৫৪
দারোগার দপ্তর, ৭৩ম সংখ্যা।
চাপরাশি। আমি তাহাকে চলিয়া যাইতে দেখি নাই।
আমি। তুমি আমার সহিত একবার গমন করিতে পার কি? কারণ, যে লাসটী পাওয়া গিয়াছে, তাহাকে দেখিলে, তুমি বেশ চিনিতে পারিবে, সেই লাসটা রব্বানির কি না?
চাপরাশি। আপনি এই স্থানে একটু অপেক্ষা করুন, আমি সাহেবকে জিজ্ঞাসা করিয়া আসিতেছি। তাঁহার আদেশ পাইলে, আমি এখনই আপনার সহিত গমন করিতেছি।
এই বলিয়া চাপরাশি আমাকে সেই স্থানে রাখিয়া সে তাহার সাহেবের নিকট গমন করিল, এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যেই প্রত্যাবর্ত্তন করিয়া কহিল, “চলুন, সাহেব অনুমতি দিয়াছেন।”
চাপরাশিকে আর কোন কথা না বলিয়া, তাহার সহিত আমি বাহিরে আসিলাম, ও মেহের আলির সহিত আপন গাড়িতে উঠিলাম। সেই বালকটীও গাড়ির উপর উঠিয়া বসিল।
চাপরাশি আমাকে যে সকল কথা বলিয়াছিল, তাহা আমি মেহের আলিকে কহিলাম। আমার কথা শুনিয়া মেহের আলি কিয়ৎক্ষণ চুপ করিয়া রহিল, এবং পরিশেষে কহিল, “চাপরাশি কখনই এ কথা বলে নাই। আর যদি বলিয়াই থাকে, তাহা হইলে সে মিথ্যা কথা বলিয়াছে। পনর দিবসের মধ্যে রব্বানি এ কুঠীতে আইসে নাই।”
মেহের আলির কথা শুনিয়া চাপরাশি কহিল, “আমি মিথ্যা বলিতেছি, না তুই মিথ্যা বলিতেছিস্! তিন চারিদিবস হইল, সন্ধ্যার পূর্ব্বে যে সে আসিয়া টাকার জন্য, তোর সহিত বকাবকি করিয়াছিল, সে কথা তোর মনে নাই কি?”