পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/১১০

oby“ - বেগম-মহল সকলে ইহা জানিত,-সুতরাং এ সময়ে ভয়ে কেহ তাহার প্রকোষ্ঠের দিকে আসিত না ;-বাদসাহও এ সময়ে বাহির মহলে আমোদ প্ৰমোদে থাকিতেন ;-সুতরাং নুরজিহান তাহার বহু চিন্তার যথেষ্ট সময় পাহতেন ! কেবল একজনের সকল সময়ে তাহার নিকট অবারিত দ্বার छिन ;-ब्रटिशे रुडेक আর দিনেই হউক,-- এমন কি বাদাসাহের উপস্থিত সময়েও, তাহার এ গৃহে আসিবার নিষেধ ছিল না । সর্বদাই যখন তখন সে মহাপ্রতাপান্নিতা নুরজিহানের পার্শ্বে থাকিত ;-জুলেখা অতুলনীয়া, বাদসা বেগমের অতি প্রিয় বিশ্বস্ত বাদী ছিল। বাদসাহও যাহা জানিতেন না, জুলেখা তাহা জানিত ;-যদি নুরজিহান কাহারও সহিত মনের কথা খুলিয়া বলিতেন, গুরুতর রাজকাৰ্য বিষয়ে পরামর্শ করিতেন, তবে সে জুলেখা বাদী ! দরবারের সকলেই এ কথা জানিত,-সেই জন্য সকলে জুলেখাকে ভয় করিত,-যথা সাধ্য তাহার তোষামোদ করিতেও ক্ৰটী করিত না । সকলেই জানিত মুরজিহান যদি কাহারও কথা রক্ষা করেন, তবে সে জুলেখার কথা, সুতরাং জুলেখার যে বেগম-মহলেও দরবারে অসীম আধিপত্য বিস্তার হইয়াছিল, তাহা বলা নিম্প্রয়োজন। এ জুলেখার পশ্চাতে এক বৃহৎ ইতিহাস নিমজ্জিত ছিল, কিন্তু অনেক দিনের কথা, সকলেই তাহ সম্পূৰ্ণ – ভুলিয়া গিয়াছিল । অনেকে তাহার গত জীবনের ইতিহাস আদৌ জানিত না -এমন কি বোধ হয় মুরজিহানও তােহা ভুলিয়া গিয়াছিলেন। কিন্তু জুলেখা তাহার গত জীবন বিস্মৃতির গভীর সাগরে ৷ নিমগ্ন করিতে সক্ষম হইয়াছিল কি না, তাহা কে বলিতে পারে ? তবে বাহিরে তাহাকে দেখিলে বোধ হইত-তাহার পূর্বের কথা আর কিছুই মনে নাই। মুরজিহান যখন মেহেরুন্নিসা ছিলেন ;-তখন তাহাকে জাহাঙ্গিরের