পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/১১৩

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ठूझछि श्ान । ধীরে ধীরে নিঃশব্দে জুলেখা নুরজিহানের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল ;– । নুরজিহান গভীর চিন্তায় নিমগ্ন ছিলেন ; – তাহার পদশব্দে চমকিত হইয়া তিনি তাহার মুখের দিকে চাহিলেন। তাহার পর তিনি ধীরে ধীরে উঠিয়া বসিলেন, মৃদু হাসিয়া বলিলেন, “দেখিতেছি।--জয় ?” জুলেখা বেগমের পার্শ্বে বসিয়া স্বর্ণ চামর তুলিয়া লইয়া তাঁহাকে বিজন করিতে করিতে হাসিয়া বলিল, “কবে বেগম সাহেবের জুলেখা কাহার নিকট হারিয়াছে।” নুরজিহান তাহার হাত হইতে চামর লইয়া ধীরে ধীরে তাহা নাড়িতে নাড়িতে বলিলেন, “তা আমি কি আজ জানি ! তারপর কি শুনিলে ! মুখরা যাহা বলে ;-আমার তাহদের কোন কথা বিশ্বাস হয় না। ;-যথার্থই কি খসরু গোয়ালিয়ার দুর্গ হইতে পলাইয়াছে ?” জুলেখা হাসিয়া বলিল, “বাহিরে যে কি হইতেছে,-জাহাঙ্গির বাদসমূহের আমলে তাহার সম্বাদ কখনই দরবারে পৌছায় না !” নুরজিহানের মুখ একটু গভীর হইল ; –কিন্তু তিনি কোন কথা কহিলেন না। জুলেখা বলিল, “যদিই বা কোন সম্বাদ আইসে,- সে সর্বৈব মিথ্যা,-যদি মোগলের রাজত্ব কখনও যায় ;-তবে এই দোষেই যাইবে ।” নুরজিহান ভ্ৰকুটী করিয়া বলিলেন, “এখন খসরু সম্বন্ধে সঠিক কি সম্বাদ পাইলে তাহাই শুনিতে চাহি!” . জুলেখা বলিল, “আজ তিন বৎসর হইল গোয়ালীর দুর্গস্বামী এরূপ ‘আসামী হাতে রাখা বিড়ম্বন ভাবিয়া তাহার শিরচ্ছেদ করিয়াছে ?”