পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/১১

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । 6क छेनि ? সন্ধা হয়! সূৰ্য্যদেব চারিদিক লোহিত রঙ্গে রঞ্জিত করিয়া ফতেপুর সিকারির পশ্চিম প্ৰান্তস্থিত ক্ষুদ্র পাহাড়গুলিতে সোণা মাখাইয়া ধীরে ধীরে পশ্চিম গগণে অস্তমিত হইতেছেন । ক্রমে ধীরে ধীরে চারিদিক গোধূলি আলোকে আবরিত হইতেছে। বৃক্ষ শাখায় শাখায় বসিয়া পক্ষীগণ কলরব করিয়া, চারিদিক আলোড়িত করিতেছে। ভগ্ন বাদসহ প্রাসাদের নির্জন কক্ষে কক্ষে পক্ষীগণ একে একে আসিয়া আশ্রয় গ্ৰহণ করিতেছে। দূরে মসজিদে পরিত্যক্ত নগরীর একমাত্র মোল্লা গুরুগম্ভীর স্বরে নামাজ পাঠ করিতেছেন,-তাহার স্বর দূরে দূরে প্রতিধ্বনিত চাইতেছে। এই সময়ে গাগরী মস্তকে। লুলিয়া রাজপ্রাসাদের পশ্চাৎদিকন্তু ইন্দেরার পার্থে জল লইতে আসিয়াছে। সে গাগরী কুয়ার পাশ্বস্থ পাষাণ বেদীর উপর রাখিয়া, সূর্যের অপরূপ দৃশ্য দেখিতেছে। অস্তমিত সূর্য্যের সুবর্ণ কিরণ তাহার কমনীয় মুখে পতিত হইয়া তাহার রূপ শতগুণ বৃদ্ধি করিয়াছে ! চারিদিক যেন তাহার বিমল রূপে হাসিতেছে ! এ সোণার প্রতিমার পক্ষে কি কুয়া হইতে জল উত্তোলন সম্ভব । এ নবনীত বিনিন্দিত দেহ কি? কঠোর পরিশ্রমের উপযুক্ত ! কিন্তু লুলিয়া তাঙ্গার জন্য কখনও কিছু মনে করিত না। সে সাধারণ গৃহস্থ কন্যার ন্যায় সকল গৃহকাৰ্য্যই করিত ;-তাহাতে সে আনন্দ পাইত ;-হামিদ তাহাকে কাজ করিতে না দিলে, সে বৃদ্ধর সহিত কোমর বঁাধিয়া ঝগড়া করিতে উষ্ঠতা হইত। “বাছা,- তোমার যা ইচ্ছা কর,-তুমিতো বাপু কথা শোনাবার মেয়ে নও।” এই বলিয়া সে আর কোন কথা কহিত না। লুলিয়ু কটিতে অঞ্চল বেষ্টন করিয়া গৃহ কাৰ্য্যে লাগিতা। ፵ኑ'ኑ ̈ ዘ