পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখ বাধিয়া ফেলিল। জুলেখা কণ্ঠ হইতে বিন্দুমাত্র শব্দ বহির্গত করিতে পারিল না ! হঠাৎ এই ব্যাপার সংঘটিত হওয়ায়, জুলেখা বিস্ময়ে একেবারে স্তম্ভিত হইয়া গিয়াছিল ! সে নুরজিহান বেগমের বাদী,-ৰ্তাহার প্রিয়পাত্রী ;-এ পৰ্য্যন্ত কেহ তাহার সহিত এরূপ ব্যবহার করিতে সাহস করে নাই ! আজি কাহার এত বুকের পাটা যে, তাহার উপর অত্যাচার করিতে সাহস করে! কি জন্যই বা ইহারা তাহাকে এরূপে আক্রমণ করিয়া, তাহার মুখ বাধিয়া ফেলিল! ইহাদের মতলব কি ? জুলেখা অধিকক্ষণ বিস্মিত ও স্তম্ভিত থাকিবার মেয়ে ছিল না। নিমিষে সে আত্মসংযম করিয়া, এই সকল দুৰ্ব্বত্তের হস্ত হইতে মুক্ত হইবার জন্য চেষ্টা পাইতে লাগিল ;-কিন্তু তাহার আক্রমণকারিগণ তাহাকে সুদৃঢ়রপে বাধিয়া ফেলিল ;-তখন তাহারা ধরাধরি করিয়া তাহাকে লইয়া চলিল ! জুলেখার মুখ কাপড়ে বাধা ছিল,-সুতরাং সে একবারও চীৎকার করিবার উপায় পাইল না। তাহার চক্ষুও বাধা ছিল,- সুতরাং এই দুরাত্মাগণ তাহাকে কোথায় লইয়া যাইতেছে, তাহাও সে বুঝিতে পারিল না ! মুহূর্তের জন্য তাহার হৃদয় প্ৰকম্পিত হইল ! এখনও মরিবার তাহার সময় হয় নাই ;- এখনও মরিবার তাহার ইচ্ছা নাই - এখনও তাহার জীবনের কাৰ্য্য শেষ হয় নাই। তাহার শত্রুর অভাব ছিল না । এ বেগম-মহলে,-এ বিলাস নন্দন-কাননে,-সুখ, আমোদ-প্ৰমোদ, আতর গোলাপের মধ্যে,-কাহার শত্রু নাই ? কাহার জীবন কবে নিরাপদ ? নিশ্চয়ই তাঁহাকে হত্যা করিবার জন্য ইহারা তাহাকে এইরূপ ভাবে লইয়া যাইতেছে! কোথায়