পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VON 6द?भ-मङ्टन । আমাৱ কোন দুঃখ কষ্ট নাই, কেহ কি বলিতে পারে যে, আমি বেগম-মহলে আসিয়া একদিনের জন্যও কাহারও অনিষ্ট করিয়াছি।” “না- তাহ করা নাই,-সকলেই তোমাকে মান্য ভক্তি করে,- ভালবাসে ;-আমি জানি তুমি মুরজিহানের উপর মুরজিহান । তোমার প্ৰতিহিংসা কি সাধারণ স্ত্রীলোকের প্রতিহিংসার ন্যায়। কখনও হইতে পারে ?” “আপনি কি বলিতেছেন,—তাহার কিছুই বুঝিতেছি না।” “বুঝিতেছি সব, বলিতেছ না-এই মাত্র,-” “আপনিই তবে বলুন।” “তুমি মুসলমান সাম্রাজ্যের সর্বনাশ সাধনের জন্য বদ্ধ পরিকর হইয়া এই বিশ বৎসর চেষ্টা পাইতেছ—তুমি মুখে নুরজিহানকে ভালবাস,-প্ৰাণে প্ৰাণে-তিল তিল করিয়া তাহার সর্বনাশ সাধনের চেষ্টা পাইতেছ,-তুমি দিল্লির সিংহাসন হইতে মোগল বিতাড়িত করিয়া হিন্দু বসাইতে চেষ্টা পাইতেছ-নয় কি সর্বসুন্দৱী ?” - মুহুর্তের জন্য জুলেখার মুখ যেন কি এক কাল মেঘে আবরিত হইল, কিন্তু পর মুহূৰ্ত্তেই সে উচ্চ হাস্য করিয়া উঠিল, বলিল, “ফকির সাহেব,- আপনি স্বপ্ন দেখিতেছেন ? এ সব ভয়াবহ কথা আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিকে এক নিমিষের জন্যও স্থান পায় নাই ৷ আমি সামান্য বাদী মাত্র, এক সময়ে যাহা ছিলাম, তাহা অনেক দিন ফুরাইয়া গিয়াছে ! আপনি কি ক্ষেপিয়াছেন ?” : অতি তীক্ষ দৃষ্টিতে ফকির জুলেখার মুখের দিকে চাহিয়াছিলেন,- জুলেখা নীরব হইলে তিনি মৃদু হাসিয়া বলিলেন, “সকলেই এই ভারতবর্ষে জানে যে বাঙ্গালীর বুদ্ধির সমতুল্য বুদ্ধি আর কাহারও নাই, তুমি সেই বাঙ্গালীর মেয়ে, নুরজিহান তোমার পদনখের উপभूख नदृश् ।' s