পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-----ത്ത छूलांकौ । 49 ag rp.pn pri r diskurso কিন্তু যে শয্যায় শয়ন করিয়াছিল ;- সে নিদ্রিত স্বরে কেবল মাত্র বলিল, “উহু ।” জুলেখা বজ্ৰগম্ভীর স্বরে বলিল, “কে তুমি ? এত বড় আস্পদ্ধা আমার বিছানায় আসিয়া শুইয়াছ !” সেই ব্যক্তি আবার অতি নিদ্ৰালু স্বরে বলিল, “উহু ।” তাহার পর সে পাস ফিরিয়া শয়ন করিল। “এখনও আমায় চিন্তে পার নাই ।” এই বলিয়া জুলেখা বাতি লইয়া বিছানার কাছে আসিল ;- বাতির আলোক বিছানার উপর নিক্ষিপ্ত করিল ;-তাহার পর হাসিয়া বলিল, “কি মুসকিল ?” শয্যায় শায়িতা একটা বালিকা ! দেখিলে তাহার বয়স দ্বাদশ বৎসরের উৰ্দ্ধ বোধ হইত না, – কিন্তু সকলেই জানিত যে তাহার বয়স দ্বাদশের অপেক্ষা অনেক অধিক ।-অনেকে তাহাকে ঠিক এই ভাবেই দশ বার বৎসর দেখিতেছে।-এই দশ বার বৎসরের মধ্যে তাহার বিন্দুমাত্র চেহারার পরিবর্তন ঘটে নাই,-তাহার বাড় কম কিছুই নাই।-এই জন্য সকলে তাহাকে “ক্ষয়া” বলিয়া ডাকিত!” সে সুন্দরী নহে,-তবে কুৎসিতাও নহে ;-তাহার কুঞ্চিত কেশ অযত্নে এতোহার স্কন্দ পৰ্য্যন্ত বিলম্বিত হইত,-ইহারও বৃদ্ধি কম কেহ কখনও দেখে নাই ! কখনও সে ভাল বস্ত্ৰাদি পরিত না ;-কেহ দিলেও তাহা লইত না । তাহার বাপ মা কে-তাহার কোথায় বাড়ী,-সে কোথা হইতে আগ্ৰা আসিয়াছে, তাহ কেহ জানিত না ; —তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলে সে ফিক ফিক্‌ করিয়া হাসিত,-কোন জবাব দিত না,-কিন্তু তাহার চক্ষু দুইটীতে যেন আগুন জ্বলিত,- সে রাগিয়া যাহারদিকে তাহার সেই ভয়াবহ চক্ষুদ্ধয়ে চাহিত,- তাহার হৃদয় হৃদয়ের ভিতর বসিয়া যাইত ! একদিন—সে বহুদিন হইল, - জুলেখা কোথা হইতে এই বালিকাকে