বেওয়ারিশ লাস।
৪৭
বালকের কথা শুনিয়া আমরা সেই গাড়ি হইতে অবতরণ করিলাম, এবং বালকের পশ্চাৎ পশ্চাৎ সেই প্রকাণ্ড বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিলাম।
সেই স্কুলে যে সকল চাকর কর্ম্ম করিত, উহার এক পার্শ্বে তাহাদিগের থাকিবার উপযোগী কয়েকটী ঘর আছে। মেহের আলির থাকিবার নিমিত্ত উহার মধ্যে একটী ঘর নির্দ্দিষ্ট ছিল।
বালক আমাদিগকে সঙ্গে লইয়া একবারে সেই ঘরের ভিতর গিয়া উপস্থিত হইল। দেখিলাম, ঘরের সম্মুখে একটী লোক বসিয়া রহিয়াছে, তাহাকে দেখিয়াই বালকটী কহিল, “নানা! ইঁহারা তোমাকে খুঁজিতেছেন। বাবা মরিয়া গিয়াছেন।”
বালকের কথা শুনিয়া মেহের আলি আমাদিগকে লক্ষ্য করিয়া কহিল, “আপনারা কাহার অনুসন্ধান করিতেছেন?”
আমি। মেহের আলির। তোমারই নাম কি মেহের আলি?
মেহের আলি। হাঁ, আমার নামই মেহের আলি। আপনারা যে একবারে এখানে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন, এ কথা আমাদিগের বড় সাহেব জানেন কি?
আমি। না, তোমাদের বড় সাহেব কে?
মেহের আলি। তিনি এই কুঠীতেই থাকেন, তাঁহার অনুমতি ব্যতীত বাহিরের কোন লোকের এই কুঠীর ভিতর প্রবেশ করিবার অধিকার নাই। তিনি না দেখিতে দেখিতে, আপনারা এখনই বাহিরে গমন করুন।