ত্রীলোক। কেন মহাশয়! কেন তাহার অনুসন্ধান করিতেছেন? অদ্য তিন দিবস হইতে তিনি যে কোথায় গিয়াছেন, তাহার কিছুই আমরা স্থির করিয়া উঠিতে পারিতেছি না।

 আমি। একটী মৃতদেহ পাওয়া গিয়াছে, কেহ কেহ বলিতেছে, উহা মেহের আলির জামাতার দেহ। তাই আমরা জানিতে আসিয়াছি যে, তাহার জামাতা এখন কোথায়।