পাতা:বেওয়ারিশ লাস - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
দারােগার দপ্তর, ৭৩ম সংখ্যা।

 সেই স্থানে গিয়া সেই সর্ব্বপ্রধান সাহেবের সহিত প্রথমে সাক্ষাৎ করিলাম এবং যতদূর অবগত হইতে পারিয়াছিলাম, তাহার সমস্ত ব্যাপার তাঁহার নিকট খুলিয়া বলিলাম। সমস্ত ব্যাপার শুনিয়া তিনি আমাদিগের সহিত মেহের আলির থাকিবার স্থানে গমন করিলেন ও কহিলেন, “এইরূপ একটা বাক্স আমি এই স্থানে পূর্ব্বে দেখিয়াছিলাম। কিন্তু এখন উহা দেখিতে পাইতেছি না।”

 যে স্থানে সেই বাক্সটী পূর্ব্ব হইতে রক্ষিত ছিল বলিয়া জানা গেল, সেই স্থানটী আমরা উত্তমরূপে দেখিলাম। দেখিয়া স্পষ্টই বোধ হইল, সেই স্থানে অতবড় একটা বাক্স রক্ষিত ছিল, তাহার চিহ্ণ এখন পর্য্যন্তও বর্ত্তমান রহিয়াছে।

 ঔষধের শিশি দেখিয়া সাহেব কহিলেন, “উহাতে যে নাম লেখা আছে, সেই নামের একটী বালক এই স্কুলে পূর্ব্বে পাঠ করিত; কিন্তু এখন স্থানান্তরে গমন করিয়াছে। আবশ্যক হইলে তাহার অনুসন্ধান পাওয়া যাইতে পারিবে।”

 অতঃপর সেই স্থানে অপর চাকরগণের বাসস্থান অনুসন্ধান করিলাম। সাহেব সেই অনুসন্ধানে নিজে আমাদিগকে সাহায্য করিতে লাগিলেন। এইরূপে কিছুক্ষণ অনুসন্ধান করিতে করিতেই অল্পে অল্পে আসল কথা বাহির হইয়া পড়িল।

 মেহের আলি যখন দেখিল যে, সকল কথা প্রকাশ হইয়া গেল, তখন সেও সমস্ত কথা স্বীকার করিল। সে যাহা কহিল, তাহার সারমর্ম্ম এইরূপ:—

 “রব্বানি আমার জামাতা। এই স্কুলের ভিতর একখানি ক্ষুদ্র খোলার ঘর সে বাঁধিয়া দেয়, তাহাতে আমার নিকট তাহার